২০ এপ্রিল ২০২৫, রবিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খুলল মাদ্রাসা, শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেওয়া হল ফুল, মিষ্টি, মাস্ক দিয়ে

পুবের কলম
  • আপডেট : ১৬ নভেম্বর ২০২১, মঙ্গলবার
  • / 7

Warning: Attempt to read property "post_excerpt" on null in /home/u419551674/domains/puberkalom.in/public_html/wp-content/themes/NewsFlash-Pro/template-parts/common/single_one.php on line 122

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ প্রায় দেড় বছরবাদে খুলল রাজ্যের মাদ্রাসাগুলিও। পাশাপাশি খুলেছে স্কুল কলেজগুলি। কিন্তু মাদ্রাসা শিক্ষকরাও যে কোনো অংশে কম নয়, সেটি দেখিয়ে দিল বেশ কিছু মাদ্রাসা। মঙ্গলবার মাদ্রাসা মুখী নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রীদের কাউকে ফুল, পেন– মাস্ক কিংবা স্যানিটাইজার দিয়ে বরণ করলেন শিক্ষকরা। বিভিন্ন মাদ্রাসা বিভিন্ন জিনিস দিয়ে ছাত্র ছাত্রীদের বরণ করে নেন।
হাতিশালা সরোজিনী হাইমাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক ইরফান আলি বিশ্বাস এবং উত্তর ২৪ পরগণা জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মদক্ষ তথা পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির রাজ্য সভাপতি একেএম ফারহাদ তাঁদের মাদ্রাসায় ছাত্র ছাত্রীদের পেন, গোলাপ এবং মাস্ক দিয়ে বরণ করে নেন। তারা আবার মিষ্টিমুখও করান।


একেএম ফারহাদ জানান, কোভিড বিধি মেনে শিক্ষক শিক্ষিকা ও ছাত্র ছাত্রীদের উৎসাহ দিতেই এই উদ্যোগ। রাজ্য সরকারের নির্দেশ মতো তারা এই কাজ করেন। তিনি বলেন, করোনা মোকাবিলা করে আবারও পড়াশুননার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। প্রত্যেকে এই কাজের জন্য সাধুবাদ জানান।
ইরফান আলি বিশ্বাস বলেন, শিক্ষক সমাজ ছাত্র ছাত্রীদের ছাড়া দূরে থাকতে পারে না। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আবারও পঠন-পাঠনের পরিবেশ ফিরে আসুক এটাই ঐকান্তিক ইচ্ছা।


অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদ, ডিএমই– এসআই– ডিআই বিডিও অফিস থেকেও কড়া নজর ছিল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে। মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি ড. আবু তাহের কমরুদ্দিন বলেন–দীর্ঘদিন বাদে ছাত্র ছাত্রীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসতে পেরে সকলেই আনন্দিত। তিনি জানান, বিভিন্ন মাদ্রাসা এবং মাদ্রাসা কমিটির সদস্যরা এই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে নানা উদ্যোগ নিয়েছেন।


কোনও স্কুল পেন, চকলেট, মাস্ক, মিষ্টি, ফুল দিয়ে বরণ করেছে। এটা তাদের নিজেদেরই উদ্যোগ। মাদ্রাসা কমিটিগুলি নিজেদের মতো করে প্রস্তুতি নিয়েছে। স্যানিটাইজেশন থেকে মাদ্রাসা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন তারা নিজেরাই করেছেন। এই উদ্যোগে খুশি পর্ষদ বলে পর্ষদ সভাপতি জানান।

আবার দক্ষিণ ২৪ পরগণা, হাওড়া, হুগলি, মুর্শিদাবাদ, মালদার বিভিন্ন স্কুলে প্রার্থনা পর্বে দেওয়া করোনা সচেতনতার পাঠ। বিদ্যালয়ে পোস্টার সহ নানা সচেতনতা মূলক প্রচারও করা হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগণার বিভিন্ন মাদ্রাসায় এই পাঠ দেওয়া হয় বলে জানান, শিক্ষক নেতা আবু সুফিয়ান পাইক, চম্পক নাগের মতো শিক্ষকরা।
মাদ্রাসা শিক্ষা ও শিক্ষাকর্মী সমিতির মুখপাত্র সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন বলেন, তাদের সংগঠনও সচেতনতার জন্য কাজ করছে। তারাও ছাত্র ছাত্রী উৎসাহিত করতে নানা উদ্যোগ নিয়েছেন।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

