২১ এপ্রিল ২০২৫, সোমবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৭৫ বছরে উন্নয়ন না হওয়াতেই অশান্ত থেকেছে কাশ্মীর: রাজনাথ

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৯ অক্টোবর ২০২২, শনিবার
  • / 10

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: স্বাধীনতা-পরবর্তী গত ৭৫ বছরে জম্মু-কাশ্মীরের পরিকাঠামোর উন্নয়নের অভাব থেকেই এখানে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। শুক্রবার উপত্যকায় দাঁড়িয়ে এই মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। কাশ্মীরিরা বরাবরই এই অভিযোগ তুলে থাকেন যে দেশের অন্যান্য রাজ্যের মতো সেখানে যথেষ্ট উন্নয়ন হচ্ছে না। এ দিন কার্যত সেই অভিযোগকেই স্বীকৃতি দিলেন রাজনাথ।

তবে ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট জম্মু-কাশ্মীর থেকে সংবিধানের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর থেকে সেখানকার পরিস্থিতি আরও থমথমে হয়েছে।

রাজনৈতিক দলগুলির স্বাধীনতা নেই। এমনকী সাধারণ মানুষকেও নিরাপত্তা বাহিনীর বন্দুকের মুখে তটস্থ থাকতে হয় বলে অভিযোগ। এই প্রেক্ষিতে উপত্যকার অনুন্নয়নের চিত্র উঠে এলো রাজনাথের মুখে। তবে বিজেপি সরকার ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর উপত্যকার উন্নয়নের জন্য ঠিক কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে, তার খতিয়ান তিনি অবশ্য দেননি।

তবে তার সরকার বারবার দাবি করেছে, কাশ্মীরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক। এ দিন তিনি লাদাখে বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন নির্মিত ৭৫টি পরিকাঠামোর উদ্বোধন করেন। এর মধ্যে রয়েছে ৪৫টি ব্রিজ, ২৭ সড়ক, দু’টি হেলিপ্যাড। জম্মু-কাশ্মীরে রয়েছে ২০টি প্রকল্প।

বাকিগুলি লাদাখ, অরুণাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, সিকিম, হিমাচলপ্রদেশ, পঞ্জাব ও রাজস্থানে।

 

কাশ্মীর ও লাদাখের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে এখানে পর্যটকের সংখ্যা কমেছে বলে এ দিন রাজনাথ মন্তব্য করেন। এর পাশাপাশি তিনি দাবি করেন, কেন্দ্রের মোদি সরকারের আমলে শান্তি ও প্রগতির এক নয়া ভোরের সাক্ষী হচ্ছে উপত্যকা।

 

দেশের সব প্রত্যন্ত অঞ্চলকে জুড়তে বিআরও কাজ করে যাচ্ছে বলে তিনি প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, রণকৌশলগত দিক থেকে সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলির নাগরিকরা দেশের সম্পদ। তাই এদের সঙ্গে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত করতে হবে। সেক্ষেত্রে বিআরও উল্লেখযোগ্য কাজ করছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

৭৫ বছরে উন্নয়ন না হওয়াতেই অশান্ত থেকেছে কাশ্মীর: রাজনাথ

আপডেট : ২৯ অক্টোবর ২০২২, শনিবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: স্বাধীনতা-পরবর্তী গত ৭৫ বছরে জম্মু-কাশ্মীরের পরিকাঠামোর উন্নয়নের অভাব থেকেই এখানে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। শুক্রবার উপত্যকায় দাঁড়িয়ে এই মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। কাশ্মীরিরা বরাবরই এই অভিযোগ তুলে থাকেন যে দেশের অন্যান্য রাজ্যের মতো সেখানে যথেষ্ট উন্নয়ন হচ্ছে না। এ দিন কার্যত সেই অভিযোগকেই স্বীকৃতি দিলেন রাজনাথ।

তবে ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট জম্মু-কাশ্মীর থেকে সংবিধানের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর থেকে সেখানকার পরিস্থিতি আরও থমথমে হয়েছে।

রাজনৈতিক দলগুলির স্বাধীনতা নেই। এমনকী সাধারণ মানুষকেও নিরাপত্তা বাহিনীর বন্দুকের মুখে তটস্থ থাকতে হয় বলে অভিযোগ। এই প্রেক্ষিতে উপত্যকার অনুন্নয়নের চিত্র উঠে এলো রাজনাথের মুখে। তবে বিজেপি সরকার ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর উপত্যকার উন্নয়নের জন্য ঠিক কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে, তার খতিয়ান তিনি অবশ্য দেননি।

তবে তার সরকার বারবার দাবি করেছে, কাশ্মীরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক। এ দিন তিনি লাদাখে বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন নির্মিত ৭৫টি পরিকাঠামোর উদ্বোধন করেন। এর মধ্যে রয়েছে ৪৫টি ব্রিজ, ২৭ সড়ক, দু’টি হেলিপ্যাড। জম্মু-কাশ্মীরে রয়েছে ২০টি প্রকল্প।

বাকিগুলি লাদাখ, অরুণাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, সিকিম, হিমাচলপ্রদেশ, পঞ্জাব ও রাজস্থানে।

 

কাশ্মীর ও লাদাখের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে এখানে পর্যটকের সংখ্যা কমেছে বলে এ দিন রাজনাথ মন্তব্য করেন। এর পাশাপাশি তিনি দাবি করেন, কেন্দ্রের মোদি সরকারের আমলে শান্তি ও প্রগতির এক নয়া ভোরের সাক্ষী হচ্ছে উপত্যকা।

 

দেশের সব প্রত্যন্ত অঞ্চলকে জুড়তে বিআরও কাজ করে যাচ্ছে বলে তিনি প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, রণকৌশলগত দিক থেকে সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলির নাগরিকরা দেশের সম্পদ। তাই এদের সঙ্গে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত করতে হবে। সেক্ষেত্রে বিআরও উল্লেখযোগ্য কাজ করছে।