১৭ মে ২০২৫, শনিবার, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পুজোর  আগে হকারদের পাশে মমতা, ৩ দফায় মিলবে ৮০ হাজার টাকা

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২৪ জুলাই ২০২৩, সোমবার
  • / 38

 

পুবের কলম প্রতিবেদক:  সামনে দুর্গাপুজো তার আগে কলকাতার হকারদের জন্য সুখবর রাজ্যের তরফে। রাজ্যের সব পুরসভা ও পুরনিগম এলাকার হকারদের এই সুযোগ দেওয়া হবে। সামনেই উৎসবের মরশুম। আর উৎসব  মানেই কেনাকাটার ধুম।

আরও পড়ুন: রামনবমীর শুভেচ্ছা মোদি-মমতা-রাহুলের, শান্তির বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

এই সময়ে হকাররা নানা পণ্যসামগ্রী পাইকারি দরে কেনেন ভালো ব্যবসার আশায়। কিন্তু হাতে টাকা কম থাকলে অনেকে ব্যবসা বাড়াতে পারেন না। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের স্বাবলম্বী করে তুলতে তিন দফায় মোট ৮০ হাজার টাকা ঋণ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রথম দফায় দেওয়া হচ্ছে ১০ হাজার টাকা। সেই টাকা শোধ করলে দ্বিতীয় দফায় দেওয়া হবে ২০ হাজার টাকা ঋণ। ঋণ শোধের সর্বোচ্চ সময়সীমা ১ বছর। ওই ঋণ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শোধ করলে সংশ্লিষ্ট হকার পাবেন আরও ৫০ হাজার টাকা। ব্যাঙ্কগুলি এই ঋণ দেবে। তাদের নির্ধারিত সুদের হারের ওপর ৭ শতাংশ ছাড় পাবেন হকাররা। এর জন্য হকারদের যে পুরসভা বা পুরনিগম এলাকায় তাঁরা ব্যবসা করেন সেই এলাকার পুর কর্তৃপক্ষের কাছে গিয়ে আবেদন করতে হবে তাঁদের।

আরও পড়ুন: রেড রোডে শুভেচ্ছা বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর, রিজওয়ানুরের বাড়িতে মমতা-অভিষেক

নবান্ন সূত্রে খবর, এই ঋণ পেতে ইতিমধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভা ও পুরনিগম এলাকা মিলিয়ে মোট ৭৫ হাজার ২৭২টি আবেদন জমা পড়েছে। এর মধ্যে ৪৬ হাজার ৫৬৯টি আবেদন অনুমোদিত হয়েছে। ৩৫ হাজার ৩৩৮ জন হকার ইতিমধ্যে ঋণ পেয়েও গিয়েছেন।

আরও পড়ুন: মেগা বৈঠক, চিকিৎসকদের ভাতা- বেতন বাড়ালেন মমতা

বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে এই খাতে এখনও পর্যন্ত দেওয়া ঋণের পরিমাণ ৩৯ কোটি ৩১ লক্ষ টাকা। ইতিমধ্যে ব্যাঙ্ক ৫২ কোটি ৪৭ লক্ষ টাকার ঋণ অনুমোদন করেছে।

প্রশাসনিক সূত্রে খবর, গ্রামীণ এলাকার কোনও বাসিন্দা পুর-এলাকায় হকারি করলে তিনিও এই সুবিধা পাবেন। মূলত রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি থেকেই ঋণ দেওয়া হচ্ছে। বেসরকারি ব্যাঙ্কও যাতে ঋণ দেয়, তার জন্য সরকারি স্তরে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে খবর।

আরও জানা গিয়েছে, ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত বর্ধমান পুরসভার পারফরম্যান্স সবচেয়ে ভালো। এরপর রয়েছে ব্যারাকপুর মহকুমার একাধিক পুরসভা। প্রত্যেক পুরসভায় এই প্রকল্পের জন্য একজন করে নোডাল অফিসার রয়েছেন।

উৎসবের আগে হকাররা এই টাকা পেলে ব্যবসার ক্ষেত্রে সুবিধা হবে বলে আশাবাদী সরকারি কর্তারা। রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের আধিকারিকরা মনে করছেন ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা এর ফলে উপকৃত হবেন।

বাজারের সার্বিক বেচাকেনার একটা বড় অংশ হকারদের নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। কিন্তু তাঁদের ব্যবসা বাড়াবার জন্য ব্যাঙ্ক ঋণ পাইয়ে দেওয়ার সরকারি উদ্যোগ ইতিপূর্বে খুব একটা দেখা যায়নি। এবার ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা লাভবান হবে আশা করা হচ্ছে।

