বিহারে মদ নিষিদ্ধই থাকবে, জানিয়ে দিলেন নীতীশ

- আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০২২, মঙ্গলবার
- / 8
পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ মদের উপর নিষেধাজ্ঞা যেমন ছিল তেমনই থাকবে। তাতে কোনও বদল আসবে না। ফের স্পষ্ট করে দিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। তিনি বলেন ,এই নিষেধাজ্ঞা বৃহত্তর সমাজের জন্য। বিহারে মদ নিষিদ্ধ হওয়ায় সামগ্রিকভাবে উপকৃত হয়েছে সমাজ।
এই নিষেধাজ্ঞার ফলে বহু টাকার রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে। সে কথা যে নীতীশ জানেন না, তা নয়। কিন্তু তারপরও তিনি মদ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তে অনড়। নীতীশকে বুঝিয়েছেন তাঁরই শরিক দলের সুপ্রিম তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতনরাম মাঝি সহ অন্য নেতারাও।
তার মধ্যে কংগ্রেস নেতারাও রয়েছেন। বিজেপি নেতারাও অনেকেই চাইছেন নীতীশ কুমার মদ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করুন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মদ নিষিদ্ধ করার ফলে সবথেকে উপকৃত হয়েছেন রাজ্যের মহিলারা। ২০১৬ তে মদ নিষিদ্ধ হওয়ার পর গার্হস্থ্য হিংসা অনেক কমেছে। কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা বাদ দিলে এই নিষেধাজ্ঞায় আসলে সমাজের কল্যাণ হয়েছে।
নীতীশ বলেন, ‘মদ খেয়ে মানুষ শয়তান হয়ে যায়। রাজ্যের মহিলাদের দাবিকে গুরুত্ব দিয়ে এবং রাজনৈতিক দলগুলির ঐক্যমতের ভিত্তিতে আমরা মদ নিষিদ্ধ করেছি। এতে সমাজের একটি বড় অংশ উপকৃত হয়েছে। সুতরাং, এখানে এই নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত থাকবে।’
মদ সকলের জন্যই মারাত্মক। তবে উচ্চবিত্তের লোকজন অনেক সময় সংযত হয়ে মদ্য পান করে। কিন্তু শ্রমিক, দিন মজুর এবং দরিদ্র মানুষরা তা করে না। তারা মদ খেয়ে পরে থাকে। মদ খেয়ে বাড়ি এসে তারা স্ত্রী ও সন্তানদের মারধর করে। মাতাল হযে পড়ে থাকে।
কাজ করে না। এই মদের কারণে বহু পরিবার সামাজিক ও আর্থিক দিক ক্ষয়ে শেষ হয়ে যায়। মদ শারীরিকভাবে ক্ষতি করেই একই সঙ্গে গোটা পরিবারটিকে আর্হিকভাবেও ধ্বংস করে দেয়। সে কথা মাথায় রেখেই ক্ষতি শিকার করেও নীতিশি বলছেন তিনি মদে নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখবেন।
বিরোধীদের অভিযোগ বিহারে গরিব মানুষ নাগালে মদ না পেলেও ধনীদের অভাব হচ্ছে না। তাছাড়া সস্তা মদ ব্ল্যাকে অনেক বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। নীতীশের এই সিদ্ধান্তের যারা বিরোধী তাদের অভিযোগ এখানে আসলে মদ মাফিয়ারা কাজ করছে। এই নিষেধাজ্ঞায় তারা লাভবান হচ্ছে। কিন্তু একথা সত্য যে মদে নিষেধাজ্ঞা আরোপের যে সিদ্ধান্ত নীতিশ নিয়েছেন তাতে বিহারের অপরাধ অনেকটাই কমেছে। মদ এই অপরাধ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকে পালন করে।