১৬ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার, ২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজায় মানবিক সাহায্য বন্ধ করলো ইসরাইল, সরব রাষ্ট্রসংঘ ও আরব দেশগুলি

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৩ মার্চ ২০২৫, সোমবার
  • / 23

গাজায় মানবিক সাহায্য বন্ধ করলো ইসরাইল, সরব রাষ্ট্রসংঘ ও আরব দেশগুলি

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: গাজা উপত্যকায় সব ধরনের ত্রাণ ও মানবিক সহায়তার প্রবেশ বন্ধ করার জন্য ইসরাইলের কঠোর সমালোচনা করেছে কয়েকটি আরব রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রসংঘ। মিশর ও কাতার রবিবার ইসরাইলের এই পদক্ষেপকে অস্ত্রবিরতি চুক্তির লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছে। আর রাষ্ট্রসংঘের মানবিক সহায়তা বিষয়ক প্রধান টম ফ্লেচার এটিকে ‘উদ্বেগজনক’ বলেছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

 

রবিবার এক বিবৃতিতে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইসরাইলের সিদ্ধান্তের কঠোর নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এটি ‘অস্ত্রবিরতি চুক্তি ও আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন’। সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, মিশরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইসরাইলকে ‘ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ক্ষুধাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে’ বলে অভিযুক্ত করেছে।’ কাতার ও মিশর গাজার অস্ত্রবিরতি চুক্তি বাস্তবায়নে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করেছিল।

 

সউদি আরবও ইসরাইলের মানবিক সহায়তা অবরোধের ‘নিন্দা ও প্রতিবাদ’ জানিয়েছে বলে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের আন্ডার-সেক্রেটারি-জেনারেল ফর হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাফেয়ার্স টম ফ্লেচার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ‘আন্তর্জাতিক মানবিক আইন স্পষ্ট: আমাদের প্রাণরক্ষাকারী সহায়তা পৌঁছানোর সুযোগ দিতে হবে।’

 

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী  নেতানিয়াহু দাবি করেছেন যে হামাস এই সহায়তা লুট করছে এবং সেগুলো ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য ব্যবহার করছে’। হামাস আগেও গাজায় মানবিক সহায়তা লুট করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। হামাসের এক মুখপাত্র ইসরায়েলের অবরোধকে ‘সস্তা ব্ল্যাকমেইল’ এবং অস্ত্রবিরতি চুক্তির বিরুদ্ধে ‘অভ্যুত্থান’ বলে অভিহিত করেছেন।

 

রবিবার সকাল পর্যন্ত গাজায় কোনও মানবিক সহায়তার ট্রাক প্রবেশ করতে পারেনি বলে সাহায্য সংস্থাগুলো নিশ্চিত করেছে। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) কর্মকর্তা আন্তোয়ান রেনার্ড বিবিসিকে বলেন, ‘মানবিক সহায়তার প্রবাহ চালিয়ে যাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সকল পক্ষকে একটি সমাধানে পৌঁছানোর আহ্বান জানাচ্ছি।

 

অস্ত্রবিরতির পর থেকে প্রতি সপ্তাহে হাজার হাজার ট্রাক গাজার ভেতরে প্রবেশ করেছে। সাহায্য সংস্থাগুলো সরবরাহ মজুত করতে সক্ষম হয়েছে, যার ফলে বর্তমানে বেসামরিক জনগণের জন্য তাৎক্ষণিক সংকট নেই। রবিবার গাজায় ইসরাইলি বিমান হামলায় চারজন নিহত হয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা উত্তর গাজায় একটি বিস্ফোরক ডিভাইস পুঁতছিল এমন ব্যক্তিদের লক্ষ্যবস্তু করে

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

গাজায় মানবিক সাহায্য বন্ধ করলো ইসরাইল, সরব রাষ্ট্রসংঘ ও আরব দেশগুলি

আপডেট : ৩ মার্চ ২০২৫, সোমবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: গাজা উপত্যকায় সব ধরনের ত্রাণ ও মানবিক সহায়তার প্রবেশ বন্ধ করার জন্য ইসরাইলের কঠোর সমালোচনা করেছে কয়েকটি আরব রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রসংঘ। মিশর ও কাতার রবিবার ইসরাইলের এই পদক্ষেপকে অস্ত্রবিরতি চুক্তির লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছে। আর রাষ্ট্রসংঘের মানবিক সহায়তা বিষয়ক প্রধান টম ফ্লেচার এটিকে ‘উদ্বেগজনক’ বলেছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

 

রবিবার এক বিবৃতিতে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইসরাইলের সিদ্ধান্তের কঠোর নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এটি ‘অস্ত্রবিরতি চুক্তি ও আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন’। সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, মিশরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইসরাইলকে ‘ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ক্ষুধাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে’ বলে অভিযুক্ত করেছে।’ কাতার ও মিশর গাজার অস্ত্রবিরতি চুক্তি বাস্তবায়নে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করেছিল।

 

সউদি আরবও ইসরাইলের মানবিক সহায়তা অবরোধের ‘নিন্দা ও প্রতিবাদ’ জানিয়েছে বলে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের আন্ডার-সেক্রেটারি-জেনারেল ফর হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাফেয়ার্স টম ফ্লেচার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ‘আন্তর্জাতিক মানবিক আইন স্পষ্ট: আমাদের প্রাণরক্ষাকারী সহায়তা পৌঁছানোর সুযোগ দিতে হবে।’

 

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী  নেতানিয়াহু দাবি করেছেন যে হামাস এই সহায়তা লুট করছে এবং সেগুলো ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য ব্যবহার করছে’। হামাস আগেও গাজায় মানবিক সহায়তা লুট করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। হামাসের এক মুখপাত্র ইসরায়েলের অবরোধকে ‘সস্তা ব্ল্যাকমেইল’ এবং অস্ত্রবিরতি চুক্তির বিরুদ্ধে ‘অভ্যুত্থান’ বলে অভিহিত করেছেন।

 

রবিবার সকাল পর্যন্ত গাজায় কোনও মানবিক সহায়তার ট্রাক প্রবেশ করতে পারেনি বলে সাহায্য সংস্থাগুলো নিশ্চিত করেছে। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) কর্মকর্তা আন্তোয়ান রেনার্ড বিবিসিকে বলেন, ‘মানবিক সহায়তার প্রবাহ চালিয়ে যাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সকল পক্ষকে একটি সমাধানে পৌঁছানোর আহ্বান জানাচ্ছি।

 

অস্ত্রবিরতির পর থেকে প্রতি সপ্তাহে হাজার হাজার ট্রাক গাজার ভেতরে প্রবেশ করেছে। সাহায্য সংস্থাগুলো সরবরাহ মজুত করতে সক্ষম হয়েছে, যার ফলে বর্তমানে বেসামরিক জনগণের জন্য তাৎক্ষণিক সংকট নেই। রবিবার গাজায় ইসরাইলি বিমান হামলায় চারজন নিহত হয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা উত্তর গাজায় একটি বিস্ফোরক ডিভাইস পুঁতছিল এমন ব্যক্তিদের লক্ষ্যবস্তু করে