ছোটদের কথা শোনা

- আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, শনিবার
- / 11
পুবের কলম,দ্বীন দুনিয়া ডেস্ক: তোমরা যখন বড়দের কোনও বিষয়ে কথা বলতে যাও, তখন কি ধমক খাও? হয়তো তুমি খাও না, তবে অনেকেই খায়। তাদেরকে বলা হয়, ‘বড়দের কথার মধ্যে কথা বলতে এসো না।’ এটা ঠিক, বড়দের কথার ভেতর আগবাড়িয়ে কথা বলা ঠিক নয়। তবে যদি এমন হয়, বড়রা কোনও একটা সমাধান খুঁজছে আর সবচেয়ে ভালো সমাধান পাচ্ছে না। সেটি আছে ছোটদের কাছে। তখন কি করা উচি,? তখন তো ছোটদের সমাধানটিই নেওয়া উচিত, তাই না। কিন্তু ছোটদের কথাই যদি শোনা না হয়, তাহলে সমাধানটি কীভাবে পাওয়া যাবে?
দাউদ আলাইহিস সালাম তাঁর কিশোর ছেলে সুলায়মানকে ধমক দিতেন না। ছেলের কথা শুনতেন। তাঁর মতামত নিতেন। এমনকি ছেলের মতামত যদি ভালো হ’ত, তাহলে নিজের মত বাতিল করে দিতেন। একবার কি হয়েছে শোনো। একজন চাষি এসে বলল, তার ফসল খেয়ে ফেলেছে আরেকজনের ছাগলে। ক্ষেতের ফসলের অনেক ক্ষতি হয়েছে। নবী তখন বললেন, ফসলের ক্ষতিপূরণ হিসেবে ছাগলগুলো নিয়ে নাও। বিচারে ভুল ছিল না। সহজ সমাধান। ফসলের ক্ষতি হয়েছে এখন ক্ষতিপূরণ দাও। ছাগলের মালিকেও কথা ছিল না। সেও রায় মেনে চুপচাপ চলে যাচ্ছিল। সুলায়মান বললেন, বাবা দু’জনের দিকেই খেয়াল রাখুন। দাউদ আলাইহিস সালাম বললেন, তাহলে তুমিই ফায়সালা করে দাও।
সুলায়মান বললেন, ফসলের মালিক ছাগলগুলো নিয়ে যাবে। সে এগুলোর দুধ ভোগ করবে। ছাগলের মালিক ক্ষেতে যাবে। সে ফসলগুলোর যত্ন নেবে। যখন ফসলহুলো আগের মতো হয়ে যাবে, তখন সে ছাগলগুলো ফিরে পারে। এবার ছাগলের মালিকের মুখে হাসি ফুটলো। নবীও দেখলেন, আসলেই এতে দু’জনই উপকার পাবে। তিনিও এই রায় মেনে নিলেন।