১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রেমিকার এলোপাথাড়ি ছুরির কোপ! মৃত্যু প্রেমিকের

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৩০ মে ২০২৩, মঙ্গলবার
  • / 13

প্রতীকী ছবি

পুবেরকলম, ওয়েবডেস্ক: লিভ ইন সম্পর্ক, অপরিণত বয়সে প্রেম সমাজে জন্ম দিচ্ছে এক অরাজকতার। দিল্লির খুনের ছায়া এবার মহারাষ্ট্রেও। ১৬ বছরের নাবালিকাকে নৃশংসভাবে খুনের ঘটনায় উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহর থেকে গ্রেফতার হয় অভিযুক্ত সাহিল।  তার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই মহারাষ্ট্র এক নশংস খুনের ঘটনার সাক্ষী থাকল। যেখানে প্রেমিকার এলোপাথাড়ি ছুরির হামলায় মৃত্যু হয়েছে প্রেমিকের। আহত প্রেমিকাও। তবে কি কারণে এই খুন তার কিনারা এখনও করে উঠতে পারেনি পুলিশ।

মহারাষ্ট্রেও খুনের ঘটনায় প্রেমিকের শরীরে একাধিকবার ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসার পরেও শেষরক্ষা হয়নি। মহারাষ্ট্রের ওয়াঘোলির ঘটনা। মৃত ২২ বছরের প্রেমিকের নাম যশবন্ত মুণ্ডে। প্রেমিকার নাম আকাঙ্খা(২১)। প্রেমিক যশবন্তের ঘরে প্রায়শই আসতেন আকাঙ্খা। পড়াশোনার নাম করে যশবন্তের ঘরে  একসঙ্গেই থাকতেন দুজনে।

লোনিকান্ড থানার ঊর্ধ্বতন পুলিশ আধিকারিক গজানন পাওয়ার জানান, যশবন্ত মুণ্ডে লাটুরের ছেলে। এখানে ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতেন। সেখানেই আসতেন আকাঙ্খা পানহেলে। দুজনে একসঙ্গে পড়াশোনা করতেন।  যশবন্ত ও আকাঙ্খার মধ্যে প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল। আহমেদনগরের বাসিন্দা ছিলেন আকাঙ্খা। ঘটনার দিন আগের রাতেও আকাঙ্খা আসেন যশবন্তের ঘরে। সেখানে ভোরের দিকে দুজনের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। এর পরেই রাগে উন্মত্ত হয়ে আকাঙ্খা রান্নাঘরে থাকা সবজি কাটার ছুরি দিয়ে যশবন্তের উপর হামলা চালায়। একাধিকবার তার শরীরে ছুরি দিয়ে কোপাতে থাকে। গুরুতর আহত যশবন্তকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু চিকিৎসা শুরুর আগেই মৃত্যু হয় তার। ঘটনায় আহত হন আকাঙ্খা। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।  যশবন্ত এবং আকাঙ্খা দুজনেই ওয়াঘোলির রাইসোনি কলেজে ডেটা সায়েন্স কোর্সের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। পরীক্ষার সময় তারা প্রায়ই একসঙ্গে পড়াশোনা করতেন। কি কারণে এই হত্যাকাণ্ড তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশেও বুলন্দশহরে সাহিলের সঙ্গে মৃতার নাবালিকার প্রণয়ের সম্পর্ক সাহিলের। মেয়েটি তার বন্ধুর বাড়িতে নিমন্ত্রণে যাওয়ার সময় তাকে নির্মম ভাবে হত্যা করে সাহিল। মাথায়  প্রায় ২০ বার ছুরি দিয়ে আঘাত করার পর ছুরিটি এক সময় গেঁথে যায় খুলিতে। এরপর  বড় পাথর দিয়ে মেয়েটির মাথায় আঘাত করে সে। পুরো ঘটনাই ধরা পড়েছে সিসিটিভি  ফুটেজে। পুলিশ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইপিসি ৩০২ ধারায় এফআইআর দায়ের করেছে।

বিশেষজ্ঞদের কথায়, বর্তমান সমাজে দিনের পর মানুষের মধ্যে ধৈর্য্য কমে যাচ্ছে। পাশাপাশি জন্ম নিচ্ছে অপরিণত বয়সে নর-নারীর মধ্যে লিভ ইন সম্পর্ক। পরস্পরের চাহিদা না মিটলেই আক্রোশের জন্ম নিচ্ছে।  ঘটছে খুনের মতো নৃশংসতা।

