ইস্তানবুলে বৈঠক , ইউক্রেনে সেনা অভিযান হ্রাসে রাজি রাশিয়া

- আপডেট : ৩০ মার্চ ২০২২, বুধবার
- / 6
পুবের কলম প্রতিবেদক : ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে চলছে যুদ্ধ। রাশিয়ার অভিযোগ পশ্চিমারা পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করেছে। প্রথম থেকেই তুরস্ক এই যুদ্ধ থামাতে সদর্থক ভূমিকা পালন করে আসছে। মঙ্গলবার ইস্তানবুলে ছিল শান্তি আলোচনা। দুই সপ্তাহের মধ্যে এটি প্রথম রুশ-ইউক্রেনের মুখোমুখি বৈঠক। যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগেও সেখানে দু’পক্ষের মধ্যে কথাবার্তা হয়।
রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধি দলের সমঝোতা আলোচনায় ‘উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি’ হয়েছে বলে তুরস্কের বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন। মঙ্গলবার তুরস্কের ইস্তানবুলে সরাসরি আলোচনায় বসেছিলেন রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা। আলোচনা শেষে তুরস্কের বিদেশমন্ত্রী মেভলুত সাভাসগলু বলেন, নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে দুই পক্ষ সমঝোতায় পৌঁছেছে। যত দ্রুত সম্ভব যুদ্ধ বন্ধের বিষয়েও তাঁরা একমত প্রকাশ করেছেন। তুরস্কের বিদেশমন্ত্রী বলেন, আরও ‘গুরুতর বিষয়গুলি’ নিয়ে ইউক্রেন ও রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রীরা আলোচনা করবেন। তারপর দুই দেশের নেতারাও বৈঠকে বসতে পারেন।
ইস্তানবুলে সমঝোতা বৈঠক শেষ হওয়ার পরপর ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের আশপাশে ও উত্তরাঞ্চলীয় শহর চেরনিহিভে সামরিক অভিযান কমানোর কথা ঘোষণা করেছে রাশিয়া। রাশিয়ার উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী আলেকজান্ডার ফোমিন বলেছেন, যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে চলমান আলোচনায় আস্থা তৈরি এবং পরবর্তী সমঝোতার পথ তৈরির জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইউক্রেন সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকেও কিয়েভের আশপাশে ও চেরনিহিভ শহর থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে জানানো হয়েছে।
আলোচনা শুরুর আগে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতি ‘যুদ্ধের এই ট্রাজেডি’ বন্ধ করার আহ্বান জানান। এক মাসের বেশি সময় ধরে চলা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের এটাই সবচেয়ে বড় অগ্রগতি। মস্কোর এই নমনীয় অবস্থানের পেছনে রয়েছে ইউক্রেনের প্রস্তাব। মঙ্গলবার ইস্তানবুলে সরাসরি আলোচনায় ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা বলেছেন, রাশিয়ার দাবি অনুযায়ী জোট নিরপেক্ষ (নিউট্রাল স্ট্যাটাস) অবস্থান গ্রহণে রাজি আছেন তাঁরা। তবে সেক্ষেত্রে ইউক্রেনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে হবে।
জোট নিরপেক্ষ অবস্থানের অর্থ, ইউক্রেন আর ন্যাটোর মতো কোনও সামরিক জোটে যোগ দেবে না, এমনকি কোনও দেশ বা জোটকে সামরিক ঘাঁটিও করতে দেবে না তারা। এর বিনিময়ে ইউক্রেনকে যে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে হবে, সেখানে গ্যারান্টার হিসেবে পোল্যান্ড, ইসরায়েল, তুরস্ক, কানাডাসহ কয়েকটি দেশ থাকতে পারে।
এ ছাড়া ২০১৪ সালে রাশিয়ার দখলে যাওয়া ক্রিমিয়া অঞ্চলের স্ট্যাটাস কী হবে, সে বিষয়ে আলোচনার জন্য ১৫ বছরের সময় চেয়েছে ইউক্রেন। এদিন ইস্তানবুলের বৈঠকের পর ইউরোপের শেয়ার বাজারে চাঙ্গা ভাব দেখা দিয়েছে।