 


                            

Copyright © 2025 Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পুজোর  আগে হকারদের পাশে মমতা, ৩ দফায় মিলবে ৮০ হাজার টাকা

আপডেট : ২৪ জুলাই ২০২৩, সোমবার

 

পুবের কলম প্রতিবেদক:  সামনে দুর্গাপুজো তার আগে কলকাতার হকারদের জন্য সুখবর রাজ্যের তরফে। রাজ্যের সব পুরসভা ও পুরনিগম এলাকার হকারদের এই সুযোগ দেওয়া হবে। সামনেই উৎসবের মরশুম। আর উৎসব  মানেই কেনাকাটার ধুম।

আরও পড়ুন: রামনবমীর শুভেচ্ছা মোদি-মমতা-রাহুলের, শান্তির বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

এই সময়ে হকাররা নানা পণ্যসামগ্রী পাইকারি দরে কেনেন ভালো ব্যবসার আশায়। কিন্তু হাতে টাকা কম থাকলে অনেকে ব্যবসা বাড়াতে পারেন না। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের স্বাবলম্বী করে তুলতে তিন দফায় মোট ৮০ হাজার টাকা ঋণ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রথম দফায় দেওয়া হচ্ছে ১০ হাজার টাকা। সেই টাকা শোধ করলে দ্বিতীয় দফায় দেওয়া হবে ২০ হাজার টাকা ঋণ। ঋণ শোধের সর্বোচ্চ সময়সীমা ১ বছর। ওই ঋণ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শোধ করলে সংশ্লিষ্ট হকার পাবেন আরও ৫০ হাজার টাকা। ব্যাঙ্কগুলি এই ঋণ দেবে। তাদের নির্ধারিত সুদের হারের ওপর ৭ শতাংশ ছাড় পাবেন হকাররা। এর জন্য হকারদের যে পুরসভা বা পুরনিগম এলাকায় তাঁরা ব্যবসা করেন সেই এলাকার পুর কর্তৃপক্ষের কাছে গিয়ে আবেদন করতে হবে তাঁদের।

আরও পড়ুন: রেড রোডে শুভেচ্ছা বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর, রিজওয়ানুরের বাড়িতে মমতা-অভিষেক

নবান্ন সূত্রে খবর, এই ঋণ পেতে ইতিমধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভা ও পুরনিগম এলাকা মিলিয়ে মোট ৭৫ হাজার ২৭২টি আবেদন জমা পড়েছে। এর মধ্যে ৪৬ হাজার ৫৬৯টি আবেদন অনুমোদিত হয়েছে। ৩৫ হাজার ৩৩৮ জন হকার ইতিমধ্যে ঋণ পেয়েও গিয়েছেন।

আরও পড়ুন: মেগা বৈঠক, চিকিৎসকদের ভাতা- বেতন বাড়ালেন মমতা

বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে এই খাতে এখনও পর্যন্ত দেওয়া ঋণের পরিমাণ ৩৯ কোটি ৩১ লক্ষ টাকা। ইতিমধ্যে ব্যাঙ্ক ৫২ কোটি ৪৭ লক্ষ টাকার ঋণ অনুমোদন করেছে।

প্রশাসনিক সূত্রে খবর, গ্রামীণ এলাকার কোনও বাসিন্দা পুর-এলাকায় হকারি করলে তিনিও এই সুবিধা পাবেন। মূলত রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি থেকেই ঋণ দেওয়া হচ্ছে। বেসরকারি ব্যাঙ্কও যাতে ঋণ দেয়, তার জন্য সরকারি স্তরে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে খবর।

আরও জানা গিয়েছে, ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত বর্ধমান পুরসভার পারফরম্যান্স সবচেয়ে ভালো। এরপর রয়েছে ব্যারাকপুর মহকুমার একাধিক পুরসভা। প্রত্যেক পুরসভায় এই প্রকল্পের জন্য একজন করে নোডাল অফিসার রয়েছেন।

উৎসবের আগে হকাররা এই টাকা পেলে ব্যবসার ক্ষেত্রে সুবিধা হবে বলে আশাবাদী সরকারি কর্তারা। রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের আধিকারিকরা মনে করছেন ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা এর ফলে উপকৃত হবেন।

বাজারের সার্বিক বেচাকেনার একটা বড় অংশ হকারদের নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। কিন্তু তাঁদের ব্যবসা বাড়াবার জন্য ব্যাঙ্ক ঋণ পাইয়ে দেওয়ার সরকারি উদ্যোগ ইতিপূর্বে খুব একটা দেখা যায়নি। এবার ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা লাভবান হবে আশা করা হচ্ছে।