২০ এপ্রিল ২০২৫, রবিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আলো দূষণ: খালি চোখে আর দেখা  যাবে না আকাশের তারা!

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৯ মে ২০২৩, সোমবার
  • / 9

বিশেষ প্রতিবেদন: হাজার হাজার বছর ধরে রাতের আকাশে চলছে তারাদের খেলা। অথচ মহাকাশের শোভা হয়ে থাকা সেই তারা নাকি ‘অদৃশ্য’ হয়ে যাবে! শত চেষ্টাতেও আর তাদের দেখা যাবে না পৃথিবী থেকে। এক গবেষণায় সেই ইঙ্গিত দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। বলছেন, আলো নিঃসরণকারী ডায়োডসহ বিভিন্ন ধরনের আলোর অতি ব্যবহার রাতের আকাশকে উজ্জ্বল করছে। ফলে দূষিত হচ্ছে রাতের আলো। দৃষ্টি হ্রাস পাচ্ছে।

এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামী ২০ বছরের মধ্যে রাতের আকাশে আর তারাদের দেখা যাবে না বলে আশঙ্কা গবেষকদের। পরের দিকে তাকালে শুধু ফাঁকা আকাশই চোখে পড়বে। এর বাইরে আর চোখ যাবে না! এলইডির ব্যবহার, রাস্তার অলোকসজ্জা, বাহ্যিক আলোর সীমাহীন ব্যবহারই এর মূল কারণ যা দিনে দিনে মানুষের দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ করে তুলছে।

স্বাস্থ্যের ওপরও ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। গবেষণায় জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, ২০১৬ সাল থেকেই আলোক দূষণ যথেষ্ট খারাপের দিকে এগোচ্ছে। সে সময়ই গবেষকরা জানিয়েছিলেন, বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ মানুষ আর রাতের আকাশে মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি দেখতে পান না। গত সাত বছরে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।

রাতের আকাশে দূষণ বেড়েছে। একই হারে চলতে থাকলে আগামী দুই দশকের মধ্যে প্রধান নক্ষত্রপুঞ্জগুলোও আর দৃশ্যমান থাকবে না। গবেষক দলের সদস্য জার্মান সেন্টার ফর জিওসায়েন্সের পদার্থবিদ ক্রিস্টোফার কাইবার জানান, আলোক দূষণ এখন রাতের আকাশকে ১০ হারে উজ্জ্বল করে তুলছে।

এটি এমন একটি বৃদ্ধি যা সবার দৃষ্টিশক্তিকে বিলুপ্ত করবে। একপর্যায়ে আকাশে থাকা সবচেয়ে উজ্জ্বল নক্ষত্রও মানুষ আর খালি চোখে দেখতে পারবে না। গবেষকরা জানান, আজ একটি শিশু জন্মালে সে রাতের আকাশে ২৫০টি তারা দেখতে পাবে। তবে তার বয়স যখন ১৮ হবে তখন সে আকাশে মাত্র ১০০টি তারা খুঁজে পাবে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

আলো দূষণ: খালি চোখে আর দেখা  যাবে না আকাশের তারা!

আপডেট : ২৯ মে ২০২৩, সোমবার

বিশেষ প্রতিবেদন: হাজার হাজার বছর ধরে রাতের আকাশে চলছে তারাদের খেলা। অথচ মহাকাশের শোভা হয়ে থাকা সেই তারা নাকি ‘অদৃশ্য’ হয়ে যাবে! শত চেষ্টাতেও আর তাদের দেখা যাবে না পৃথিবী থেকে। এক গবেষণায় সেই ইঙ্গিত দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। বলছেন, আলো নিঃসরণকারী ডায়োডসহ বিভিন্ন ধরনের আলোর অতি ব্যবহার রাতের আকাশকে উজ্জ্বল করছে। ফলে দূষিত হচ্ছে রাতের আলো। দৃষ্টি হ্রাস পাচ্ছে।

এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামী ২০ বছরের মধ্যে রাতের আকাশে আর তারাদের দেখা যাবে না বলে আশঙ্কা গবেষকদের। পরের দিকে তাকালে শুধু ফাঁকা আকাশই চোখে পড়বে। এর বাইরে আর চোখ যাবে না! এলইডির ব্যবহার, রাস্তার অলোকসজ্জা, বাহ্যিক আলোর সীমাহীন ব্যবহারই এর মূল কারণ যা দিনে দিনে মানুষের দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ করে তুলছে।

স্বাস্থ্যের ওপরও ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। গবেষণায় জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, ২০১৬ সাল থেকেই আলোক দূষণ যথেষ্ট খারাপের দিকে এগোচ্ছে। সে সময়ই গবেষকরা জানিয়েছিলেন, বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ মানুষ আর রাতের আকাশে মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি দেখতে পান না। গত সাত বছরে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।

রাতের আকাশে দূষণ বেড়েছে। একই হারে চলতে থাকলে আগামী দুই দশকের মধ্যে প্রধান নক্ষত্রপুঞ্জগুলোও আর দৃশ্যমান থাকবে না। গবেষক দলের সদস্য জার্মান সেন্টার ফর জিওসায়েন্সের পদার্থবিদ ক্রিস্টোফার কাইবার জানান, আলোক দূষণ এখন রাতের আকাশকে ১০ হারে উজ্জ্বল করে তুলছে।

এটি এমন একটি বৃদ্ধি যা সবার দৃষ্টিশক্তিকে বিলুপ্ত করবে। একপর্যায়ে আকাশে থাকা সবচেয়ে উজ্জ্বল নক্ষত্রও মানুষ আর খালি চোখে দেখতে পারবে না। গবেষকরা জানান, আজ একটি শিশু জন্মালে সে রাতের আকাশে ২৫০টি তারা দেখতে পাবে। তবে তার বয়স যখন ১৮ হবে তখন সে আকাশে মাত্র ১০০টি তারা খুঁজে পাবে।