২৮ এপ্রিল ২০২৫, সোমবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ডেঙ্গুরোধে এবার নিজেই সাফাই অভিযানে নামলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম, হাতে তুলে নিলেন বেলচা

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৯ নভেম্বর ২০২২, বুধবার
  • / 18

পুবের কলম প্রতিবেদক: কলকাতায় উত্তরোত্তর বেড়ে চলেছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। তার সঙ্গে প্রত্যেকদিনই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এই অবস্থায় বুধবার বেলচা হাতে রাস্তার জঞ্জাল সাফাই অভিযানে নামেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। নিজের ওয়ার্ড চেতলা থেকেই শুরু করেন সচেতনতার প্রচার।

একইসঙ্গে নাগরিকদের সতর্ক করেন মেয়র। তাঁর স্পট বক্তব্য, আর আবেদন নিবেদনে থেমে থাকবে না কলকাতা পুরসভা। কোনও বাড়ির আশেপাশে আবর্জনা পাওয়া গেলে নোটিশ পাঠানো হবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে। তারপরেও সতর্ক না হলে গ্রেফতারির পরোয়ানা জারি করা হবে।

রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানা গিয়েছে, রাজ্যের যে সমস্ত জায়গায় ডেঙ্গুর প্রকোপ সব থেকে বেশি, তার মধ্যে অন্যতম কলকাতা এবং বিধাননগর। কলকাতার পরিস্থিতি বর্তমানে নাগালের বাইরে চলে গিয়েছে বলে মত চিকিৎসকমহলের। বিগত পাঁচ বছরের রেকর্ড ভাঙল ডেঙ্গু সংক্রমণ।

২০১৭ সালের পর ২০২২ সালের ৪৪ তম সপ্তাহে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা পঞ্চাশ হাজার ছাড়িয়েছে। শুধুমাত্র কলকাতাতেই আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ হাজার ছাড়িয়েছে। আক্রান্তের শীর্ষে রয়েছে ১৪ টি ওয়ার্ড। সবচেয়ে বেশি খারাপ অবস্থা ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডে। ৪৩ তম সপ্তাহে এই ওয়ার্ডে আক্রান্তের সংখ্যা ৪১২।

এরপরেই রয়েছে ১০১ নম্বর ওয়ার্ড, ১০৯ নম্বর ওয়ার্ড, ১০৭ নম্বর ওয়ার্ড, ১১৫ নম্বর ওয়ার্ড, ১১২ নম্বর ওয়ার্ড, ৯৯ নম্বর ওয়ার্ড, ৩ নম্বর ওয়ার্ড, ১০০ নম্বর ওয়ার্ড, ৪২ নম্বর ওয়ার্ড, ৯৩ নম্বর ওয়ার্ড, ৯৮ নম্বর ওয়ার্ড, ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডও ৮১ নম্বর ওয়ার্ড।

এই অবস্থায় পুর প্রশাসনের গাফিলতির দিকেই আঙুল তুলেছে বিরোধীরা। সূত্রের খবর, পুরসভার ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে নবান্নও। যদিও এই অবস্থার জন্য নাগরিকদের অসচেতনাকেই দায়ী করেছেন মেয়র। সেক্ষেত্রে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।

বুধবার সাফাই অভিযানে বেড়িয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘নির্মীয়মাণ প্রায় সকল বাড়িগুলি খতিয়ে দেখব। যদি দেখি কোনও বাড়িতে জল জমে রয়েছে সেই বাড়িগুলিতে স্টপ-ওয়ার্ক নোটিস পাঠাব। তারপর সেগুলিকে পরিস্কার করতে বলব। পাশাপাশি তার খরচ-খরচার সঙ্গে আমাদের খরচা যোগ করব। এরপরও দেখি যদি কাজ না হয় মিউনিপ্যাল কোর্ট থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জন্য আর্জি জানাব।’

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ডেঙ্গুরোধে এবার নিজেই সাফাই অভিযানে নামলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম, হাতে তুলে নিলেন বেলচা

আপডেট : ৯ নভেম্বর ২০২২, বুধবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: কলকাতায় উত্তরোত্তর বেড়ে চলেছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। তার সঙ্গে প্রত্যেকদিনই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এই অবস্থায় বুধবার বেলচা হাতে রাস্তার জঞ্জাল সাফাই অভিযানে নামেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। নিজের ওয়ার্ড চেতলা থেকেই শুরু করেন সচেতনতার প্রচার।

একইসঙ্গে নাগরিকদের সতর্ক করেন মেয়র। তাঁর স্পট বক্তব্য, আর আবেদন নিবেদনে থেমে থাকবে না কলকাতা পুরসভা। কোনও বাড়ির আশেপাশে আবর্জনা পাওয়া গেলে নোটিশ পাঠানো হবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে। তারপরেও সতর্ক না হলে গ্রেফতারির পরোয়ানা জারি করা হবে।

রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানা গিয়েছে, রাজ্যের যে সমস্ত জায়গায় ডেঙ্গুর প্রকোপ সব থেকে বেশি, তার মধ্যে অন্যতম কলকাতা এবং বিধাননগর। কলকাতার পরিস্থিতি বর্তমানে নাগালের বাইরে চলে গিয়েছে বলে মত চিকিৎসকমহলের। বিগত পাঁচ বছরের রেকর্ড ভাঙল ডেঙ্গু সংক্রমণ।

২০১৭ সালের পর ২০২২ সালের ৪৪ তম সপ্তাহে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা পঞ্চাশ হাজার ছাড়িয়েছে। শুধুমাত্র কলকাতাতেই আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ হাজার ছাড়িয়েছে। আক্রান্তের শীর্ষে রয়েছে ১৪ টি ওয়ার্ড। সবচেয়ে বেশি খারাপ অবস্থা ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডে। ৪৩ তম সপ্তাহে এই ওয়ার্ডে আক্রান্তের সংখ্যা ৪১২।

এরপরেই রয়েছে ১০১ নম্বর ওয়ার্ড, ১০৯ নম্বর ওয়ার্ড, ১০৭ নম্বর ওয়ার্ড, ১১৫ নম্বর ওয়ার্ড, ১১২ নম্বর ওয়ার্ড, ৯৯ নম্বর ওয়ার্ড, ৩ নম্বর ওয়ার্ড, ১০০ নম্বর ওয়ার্ড, ৪২ নম্বর ওয়ার্ড, ৯৩ নম্বর ওয়ার্ড, ৯৮ নম্বর ওয়ার্ড, ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডও ৮১ নম্বর ওয়ার্ড।

এই অবস্থায় পুর প্রশাসনের গাফিলতির দিকেই আঙুল তুলেছে বিরোধীরা। সূত্রের খবর, পুরসভার ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে নবান্নও। যদিও এই অবস্থার জন্য নাগরিকদের অসচেতনাকেই দায়ী করেছেন মেয়র। সেক্ষেত্রে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।

বুধবার সাফাই অভিযানে বেড়িয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘নির্মীয়মাণ প্রায় সকল বাড়িগুলি খতিয়ে দেখব। যদি দেখি কোনও বাড়িতে জল জমে রয়েছে সেই বাড়িগুলিতে স্টপ-ওয়ার্ক নোটিস পাঠাব। তারপর সেগুলিকে পরিস্কার করতে বলব। পাশাপাশি তার খরচ-খরচার সঙ্গে আমাদের খরচা যোগ করব। এরপরও দেখি যদি কাজ না হয় মিউনিপ্যাল কোর্ট থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জন্য আর্জি জানাব।’