০৬ মে ২০২৫, মঙ্গলবার, ২৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নজরে ২০২৪! মেঘালয় দিল্লি বা গুজরাতের সামনে মাথা নীচু করবে না, গণতন্ত্রে মানুষই শেষকথা:  অভিষেক

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২৯ জুন ২০২২, বুধবার
  • / 18

ফাইল চিত্র

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: নজরে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন। সংগঠনের শক্তি বাড়াতে জোর লড়াইয়ে তৃণমূল। ২০২১-এ তৃতীয়বার বাংলা দখলের পরই দেশের ছোটো রাজ্যগুলিতে সংগঠন বাড়ানোর কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছে ঘাসফুল শিবির। ইতিমধ্যেই কংগ্রেসের ১২ জন বিধায়ক তৃণমূলে যোগদান করায় এখন মেঘালয় বিধানসভায় প্রধান বিরোধী দল তৃণমূলই। আগামী বছর মেঘালয় বিধানসভার নির্বাচনেও অংশ নেবে বাংলার শাসকদল।

এবার ত্রিপুরার পরে বুধবার মেঘালয় সফরে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে অভিষেক বলেন, ‘গণতন্ত্রে মানুষই শেষকথা। দ্বিতীয়বার স্বাধীনতা দেখবে মেঘালয়। এনপিপি সরকার মেঘালয়ের মানুষের স্বার্থ উপেক্ষা করছে। কিন্তু মেঘালয় আপোস করবে না। মেঘালয় দিল্লি বা গুজরাতের সামনে মাথা নীচু করবে না। উত্তর পূর্ব ভারত ভগবানের, শান্তির, সম্প্রীতির।

আরও পড়ুন: বিচারককে খুনের হুমকি! অভিযুক্ত এবং তার আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ

এদিন অভিষেক কটাক্ষ করে বলেন, কেন উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিকে উপেক্ষা করা হয়েছে। কংগ্রেস, বিজেপিও উত্তর পূর্ব রাজ্যকে অবহেলা করেছে।

আরও পড়ুন: দিল্লিতে ভেঙে পড়ল চারতলা বাড়ি, নিহত ৪, জোর কদমে চলছে উদ্ধারকাজ

অভিষেক বলেন, একমাত্র তৃণমূলই বিজেপিকে হারাতে পারে। বিজেপি প্রত্যেক বিরোধী দলে এজেন্সি দিয়ে হেনস্থা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: দাম কমল বাণিজ্যিক গ্যাসের, ১ এপ্রলি থেকে দাম কার্যকর

আত্মপ্রত্যয়ীভঙ্গিতে অভিষেক বলেন, ৬ মাস পর যখন নতুন সরকার গঠিত হবে, মেঘালয় মেঘালয়কে শাসন করবে। মেঘালয়ে তৃণমূল যে ‘বহিরাগত’ নয় তা প্রমাণ করতে অভিষেক জানিয়েছেন,  তৃণমূল জিতলেও মেঘালয়কে বাংলা শাসন করবে না। এখানের অধিবাসী খাসি, গারো, জয়ন্তিয়ারাই থাকবেন কারণ মুকুল সাংমা সহ বিধায়করা এখানকার স্থানীয় বাসিন্দা।

তৃণমূলের এই তরুণ তুর্কী নেতা বলেন, মেঘালয়ের মানুষের ধন্যবাদ তারা বিজেপি ও কংগ্রেসের মধ্যে আঁতাত বুঝতে পেরেছেন।

উল্লেখ্য, বুধবার একদিনের সফরে মেঘালয়ে সফরে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শিলংয়ে নতুন কার্যালয়ে উদ্বোধন করেছেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন, রাজ্যের জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী মানসরঞ্জন ভুঁইয়া ও মুকুল সাংমা।

এদিন বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক জর্জ লিংডো, জেনিথ সাংমারা। ঢোল-করতাল বাজিয়ে তাঁকে সাদরে আমন্ত্রণ জানানো হয় রাজ্যে। সেখান থেকেই নতুন কার্যালয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।

