মোল্লা জসিমউদ্দিন: বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী সিট থেকে অব্যাহতি পেলেন ‘অসুস্থ’ আইপিএস দয়মন্তী সেন। কাকদ্বীপে জোড়া খুনের মামলার তদন্ত থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। আইপিএস দময়ন্তী সেনের সেই আবেদন মঞ্জুর করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। জোড়া খুনের তদন্তে গঠিত সিট থেকে সরানো হল তাঁকে। মামলার তদন্তে গঠিত সিটে চারজন সদস্য রয়েছেন। দময়ন্তীর অনুপস্থিতিতে সিটের নেতৃত্ব কে দেবেন? তা পরবর্তী শুনানিতে তা ঠিক করবে কলকাতা হাইকোর্ট। আদালত সুত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১৪ মে কাকদ্বীপে সিপিএম কর্মী দেবপ্রসাদ দাস ও তাঁর স্ত্রী ঊষারানি দাসের অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। ঘরে আগুন লাগিয়ে ওই দম্পতিকে পুড়িয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনায় নাম জড়ায় একাধিক তৃণমূল নেতার। পুলিশের তদন্তে একাধিক ত্রুটি সামনে আসে।ওই দম্পতিকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগের তদন্তে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে সিট গঠনের নির্দেশ দেয় বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চ। বিচারপতি ওই নির্দেশে জানিয়েছিলেন, আইপিএস দময়ন্তী সেনের নেতৃত্বে সিট গঠন হবে। এই আইপিএস অফিসারকেই সিটের বাকি অফিসারদের বেছে নিতে নির্দেশ দেন বিচারপতি।হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল রাজ্য। কিন্তু, চলতি বছরের জানুয়ারিতে রাজ্যের আবেদন খারিজ করে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ।ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের আবেদন খারিজ করার কিছুদিন পর রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চে শারীরিক অসুস্থতার কথা জানিয়ে সিট থেকে অব্যাহতি চান দময়ন্তী সেন। নিজের আবেদনে তিনি বলেন, নানা রোগে তিনি আক্রান্ত। একদিকে গাড়ি চড়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ রয়েছে। পাশাপাশি তাঁর মানসিক চাপ নেওয়া বারণ। সেজন্য সিট থেকে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হোক বলে আবেদন জানান। তাঁর সেই আবেদনই এদিন মঞ্জুর করলেন বিচারপতি মান্থা। এরফলে কাকদ্বীপে জোড়া খুনের তদন্তে সিটের নেতৃত্ব দেবেন না তিনি। এখন সিটের নেতৃত্ব কে দেবেন? তা পরবর্তী শুনানিতে ঠিক হবে বলে বিচারপতি জানিয়েছেন।কাকদ্বীপে জোড়া খুনের ঘটনার মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন আইপিএস দময়ন্তী সেন। বুধবার এই মামলা থেকে অব্যাবতি দেওয়া হল তাঁকে। খুনের ঘটনায় একটি সিট গঠন করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। যার দায়িত্বে ছিলেন আইপিএস দময়ন্তী সেন।