চিঠি কাণ্ড নিয়ে এবার ‘নীরব’ কুন্তল ঘোষ

- আপডেট : ২৬ মে ২০২৩, শুক্রবার
- / 7
পারিজাত মোল্লা: এবার তাঁর নিজের লেখা চিঠি নিয়ে ‘নিশ্চুপ’ কুন্তল ঘোষ। রাজ্যে শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে একদা যুব তৃণমূল নেতাকে । প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে জেল হেফাজতে রয়েছেন তিনি। এদিন আলিপুর আদালতে হাজির করানো হয় কুন্তলকে।পুলিশের প্রিজন ভ্যান থেকে কুন্তল নামতেই ঘিরে ধরেন সাংবাদিকরা। চিঠি নিয়ে একের পর এক প্রশ্ন করা হয় কুন্তল কে। কিন্তু এই নিয়ে একটি কথাও বলেননি কুন্তল। চিঠি লিখতে কি চাপ দেওয়া হয়েছিল কুন্তলকে? এই প্রশ্নের জবাবে মুখ খোলেননি তিনি।গত ২৯ মার্চ ধর্মতলায় শহিদ মিনারের যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভা থেকে অভিষেক দাবি করেছিলেন, -‘ হেফাজতে থাকার সময় মদন মিত্র, কুণাল ঘোষকে তাঁর নাম নিতে বলেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা’। এর পর পরেই কুন্তল দাবি করেন যে, -“অভিষেকের নাম বলার জন্য তাঁকে ‘চাপ’ দিচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা”। পরে ইডি-সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে এই সংক্রান্ত অভিযোগ জানিয়ে নিম্ন আদালতে চিঠি দেন একদা যুব তৃণমূল নেতা।
পুলিশি হস্তক্ষেপ চেয়েও চিঠি পাঠান হেস্টিংস থানাতে। এরপর কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর পর্যবেক্ষণে জানান,-‘ প্রয়োজনে সিবিআই বা ইডি অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে’। নব নিযুক্ত সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি অমৃতা সিন্হাও সেই পর্যবেক্ষণে সম্মতি দেন। গত ২০ মে অভিষেককে প্রায় সাড়ে ৯ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। সেদিন জিজ্ঞাসাবাদ শেষে অভিষেক দাবি করেছিলেন যে,-‘ তিনি কুন্তলকে চেনেন না’। এই চিঠি সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার এই মামলায় হস্তক্ষেপ করতে চায়নি সুপ্রিম কোর্ট ।
অর্থাত্, কুন্তলের চিঠি মামলায় অভিষেককে প্রয়োজনে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে ওই চিঠি নিয়ে কুন্তলের ‘কিছু না বলা’ এক নুতন মাত্রা এনে দিল।গত সপ্তাহের শনিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কে নিজাম প্যালেসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। এর ৩ দিন পর অর্থাৎ গত বুধবার প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে কুন্তলকে জেরা করেছে সিবিআই। এর পরই শুক্রবার আদালতে পেশ করা হয়েছিল কুন্তল কে।
এদিন আলিপুর আদালতে হাজির করানোর সময় প্রতিবারই কিছু না কিছু মন্তব্য করতে দেখা যায় তাঁকে। কিন্তু সেই ‘বিতর্কিত’ চিঠি প্রসঙ্গে প্রশ্ন নীরবতা বজায় রাখলেন কুন্তল।কেননা সুপ্রিম কোর্ট এই মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাদের উপর একপ্রকার আস্থা রেখেছেন বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।