 

Copyright © 2025 Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

নজরে ২০২৪! মেঘালয় দিল্লি বা গুজরাতের সামনে মাথা নীচু করবে না, গণতন্ত্রে মানুষই শেষকথা:  অভিষেক

আপডেট : ২৯ জুন ২০২২, বুধবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: নজরে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন। সংগঠনের শক্তি বাড়াতে জোর লড়াইয়ে তৃণমূল। ২০২১-এ তৃতীয়বার বাংলা দখলের পরই দেশের ছোটো রাজ্যগুলিতে সংগঠন বাড়ানোর কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছে ঘাসফুল শিবির। ইতিমধ্যেই কংগ্রেসের ১২ জন বিধায়ক তৃণমূলে যোগদান করায় এখন মেঘালয় বিধানসভায় প্রধান বিরোধী দল তৃণমূলই। আগামী বছর মেঘালয় বিধানসভার নির্বাচনেও অংশ নেবে বাংলার শাসকদল।

এবার ত্রিপুরার পরে বুধবার মেঘালয় সফরে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে অভিষেক বলেন, ‘গণতন্ত্রে মানুষই শেষকথা। দ্বিতীয়বার স্বাধীনতা দেখবে মেঘালয়। এনপিপি সরকার মেঘালয়ের মানুষের স্বার্থ উপেক্ষা করছে। কিন্তু মেঘালয় আপোস করবে না। মেঘালয় দিল্লি বা গুজরাতের সামনে মাথা নীচু করবে না। উত্তর পূর্ব ভারত ভগবানের, শান্তির, সম্প্রীতির।

আরও পড়ুন: বিচারককে খুনের হুমকি! অভিযুক্ত এবং তার আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ

এদিন অভিষেক কটাক্ষ করে বলেন, কেন উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিকে উপেক্ষা করা হয়েছে। কংগ্রেস, বিজেপিও উত্তর পূর্ব রাজ্যকে অবহেলা করেছে।

আরও পড়ুন: দিল্লিতে ভেঙে পড়ল চারতলা বাড়ি, নিহত ৪, জোর কদমে চলছে উদ্ধারকাজ

অভিষেক বলেন, একমাত্র তৃণমূলই বিজেপিকে হারাতে পারে। বিজেপি প্রত্যেক বিরোধী দলে এজেন্সি দিয়ে হেনস্থা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: দাম কমল বাণিজ্যিক গ্যাসের, ১ এপ্রলি থেকে দাম কার্যকর

আত্মপ্রত্যয়ীভঙ্গিতে অভিষেক বলেন, ৬ মাস পর যখন নতুন সরকার গঠিত হবে, মেঘালয় মেঘালয়কে শাসন করবে। মেঘালয়ে তৃণমূল যে ‘বহিরাগত’ নয় তা প্রমাণ করতে অভিষেক জানিয়েছেন,  তৃণমূল জিতলেও মেঘালয়কে বাংলা শাসন করবে না। এখানের অধিবাসী খাসি, গারো, জয়ন্তিয়ারাই থাকবেন কারণ মুকুল সাংমা সহ বিধায়করা এখানকার স্থানীয় বাসিন্দা।

তৃণমূলের এই তরুণ তুর্কী নেতা বলেন, মেঘালয়ের মানুষের ধন্যবাদ তারা বিজেপি ও কংগ্রেসের মধ্যে আঁতাত বুঝতে পেরেছেন।

উল্লেখ্য, বুধবার একদিনের সফরে মেঘালয়ে সফরে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শিলংয়ে নতুন কার্যালয়ে উদ্বোধন করেছেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন, রাজ্যের জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী মানসরঞ্জন ভুঁইয়া ও মুকুল সাংমা।

এদিন বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক জর্জ লিংডো, জেনিথ সাংমারা। ঢোল-করতাল বাজিয়ে তাঁকে সাদরে আমন্ত্রণ জানানো হয় রাজ্যে। সেখান থেকেই নতুন কার্যালয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।