শিক্ষক-চিকিৎসকের বদলিতে ‘বিপদ’, অভিযোগ জানিয়ে স্বাস্থ্যসচিবকে চিঠি

- আপডেট : ২৭ জানুয়ারী ২০২৩, শুক্রবার
- / 5
পুবের কলম প্রতিবেদক: চিকিৎসকদের বদলি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আগেও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে। এবার অভিযোগ উঠল, এক শিক্ষক-চিকিৎসককে বদলি করে দেওয়ার জেরে বিপদের সম্মুখীন এসএসকেএম হাসপাতালের ডিএম নেফ্রোলজির ৩০ জন পড়ুয়া। এই একই কারণে এই রাজ্যের অঙ্গ প্রতিস্থাপনের বিষয়টিও বিপদের সম্মুখীন বলে উঠল অভিযোগ। এমন অভিযোগ করা হয়েছে চিকিৎসকদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অফ হেলথ সার্ভিস ডক্টরস, ওয়েস্ট বেঙ্গলের তরফে।
এই বদলির নির্দেশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমকে চিঠি দিয়েছে চিকিৎসকদের এই সংগঠন। এর পরেও সমস্যার সমাধান না হলে পথে নামা হবে বলেও চিকিৎসকদের এই সংগঠনের তরফ থেকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। এ দিকে, বদলি সংক্রান্ত এই বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘আমার জানা নেই।’
চিকিৎসকদের এই সংগঠনের তরফে এমনই অভিযোগ, মেডিকেল এডুকেশন সার্ভিসে সম্প্রতি বেশ কয়েকজনের বদলির বিষয়টি ‘প্রতিহিংসামূলক’।
এই বদলির বিষয়টিকে সরকারি ভাবে রুটিন বদলি বলা হলেও, পরের দিনই সকলকে রিলিজ করে দেওয়া হয়। কাউকে কাউকে ছুটি থেকে ডেকে নিয়ে এসে রিলিজ অর্ডার দেওয়া হয়। বদলি সংক্রান্ত এই বিষয়টি নিয়ে চিকিৎসকদের এই সংগঠনের এমনই অভিযোগ, বদলির এই নির্দেশে কাউকে যেমন, এমন জায়গায় পাঠানো হয়েছে, যেখানে সংশ্লিষ্ট বিভাগই নেই। তেমনই, ১০ বছর জেলা স্তরে কাজ করার পরেও চাকরি জীবন থেকে অবসর গ্রহণের তিন বছর আগে আবারও বদলি করে দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি আবার কয়েকজনকে বদলি করা হয়েছে। বদলির এই তালিকায় রয়েছেন এসএসকেএম হাসপাতাল তথা, ইনস্টিটিউট অফ পোস্ট গ্রাজুয়েট মেডিকেল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ, কলকাতার নেফ্রোলজি বিভাগের প্রধান এবং, আরজিকর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের সদ্য প্রাক্তন প্রধান।
চিকিৎসকদের এই সংগঠনের এমনই অভিযোগ, এসএসকেএম হাসপাতালে ডিএম নেফ্রোলজিতে ৩০ জন পড়ুয়া রয়েছেন। এখানকার নেফ্রোলজি বিভাগের প্রধানকে অন্যত্র বদলি করে দেওয়ার কারণে এই পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ এখন বিপদের সম্মুখীন।
এসএসকেএম হাসপাতালের নেফ্রোলজি বিভাগের প্রধান এই শিক্ষক-চিকিৎসক আবার অঙ্গ প্রতিস্থাপনের জন্য রিজিওনাল অর্গান অ্যান্ড টিস্যু ট্রান্সপ্ল্যান্ট অর্গানাইজেশনের জয়েন্ট ডিরেক্টর। অথচ তাঁকে তাঁর বিভাগহীন জায়গায় বদলি করে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে এ রাজ্যের অঙ্গ প্রতিস্থাপনের বিষয়টিও এখন বিপদের সম্মুখীন বলে চিকিৎসকদের এই সংগঠনের অভিযোগ।