BREAKING:
রাজ্যসভায় পেশ ওয়াকফ বিল সংক্রান্ত জেপিসি রিপোর্ট বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জমি, চাষিদের পাশে দাঁড়াতে বড় সিদ্ধান্ত রাজ্যের আরও দুটি নয়া কোর্স চালু করছে আলিয়া সিটু-র অ্যাপ ক্যাব ধর্মঘট আজ বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি, জারি কমলা সতর্কতা রমজানে মসজিদে ক্যামেরার ব্যবহার নিষিদ্ধ করল সউদি আরব হাইটেক টুকলি! মাধ্যমিকের অঙ্ক পরীক্ষায় এআইয়ের ব্যবহার, হাতেনাতে ধরা পড়ল পরীক্ষার্থী ভাষার জন্য তামিলরা প্রাণ দিয়েছে, ভাষার সঙ্গে খেললে ফল ভালো হবে না, হুঙ্কার কমল হাসানের সলমন রুশদির হামলাকারী দোষী সাব্যস্ত, ন্যূনতম ৩০ বছর কারাদণ্ডের সম্ভাবনা ৬ ইসরাইলি জিম্মিকে ছাড়ল হামাস, জেলমুক্তির অপেক্ষায় ৬০০ ফিলিস্তিনি কুম্ভমেলায় যাওয়ার পথে দূর্ঘটনায় মৃত পশ্চিমবঙ্গের ৬, শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর 

শাস্তি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি মেদিনীপুর হাসপাতালের সাসপেন্ড ৭ পিজিটির

রিপোর্টার:
  • শেষ আপডেট: সোমবার, ২০ জানুয়ারী, ২০২৫

পুবের কলম প্রতিবেদক : অবশেষে শাস্তি প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হলেন মেদিনীপুর হাসপাতাল কাণ্ডের দায়ে সাসপেন্ড হওয়া সাতজন পিজিটি। কলেজের অধ্যক্ষ মৌসুমী নন্দির মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী ও মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠিয়ে তাঁরা সাসপেনশন তুলে নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন। কলেজের অধ্যক্ষ মৌসুমী নন্দী জানান, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি পৌঁছেছে। দেখা যাক কী হয়।

আর জি কর কাণ্ডের পরে জুনিয়র ডাক্তারদের উপর কোনরকম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু মেদিনীপুরে এক প্রসূতি এবং এক সদ্যজাতের মৃত্যুর পরে জুনিয়র এবং সিনিয়র মিলিয়ে ১৩ জন ডাক্তারকে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী| যার মধ্যে রয়েছেন এই সাতজন পিজিটি ছাত্রছাত্রী|

এই সাসপেনশন এর ঘটনায় অনেকেই প্রতিবাদ জানানা। মেদিনীপুর কাণ্ডে অনেকেই ত্রুটিপূর্ণ স্যালাইনকে দায়ী করেছিলেন। কিন্তু স্বাস্থ্য দপ্তরের পাঠানো ১৩ সদস্যের তদন্তকারী দলের পর্যবেক্ষনে চিকিৎসায় গাফিলতির একাধিক প্রমাণ মিলেছে।

গত ৮ জানুয়ারি তারিখে মেদিনীপুর হাসপাতালে যে পাঁচ জন প্রসূতির সিজার করা হয়েছিল সেখানে কোনও সিনিয়র ডাক্তার ছিলেন না। জুনিয়র ডাক্তার তথা পিজিটি ছাত্রছাত্রীরা ওই সিজার করিয়েছিলেন। যা সম্পূর্ণরূপে নিয়মবিরুদ্ধ। একজন সিনিয়র ডাক্তার আবার হাসপাতালে ডিউটিতে না থেকে ওইদিন প্রাইভেট নার্সিংহোমে সিজার করছিলেন বলেও প্রমাণ মিলেছে। এইসব প্রমাণ পাওয়ার পরেই মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিক সম্মেলন করে সিনিয়র এবং জুনিয়রসহ ১৩ জন ডাক্তারকে সাসপেন্ড করার কথা ঘোষণা করেন। এরপর বেশ কিছু জুনিয়র ডাক্তার কর্মবিরতির কথা ঘোষণাও করেছিলে। আবার অনেকে সেই কর্মবিরতিতে যোগদান করেননি। এই আবহে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষকে ঘেরাও পর্যন্ত করা হয়েছিল।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত জুনিয়র ডাক্তারদের মধ্যে মত পার্থক্য থাকায় প্রতিবাদ আন্দোলন থিতিয়ে পড়ে। ঘেরাও তুলে নেওয়া হয়। এরই মধ্যে সাসপেন্ড হওয়া সাত পিজিটি তাঁদের ওপর থেকে শাস্তি প্রত্যাহার করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠান অধ্যক্ষের মাধ্যমে।

এই সংক্রান্ত আরও খবর
Copyright © 2025 Puber Kalom All rights reserved.
Developed By eTech Builder