১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হিন্দু মন্দিরে মুসলিম যুগলের বিয়ে, সম্প্রীতির নজির হিমাচল প্রদেশে

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৬ মার্চ ২০২৩, সোমবার
  • / 20

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির  নজির। হিন্দু মন্দিরে বিয়ে হল মুসলিম যুগলের। সমাজকে বার্তা দিতেই এই পদক্ষেপ। ঘটনাটি ঘটেছে গত রবিবার হিমাচল প্রদেশের সিমলা জেলার রামপুরে।

সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ইসলামিক রীতিনীতি মেনেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে ওই যুগল। মুসলিম  যুগলের এ বিয়ে দেখতে ওই মন্দিরে জড়ো হন হিন্দু ও মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মাওলানা সহ মন্দিরের  পুরোহিত ও আইনজীবী ।

মন্দিরটি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের জেলা অফিস। তাঁদের সাহায্য নিয়েই এমন বিয়ের আয়োজন করেছিলেন ওই দম্পতি। তাঁরা দুজনেই পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। বিয়ের কথা পাকাপাকি হতেই যুগলে সিদ্ধান্ত নেন, অন্য কোথাও নয়, কোনও হিন্দু মন্দিরে বিয়ে সারবেন তাঁরা। তবে হিন্দু মন্দিরে বিয়ে হলেও নিজেদের ধর্মীয় রীতি মেনেই বিয়ে সেরেছেন তাঁরা। বিয়ের দিন মন্দির চত্বর বেশ সুন্দর করেই সাজানো হয়েছিল। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নজির গড়তেই মন্দির চত্বরে মুসলিম যুগলের বিয়ের সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ।

ঘটনাপ্রসঙ্গে, রামপুরের ঠাকুর সত্যনারায়ণ মন্দির ট্রাস্টের জেনারেল সেক্রেটারি বিনয় শর্মা বলেন, “এই মন্দিরটি বিশ্ব হিন্দু পরিষদ পরিচালিত এবং রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের জেলা অফিস। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ  এবং এটি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের বিরুদ্ধে অভিযোগ, এই দুই সংগঠন মুসলিম-বিরোধী। কিন্তু, এই মন্দির চত্বরেই এক মুসলিম যুগলের বিয়ে হল। সনাতন ধর্ম যে সকলকে অন্তর্ভুক্ত করে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত করে, এটা তার নজির।”

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

হিন্দু মন্দিরে মুসলিম যুগলের বিয়ে, সম্প্রীতির নজির হিমাচল প্রদেশে

আপডেট : ৬ মার্চ ২০২৩, সোমবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির  নজির। হিন্দু মন্দিরে বিয়ে হল মুসলিম যুগলের। সমাজকে বার্তা দিতেই এই পদক্ষেপ। ঘটনাটি ঘটেছে গত রবিবার হিমাচল প্রদেশের সিমলা জেলার রামপুরে।

সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ইসলামিক রীতিনীতি মেনেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে ওই যুগল। মুসলিম  যুগলের এ বিয়ে দেখতে ওই মন্দিরে জড়ো হন হিন্দু ও মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মাওলানা সহ মন্দিরের  পুরোহিত ও আইনজীবী ।

মন্দিরটি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের জেলা অফিস। তাঁদের সাহায্য নিয়েই এমন বিয়ের আয়োজন করেছিলেন ওই দম্পতি। তাঁরা দুজনেই পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। বিয়ের কথা পাকাপাকি হতেই যুগলে সিদ্ধান্ত নেন, অন্য কোথাও নয়, কোনও হিন্দু মন্দিরে বিয়ে সারবেন তাঁরা। তবে হিন্দু মন্দিরে বিয়ে হলেও নিজেদের ধর্মীয় রীতি মেনেই বিয়ে সেরেছেন তাঁরা। বিয়ের দিন মন্দির চত্বর বেশ সুন্দর করেই সাজানো হয়েছিল। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নজির গড়তেই মন্দির চত্বরে মুসলিম যুগলের বিয়ের সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ।

ঘটনাপ্রসঙ্গে, রামপুরের ঠাকুর সত্যনারায়ণ মন্দির ট্রাস্টের জেনারেল সেক্রেটারি বিনয় শর্মা বলেন, “এই মন্দিরটি বিশ্ব হিন্দু পরিষদ পরিচালিত এবং রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের জেলা অফিস। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ  এবং এটি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের বিরুদ্ধে অভিযোগ, এই দুই সংগঠন মুসলিম-বিরোধী। কিন্তু, এই মন্দির চত্বরেই এক মুসলিম যুগলের বিয়ে হল। সনাতন ধর্ম যে সকলকে অন্তর্ভুক্ত করে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত করে, এটা তার নজির।”