জৈদুল সেখ, কান্দি: সউদি থেকে ঈদের আগে বাড়ি আসার কথা ছিল কিন্তু কেবলই লাশ ফিরলো বাড়িতে। পেটের টানে সংসারের অভাব দূর করতে সউদি আরবে পাড়ি দিয়েছিল মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা। সেখানে কাজ করার সময় হঠাৎ ইলেকট্রিক শক লেগে মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়, মুর্শিদাবাদের কান্দি থানার অন্তর্গত আন্দুলিয়া নতুনপাড়া গ্রামের বাসিন্দা খলিমুদ্দিন শেখের, ঘটনার খবর আসতেই শোকে ছায়া নেমে আসে পরিবার থেকে এলাকা জুড়ে।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, যে চার বছর আগে সংসারের হাল ধরতে সউদি আরবের মক্কায় গিয়েছিল খলিমুদ্দিন শেখ নামে ৫০ বছরের ওই ব্যক্তি, সেখানে কাজকর্ম করে সংসার দেখভাল করতো। তবে গত জানুয়ারি ১১ তারিখ কাজ করার সময় হঠাৎ ইলেকট্রিক শক লেগে মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়। সউদি আরব থেকে এক মাস পর রবিবার দেহ বাড়ি ফিরতেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারের থেকে এলাকা জুড়ে।
মৃত খলিমুদ্দিন শেখের ছেলে আসারুল সেখ জানায় “দুই ভাই দুই বোন সমস্ত পরিবারের সংসারের খরচ বাবাই দেখভাল করত। কিন্তু আমাদের ছেড়ে এভাবে হঠাৎ চলে যাবে ভাবতেই পারছি না। পরিবারের অভিযোগ যে সৌদি আরব থেকে মৃতদেহ বাড়িতে ফিরানোর জন্য রাজ্য সরকারের বিভিন্ন জায়গায় সাহায্যের চেয়েও তারা পায়নি, আত্মীয়-স্বজনের কাছে ধার দেনা করে দেড় মাস পর খলিমুদ্দিন শেখের মৃতদেহ সউদি আরব থেকে কান্দির বাড়িতে ফিরতেই শোকের ছায়া নেমছে।”
স্ত্রী ফরিদা বিবি বলেন “মক্কায় একটি শপিং মলে ১২ বছর ধরে কাজ করে সংসারের সমস্ত দেখভাল করেন করে আসছে। তিন বছর আগে শেষ বাড়ি এসেছিল। ঈদে আবার বাড়ি আসার কথা ছিল কিন্তু তার আগেই এভাবে চলে গেল। তার মৃত্যুর পর সরকারিভাবে কোন সাহায্য পায়নি। অনেক ধার দেনা হয়ে গেছে সংসার চালানো মুশকিল হয়ে পড়েছে।”