২০ এপ্রিল ২০২৫, রবিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বেঙ্গালুরু যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সফরসঙ্গী হচ্ছেন অভিষেক

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১৬ জুলাই ২০২৩, রবিবার
  • / 6

ফাইল চিত্র

পুবের কলম প্রতিবেদক:  বিজেপি বিরোধী ঐক্যে শান দিনে তৈরি তৃণমুল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই পায়ের চোট নিয়েই বেঙ্গালুরু যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা ভোট যতই এগিয়ে আসছে আর তখনই বিজেপির বিরুদ্ধে জোট বাঁধতে আরও শক্ত হচ্ছে বিরোধীরা। তাই গত ২৩ জুন নীতীশ কুমারের উদ্যোগে পটনায় বৈঠকে বসেছিল ১৭টি দল। একমঞ্চে এসেছিলেন সীতারাম ইয়েচুরি, রাহুল গান্ধি এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার দ্বিতীয় দফার বৈঠকে সেটাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চান সকলে। আর সেখানেই তৈরি হবে স্ট্র্যাটেজি।

সুতরাং ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন হবে টানটান উত্তেজনার মধ্যে।   এই আবহে জুলাই মাসেই আবার বৈঠকে বসতে চলেছে বিরোধী দলগুলি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ে চোট লেগেছিল। এখনও চিকিৎসা চলছে। তা নিয়েই তিনি বেঙ্গালুরু যাবেন বলে সূত্রের খবর। এমনকী তাঁর সফরসঙ্গী হচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

এখন দেশের বিজেপি বিরোধী দল গুলির নজর ২০২৪ সালের লোকসভা ভোট।  দেশের স্বার্থে বিজেপিকে হটাতে চান বিরোধী দলগুলি। তাই একমঞ্চে আসা। আবার বাংলার মানুষ পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। সেই তথ্য ইতিমধ্যেই অন্যান্য দলের কাছে পৌঁছে গিয়েছে। তার পর এই বিরোধী বৈঠক বেশ জমবে বলেই মনে করা হচ্ছে। লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে এবার বিজেপির বিরুদ্ধে জোট বাঁধছে বিরোধীরা।

অন্যদিকে, এই দ্বিতীয় দফার বৈঠকে থাকছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সেটা দুটো কারণে। এক, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ে চোট আছে। সেই অবস্থায় তিনি যাবেন। তাই পাশে থাকা। দুই, তাঁরও কিছু বার্তা দেওয়ার আছে। সেখানে উঠে আসতে পারে বাংলার কংগ্রেসের ভূমিকাও। আগামি ১৭ ও ১৯ জুলাই এই বৈঠক হবে বেঙ্গালুরুতে। সেই বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাজির থাকছেন বলেই এখন পর্যন্ত জানা যাচ্ছেû। তাঁর সঙ্গে বেঙ্গালুরু যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সেখান থেকে ফিরেই তাঁরা যোগ দেবেন একুশে জুলাইয়ের অনুষ্ঠানে। সেখান থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকে চরম বার্তা দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।

এখনও পর্যন্ত এরকমই সফরসূচি তৈরি আছে। তবে পরে তা বিশেষ কোনও কারণে বদলে যেতেও পারে। ইতিমধ্যেই তিনি আসছেন কিনা সে বিষয়ে খোঁজ নিয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব এবং নয়াদিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তবে সব কিছুই নির্ভর করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ের চোটের অবস্থার উপর। অবনতি হয়ে সেক্ষেত্রে সফরসূচির কাটছাঁট হতে পারে।

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বেঙ্গালুরু যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সফরসঙ্গী হচ্ছেন অভিষেক

আপডেট : ১৬ জুলাই ২০২৩, রবিবার

পুবের কলম প্রতিবেদক:  বিজেপি বিরোধী ঐক্যে শান দিনে তৈরি তৃণমুল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই পায়ের চোট নিয়েই বেঙ্গালুরু যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা ভোট যতই এগিয়ে আসছে আর তখনই বিজেপির বিরুদ্ধে জোট বাঁধতে আরও শক্ত হচ্ছে বিরোধীরা। তাই গত ২৩ জুন নীতীশ কুমারের উদ্যোগে পটনায় বৈঠকে বসেছিল ১৭টি দল। একমঞ্চে এসেছিলেন সীতারাম ইয়েচুরি, রাহুল গান্ধি এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার দ্বিতীয় দফার বৈঠকে সেটাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চান সকলে। আর সেখানেই তৈরি হবে স্ট্র্যাটেজি।

সুতরাং ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন হবে টানটান উত্তেজনার মধ্যে।   এই আবহে জুলাই মাসেই আবার বৈঠকে বসতে চলেছে বিরোধী দলগুলি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ে চোট লেগেছিল। এখনও চিকিৎসা চলছে। তা নিয়েই তিনি বেঙ্গালুরু যাবেন বলে সূত্রের খবর। এমনকী তাঁর সফরসঙ্গী হচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

এখন দেশের বিজেপি বিরোধী দল গুলির নজর ২০২৪ সালের লোকসভা ভোট।  দেশের স্বার্থে বিজেপিকে হটাতে চান বিরোধী দলগুলি। তাই একমঞ্চে আসা। আবার বাংলার মানুষ পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। সেই তথ্য ইতিমধ্যেই অন্যান্য দলের কাছে পৌঁছে গিয়েছে। তার পর এই বিরোধী বৈঠক বেশ জমবে বলেই মনে করা হচ্ছে। লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে এবার বিজেপির বিরুদ্ধে জোট বাঁধছে বিরোধীরা।

অন্যদিকে, এই দ্বিতীয় দফার বৈঠকে থাকছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সেটা দুটো কারণে। এক, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ে চোট আছে। সেই অবস্থায় তিনি যাবেন। তাই পাশে থাকা। দুই, তাঁরও কিছু বার্তা দেওয়ার আছে। সেখানে উঠে আসতে পারে বাংলার কংগ্রেসের ভূমিকাও। আগামি ১৭ ও ১৯ জুলাই এই বৈঠক হবে বেঙ্গালুরুতে। সেই বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাজির থাকছেন বলেই এখন পর্যন্ত জানা যাচ্ছেû। তাঁর সঙ্গে বেঙ্গালুরু যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সেখান থেকে ফিরেই তাঁরা যোগ দেবেন একুশে জুলাইয়ের অনুষ্ঠানে। সেখান থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকে চরম বার্তা দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।

এখনও পর্যন্ত এরকমই সফরসূচি তৈরি আছে। তবে পরে তা বিশেষ কোনও কারণে বদলে যেতেও পারে। ইতিমধ্যেই তিনি আসছেন কিনা সে বিষয়ে খোঁজ নিয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব এবং নয়াদিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তবে সব কিছুই নির্ভর করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ের চোটের অবস্থার উপর। অবনতি হয়ে সেক্ষেত্রে সফরসূচির কাটছাঁট হতে পারে।