১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গণকবরে ৪৪০ মরদেহ পাওয়ার দাবি কিয়েভের

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, শুক্রবার
  • / 11

 পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ খারকিভের ইজিয়াম শহরে গণকবরের সন্ধান পাওয়ার দাবি করেছে ইউক্রেন। রুশ সেনাবাহিনী চলে যাওয়ার পর শহরটির কাছেই একটি জঙ্গলে গণকবর পেয়েছে ইউক্রেনীয় সেনা। সেখানে ৪৪০টিরও বেশি মৃতদেহ মিলেছে। সম্প্রতি রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে  লড়াই করে ইজিয়াম শহর পুনরুদ্ধার করেছে ইউক্রেনীয় সেনা।

 

বুধবার ইজিয়াম শহর পরিদর্শন করেন খারকিভ অঞ্চলের প্রধান তদন্তকারী কর্মকর্তা সেরহি বলভিনভ। পরদিন দেশটির আঞ্চলিক পুলিশের এক মুখপাত্র গণকবর পাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেন। সেরহি বলভিনভ বলেন, উদ্ধার হওয়া প্রতিটি মৃতদেহের ফরেনসিক পরীক্ষা হবে। এটি এখনও পর্যন্ত পাওয়া অন্যতম বড় গণকবর। তিনি আরও বলেন, যাচাই-বাছাই করে দেখা গেছে, কিছু মানুষ আর্টিলারির গোলায় মারা গেছেন আর কিছু বিমান হামলার কারণে। এদিকে এ গণকবরের জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার কঠোর সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, রুশ বাহিনী ইউক্রেন হামলার প্রাথমিক পর্যায়ে রাজধানী কিয়েভের উপকণ্ঠে বুচা শহরে যেভাবে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল, একইভাবে ইজিয়ামেও হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে।

 

তিনি বলেন, ‘এখানে আসলে কী ঘটছে এবং রাশিয়ান দখলদারি কীসের দিকে পরিচালিত হচ্ছে আমরা বিশ্বকে সেটাই জানাতে চাই।’ ইউক্রেন সরকার ও তাদের পশ্চিমা মিত্ররা রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে বুচায় ‘যুদ্ধাপরাধ’র অভিযোগও এনেছে। ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়া সর্বত্র মৃতদেহ রেখে যাচ্ছে, তাদের অবশ্যই জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। রাশিয়া অবশ্য অসামরিক নাগরিকদের হত্যার কথা অস্বীকার করেছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

গণকবরে ৪৪০ মরদেহ পাওয়ার দাবি কিয়েভের

আপডেট : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, শুক্রবার

 পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ খারকিভের ইজিয়াম শহরে গণকবরের সন্ধান পাওয়ার দাবি করেছে ইউক্রেন। রুশ সেনাবাহিনী চলে যাওয়ার পর শহরটির কাছেই একটি জঙ্গলে গণকবর পেয়েছে ইউক্রেনীয় সেনা। সেখানে ৪৪০টিরও বেশি মৃতদেহ মিলেছে। সম্প্রতি রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে  লড়াই করে ইজিয়াম শহর পুনরুদ্ধার করেছে ইউক্রেনীয় সেনা।

 

বুধবার ইজিয়াম শহর পরিদর্শন করেন খারকিভ অঞ্চলের প্রধান তদন্তকারী কর্মকর্তা সেরহি বলভিনভ। পরদিন দেশটির আঞ্চলিক পুলিশের এক মুখপাত্র গণকবর পাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেন। সেরহি বলভিনভ বলেন, উদ্ধার হওয়া প্রতিটি মৃতদেহের ফরেনসিক পরীক্ষা হবে। এটি এখনও পর্যন্ত পাওয়া অন্যতম বড় গণকবর। তিনি আরও বলেন, যাচাই-বাছাই করে দেখা গেছে, কিছু মানুষ আর্টিলারির গোলায় মারা গেছেন আর কিছু বিমান হামলার কারণে। এদিকে এ গণকবরের জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার কঠোর সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, রুশ বাহিনী ইউক্রেন হামলার প্রাথমিক পর্যায়ে রাজধানী কিয়েভের উপকণ্ঠে বুচা শহরে যেভাবে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল, একইভাবে ইজিয়ামেও হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে।

 

তিনি বলেন, ‘এখানে আসলে কী ঘটছে এবং রাশিয়ান দখলদারি কীসের দিকে পরিচালিত হচ্ছে আমরা বিশ্বকে সেটাই জানাতে চাই।’ ইউক্রেন সরকার ও তাদের পশ্চিমা মিত্ররা রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে বুচায় ‘যুদ্ধাপরাধ’র অভিযোগও এনেছে। ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়া সর্বত্র মৃতদেহ রেখে যাচ্ছে, তাদের অবশ্যই জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। রাশিয়া অবশ্য অসামরিক নাগরিকদের হত্যার কথা অস্বীকার করেছে।