 

 

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

প্রেমিকার এলোপাথাড়ি ছুরির কোপ! মৃত্যু প্রেমিকের

আপডেট : ৩০ মে ২০২৩, মঙ্গলবার

পুবেরকলম, ওয়েবডেস্ক: লিভ ইন সম্পর্ক, অপরিণত বয়সে প্রেম সমাজে জন্ম দিচ্ছে এক অরাজকতার। দিল্লির খুনের ছায়া এবার মহারাষ্ট্রেও। ১৬ বছরের নাবালিকাকে নৃশংসভাবে খুনের ঘটনায় উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহর থেকে গ্রেফতার হয় অভিযুক্ত সাহিল।  তার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই মহারাষ্ট্র এক নশংস খুনের ঘটনার সাক্ষী থাকল। যেখানে প্রেমিকার এলোপাথাড়ি ছুরির হামলায় মৃত্যু হয়েছে প্রেমিকের। আহত প্রেমিকাও। তবে কি কারণে এই খুন তার কিনারা এখনও করে উঠতে পারেনি পুলিশ।

মহারাষ্ট্রেও খুনের ঘটনায় প্রেমিকের শরীরে একাধিকবার ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসার পরেও শেষরক্ষা হয়নি। মহারাষ্ট্রের ওয়াঘোলির ঘটনা। মৃত ২২ বছরের প্রেমিকের নাম যশবন্ত মুণ্ডে। প্রেমিকার নাম আকাঙ্খা(২১)। প্রেমিক যশবন্তের ঘরে প্রায়শই আসতেন আকাঙ্খা। পড়াশোনার নাম করে যশবন্তের ঘরে  একসঙ্গেই থাকতেন দুজনে।

লোনিকান্ড থানার ঊর্ধ্বতন পুলিশ আধিকারিক গজানন পাওয়ার জানান, যশবন্ত মুণ্ডে লাটুরের ছেলে। এখানে ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতেন। সেখানেই আসতেন আকাঙ্খা পানহেলে। দুজনে একসঙ্গে পড়াশোনা করতেন।  যশবন্ত ও আকাঙ্খার মধ্যে প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল। আহমেদনগরের বাসিন্দা ছিলেন আকাঙ্খা। ঘটনার দিন আগের রাতেও আকাঙ্খা আসেন যশবন্তের ঘরে। সেখানে ভোরের দিকে দুজনের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। এর পরেই রাগে উন্মত্ত হয়ে আকাঙ্খা রান্নাঘরে থাকা সবজি কাটার ছুরি দিয়ে যশবন্তের উপর হামলা চালায়। একাধিকবার তার শরীরে ছুরি দিয়ে কোপাতে থাকে। গুরুতর আহত যশবন্তকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু চিকিৎসা শুরুর আগেই মৃত্যু হয় তার। ঘটনায় আহত হন আকাঙ্খা। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।  যশবন্ত এবং আকাঙ্খা দুজনেই ওয়াঘোলির রাইসোনি কলেজে ডেটা সায়েন্স কোর্সের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। পরীক্ষার সময় তারা প্রায়ই একসঙ্গে পড়াশোনা করতেন। কি কারণে এই হত্যাকাণ্ড তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশেও বুলন্দশহরে সাহিলের সঙ্গে মৃতার নাবালিকার প্রণয়ের সম্পর্ক সাহিলের। মেয়েটি তার বন্ধুর বাড়িতে নিমন্ত্রণে যাওয়ার সময় তাকে নির্মম ভাবে হত্যা করে সাহিল। মাথায়  প্রায় ২০ বার ছুরি দিয়ে আঘাত করার পর ছুরিটি এক সময় গেঁথে যায় খুলিতে। এরপর  বড় পাথর দিয়ে মেয়েটির মাথায় আঘাত করে সে। পুরো ঘটনাই ধরা পড়েছে সিসিটিভি  ফুটেজে। পুলিশ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইপিসি ৩০২ ধারায় এফআইআর দায়ের করেছে।

বিশেষজ্ঞদের কথায়, বর্তমান সমাজে দিনের পর মানুষের মধ্যে ধৈর্য্য কমে যাচ্ছে। পাশাপাশি জন্ম নিচ্ছে অপরিণত বয়সে নর-নারীর মধ্যে লিভ ইন সম্পর্ক। পরস্পরের চাহিদা না মিটলেই আক্রোশের জন্ম নিচ্ছে।  ঘটছে খুনের মতো নৃশংসতা।