বামেদের ব্রিগেড সমাবেশ: ময়দানের সামগ্রিক নিরাপত্তায় মাত্র দু’জন ডিসি

- আপডেট : ২০ এপ্রিল ২০২৫, রবিবার
- / 17
পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: রবিবার শহরে সিপিএমের ডাকে ব্রিগেড সমাবেশের তাকিয়ে ছিল রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। যদিও বামেদের ব্রিগেড নিয়ে একটি কথা প্রচলিত আছে, ‘মাঠ ভরালেও ভোটবাক্স ভর্তি করতে পারে না’। বামেদের সমাবেশের যে ভিড় আলোচনার প্রধান বিষয় হয়। এবার তাও যেন কেমন ম্রিয়মান। দেখা গেল না পুলিশের তৎপরতাও। রবিবার এমনিই রাস্তাঘাট ফাঁকা থাকে তবে রাজ্যস্তরের এমন সমাবেশ ঘিরে যে ভিড় থাকার কথা তা চোখে পড়ে নি। দুপুর ১২ টা থেকে ঘড়ির কাঁটা দুপুর ২টার গন্ডি ছুঁলেও দেখা যায় রাস্তায় যান চলাচল বেশ স্বাভাবিক রয়েছে। যান নিয়ন্ত্রণেও বিশেষ বেগ পেতে হয় নি পুলিশ কর্মীদের।
♥ JEE Main 2025: রাজ্যের দুই মেধাবীকে শুভেচ্ছা মুখ্যমন্ত্রীর
লালবাজার সূত্রে জানা গেছে, শুধুমাত্র দু’জন ডিসিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ব্রিগেড ময়দানের সামগ্রিক নিরাপত্তা দেখভাল করার। ব্রিগেড ময়দান যেহেতু সাউথ ডিভিশনে পড়ে তাই ডিসি সাউথ ও তাঁর সঙ্গে আছেন ডিসি ফার্স্ট ব্যাটেলিয়ন। আর আছেন ৩ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার। ইন্সপেক্টর অন্যান্য পুলিশ কর্মীর সংখ্যা মিলিয়ে ১২৭ জন ব্রিগেডের নিরাপত্তার দায়িত্ব সামলাবেন, সেই ব্যবস্থা করেছে লালবাজার। যেখানে ধর্মতলায় যে কোনও সাধারণ জমায়েতেও জয়েন্ট সিপি পদমর্যাদার পুলিশকে নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয় সেখানে ব্রিগেডের মত বড় কর্মসূচিতে মাত্র দু’জন ডিসি মোতায়েন। ওয়াকিবহাল মহলের বড় অংশের মত, এটাই বুঝিয়ে দিচ্ছে লালবাজারের কাছে এই কর্মসূচির অতটা গুরুত্ব নেই।
সাম্প্রতিককালে এসইউসিআই যখন ব্রিগেড কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল সেই সময়েও জয়েন্ট সিপি পদমর্যাদার অফিসারকে মোতায়েন করেছিল ব্রিগেডে দেখভাল করার জন্য। আর সেখানে বামেদের ডাকা ব্রিগেড কর্মসূচিতে মাত্র দু’জন ডিসি। লালবাজারের কাছে যা হিসেব তাতে দুই থেকে তিন হাজার গাড়ি আসার কথা ছিল। সে জন্য ছ’টি জায়গায় পার্কিংয়ের ব্যবস্থাও করা হয়। বামেদের ব্রিগেড কর্মসূচির জন্য লালবাজারে তরফ থেকে মাত্র ৭ জায়গায় পুলিশ পিকেট মোতায়েন করা হয়। এই সংখ্যাও অন্যান্য ব্রিগেড কর্মসূচি থেকে অনেকটাই কম।
এ দিনের বামেদের ব্রিগেড সমাবেশের জন্য ডিসি সাউথ ছাড়া অন্য কোন ডিভিশনাল ডিসিকে রাস্তাতেই নামানো হয়নি। সবাইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল পর্যাপ্ত পুলিশ কর্মী প্রস্তুত রাখতে। প্রয়োজন হলে যাতে তাদের দ্রুত কাজে নামানো যায়। তবে তার আর প্রয়োজন হয় নি। অন্যদিকে শহরে যান চলাচল ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখার জন্য ৩৮টি পয়েন্টে ট্রাফিক পুলিশের বিশেষ বন্দোবস্ত করা হয়।
সেই সংখ্যাও অন্যান্য ব্রিগেড কর্মসূচি তুলনায় যে অনেকটাই কম তাও মানছেন কলকাতা পুলিশের একাংশ। এদিন সকাল আটটা থেকে পুলিশ কর্মীদের রাস্তায় নামার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সব মিলিয়ে এই ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে রাস্তায় বেড়ানো আমজনতার যে ভোগান্তি হয় এদিন তা ছিল না বললেই চলে।