খুলল মাদ্রাসা, শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেওয়া হল ফুল, মিষ্টি, মাস্ক দিয়ে

আপডেট : ১৬ নভেম্বর ২০২১, মঙ্গলবার

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ প্রায় দেড় বছরবাদে খুলল রাজ্যের মাদ্রাসাগুলিও। পাশাপাশি খুলেছে স্কুল কলেজগুলি। কিন্তু মাদ্রাসা শিক্ষকরাও যে কোনো অংশে কম নয়, সেটি দেখিয়ে দিল বেশ কিছু মাদ্রাসা। মঙ্গলবার মাদ্রাসা মুখী নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রীদের কাউকে ফুল, পেন– মাস্ক কিংবা স্যানিটাইজার দিয়ে বরণ করলেন শিক্ষকরা। বিভিন্ন মাদ্রাসা বিভিন্ন জিনিস দিয়ে ছাত্র ছাত্রীদের বরণ করে নেন।
হাতিশালা সরোজিনী হাইমাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক ইরফান আলি বিশ্বাস এবং উত্তর ২৪ পরগণা জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মদক্ষ তথা পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির রাজ্য সভাপতি একেএম ফারহাদ তাঁদের মাদ্রাসায় ছাত্র ছাত্রীদের পেন, গোলাপ এবং মাস্ক দিয়ে বরণ করে নেন। তারা আবার মিষ্টিমুখও করান।


একেএম ফারহাদ জানান, কোভিড বিধি মেনে শিক্ষক শিক্ষিকা ও ছাত্র ছাত্রীদের উৎসাহ দিতেই এই উদ্যোগ। রাজ্য সরকারের নির্দেশ মতো তারা এই কাজ করেন। তিনি বলেন, করোনা মোকাবিলা করে আবারও পড়াশুননার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। প্রত্যেকে এই কাজের জন্য সাধুবাদ জানান।
ইরফান আলি বিশ্বাস বলেন, শিক্ষক সমাজ ছাত্র ছাত্রীদের ছাড়া দূরে থাকতে পারে না। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আবারও পঠন-পাঠনের পরিবেশ ফিরে আসুক এটাই ঐকান্তিক ইচ্ছা।


অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদ, ডিএমই– এসআই– ডিআই বিডিও অফিস থেকেও কড়া নজর ছিল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে। মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি ড. আবু তাহের কমরুদ্দিন বলেন–দীর্ঘদিন বাদে ছাত্র ছাত্রীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসতে পেরে সকলেই আনন্দিত। তিনি জানান, বিভিন্ন মাদ্রাসা এবং মাদ্রাসা কমিটির সদস্যরা এই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে নানা উদ্যোগ নিয়েছেন।


কোনও স্কুল পেন, চকলেট, মাস্ক, মিষ্টি, ফুল দিয়ে বরণ করেছে। এটা তাদের নিজেদেরই উদ্যোগ। মাদ্রাসা কমিটিগুলি নিজেদের মতো করে প্রস্তুতি নিয়েছে। স্যানিটাইজেশন থেকে মাদ্রাসা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন তারা নিজেরাই করেছেন। এই উদ্যোগে খুশি পর্ষদ বলে পর্ষদ সভাপতি জানান।

আবার দক্ষিণ ২৪ পরগণা, হাওড়া, হুগলি, মুর্শিদাবাদ, মালদার বিভিন্ন স্কুলে প্রার্থনা পর্বে দেওয়া করোনা সচেতনতার পাঠ। বিদ্যালয়ে পোস্টার সহ নানা সচেতনতা মূলক প্রচারও করা হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগণার বিভিন্ন মাদ্রাসায় এই পাঠ দেওয়া হয় বলে জানান, শিক্ষক নেতা আবু সুফিয়ান পাইক, চম্পক নাগের মতো শিক্ষকরা।
মাদ্রাসা শিক্ষা ও শিক্ষাকর্মী সমিতির মুখপাত্র সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন বলেন, তাদের সংগঠনও সচেতনতার জন্য কাজ করছে। তারাও ছাত্র ছাত্রী উৎসাহিত করতে নানা উদ্যোগ নিয়েছেন।