পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: কর্নাটকে বর্তমানে কংগ্রেস সরকার। ওয়াকফ ও সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রক দেওয়া হয়েছে বি জেড জামির আহমদ খানকে। এই রাজ্যে ওয়াকফ সম্পত্তি জবরদখল হয়ে রয়েছে বেশি যার বাজার দাম খুব কম হলেও ২ লক্ষ কোটি টাকা। কয়েকদিন আগে চাষিদের জমি ওয়াকফ বোর্ড কেড়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। চাপে পড়ে বোর্ডকে সেই নোটিশ প্রত্যাহার করে নিতে হয়। ওয়াকফ নিয়ে সারা দেশে বিতর্ক চলাকালীন কর্নাটকের এই মন্ত্রী জামির আহমদ দেখিয়েছেন এ পর্যন্ত ৪১০৮টি মামলা দায়ের হয়ে রয়েছে ওয়াকফ সম্পত্তি থেকে জবরদখল হঠাবার জন্য। যেসব জেলায় এই মামলা বেশি সেগুলি হল-বিজয়পুরায় ৩৮৮টি, কালবুর্গিতে ৫৬২, বেঙ্গালুরুতে ৪১৮, বিদারে ৩০৯, বেলারিতে ২৭৪টি মামলা। টুমকুরুতে ২৮৪টি মামলার মধ্যে ২৪২ টি নিষ্পত্তি হয়েছে বাকি জেলায় মামলা ঝুলে রয়েছে বহু বছর ধরে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, এখন কর্নাটক ওয়াকফ ট্রাইব্যুনালে মামলা ঝুলছে ১১২টি। বহু মামলার রায় হয়েছে কিন্তু সেগুলি উদ্ধারে তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। ২০১২ সালে রিপোর্ট পেশ করেছিল কর্নাটক মাইনোরিটি কমিশন। সেই রিপোর্টে জানা যায় যে ২ লক্ষ কোটি টাকার ওয়াকফ সম্পত্তি বেদখল বা জবরদখল হয়ে রয়েছে। তাতে জড়িত ছিল জমি মাফিয়া, রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং ওয়াকফ বোর্ড সদস্যরা। সেইসব সম্পত্তি উদ্ধারেও মামলা এখনও ঝুলে রয়েছে।
জবরদখল হঠাবার জন্য মামলা করা হয়েছে যেসব ওয়াকফ সম্পত্তিতে তারমধ্যে রয়েছে মসজিদ, দরগাহ, কবরস্থান, আসুরখানা, ঈদগাহ, ইয়াতিম খানা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এইসব জবরদখল সম্পত্তি সরকয়টি কাজে লাগতে পারে মুসলিমদের শিক্ষায় ও সামাজিক উন্নয়নে। ধর্মীয় সম্পত্তি এভাবে বিভিন্ন জেলায় কব্জা করে রাখা হয়েছে। যদিও কর্নাটক সরকার গত পাঁচ বছরে ৫২৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে ওয়াকফ বোর্ডের জন্য, কিন্তু সম্পত্তি উদ্ধারের হার খুবই কম। মামলা নিষ্পত্তি হতে চাইছে না। অতি সম্প্রতি বিজয়পুরা জেলায় প্রায় ১৫০০ একর ওয়াকফ সম্পত্তি জবরদখল হঠাবার নোটিশ জারি হয়। কিন্তু বিজেপিসহ সব রাজনৈতিক দল সেখানে চাষ করতে থাকা চাষিদের জমি বোর্ড কেড়ে নিচ্ছে বলে বাজার গরম করে দেয়।
read more: ফের বড়সড় জঙ্গি হামলা পাকিস্তানে, ৯০ জনকে হত্যার দাবি বিএলএ-এর
চাপে পড়ে সেই নোটিশ ফিরিয়ে নেয় বোর্ড। বলা হয় ভুল করে নোটিশ জারি হয়েছে। অথচ রেকর্ডে রয়েছে এই বিশাল সম্পত্তির মালিক ওয়াকফ বোর্ড। এইভাবে বহু মূল্যবান সম্পত্তি বেদখল হয়ে রয়েছে যেসব ফিরে পাওয়া মুশকিল ব্যাপার। এর উপর কেন্দ্র সরকার নতুন আইন এনে বোর্ডের ক্ষমতা খর্ব করে দিতে চাইছে। ফলে এসব ফেরত চাইবার জন্য আর কারও অস্তিত্বই থাকবে না। সেজন্য শেষবারের মতো জামির আহমেদ জানাতে চাইলেন কর্নাটকে ওয়াকফ সম্পত্তির কী অবস্থা রয়েছে।