পুবের কলম প্রতিবেদক: রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, পূর্ত দফতর, জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ বা এনএইচএআই এবং পুলিশের কর্তাদের সঙ্গে ডানকুনির যানজট নিয়ে মঙ্গলবার এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কীভাবে জাতীয় সড়কে রোজকার এই যানজট নিয়ন্ত্রণে আনা যায় সে ব্যাপারে নবান্নে দুই পক্ষের মধ্যে টানা বৈঠক হয়।
প্রসঙ্গত, কলকাতা থেকে বর্ধমান হোক কিংবা বর্ধমান থেকে কলকাতা, আসা যাওয়া কার্যত যুদ্ধের সমান। সাধারণ মানুষের সমস্যার যেন শেষই নেই। এর কারণ অবশ্যই হল লম্বা সময় ধরে ডানকুনির কাছে থাকা জাতীয় সড়কের কাজ। সাধারণ মানুষের রোজকার যাতায়াত অভিজ্ঞতা যাতে ভালো হয় তার জন্য কাজ হচ্ছে। কিন্তু সুবিধার বদলে এখন যেন অসুবিধাই বেশি হচ্ছে। আর এই সমস্যা যাতে মেটানো যায় তার জন্য বৈঠকে বসে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন: ফ্লুর প্রাদুর্ভাব: উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে রোগী, সরকারকে সতর্ক করল বিশেষজ্ঞরা
কলকাতা এবং বর্ধমানের মধ্যে সংযোগকারী জায়গা ডানকুনি বিগত বেশ কিছু সময় ধরে সাধারণ মানুষের জন্য ব্যাপক সমস্যার সৃষ্টি করছে। এই ডানকুনির উপর থাকা জাতীয় সড়ক দিয়ে নিজের গাড়ি ছুটানো যেন একপ্রকার দুঃসহ হয়ে উঠছে এর চেয়ে অবশ্যই বড় কারণ হলো তীব্র যানজট। এই নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভুরি ভুরি অভিযোগ উঠছে। এখানে অবস্থায় সকলে সমস্যা লাঘব করতে রাজ্য সরকার এবং জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ এক মেগা বৈঠক বসে মঙ্গলবার।
জানা গিয়েছে, এদিনের বৈঠকে হাজির ছিলেন আসলে হুগলির সংযোগস্থল থেকে ডানকুনি পেরিয়ে একাধিক সাবওয়ে এবং রাস্তা পারাপারের সেতুর কাজ চলছে। আর এর জেরেই যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। যানজট তৈরি হচ্ছে ২ নম্বর জাতীয় সড়ক এবং কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে। যানজট কী কমবে? এই বিষয়ে স্বস্তির কোনো বার্তা দেয়নি নবান্ন।
এই বিষয়ে নবান্ন সূত্রে খবর, এখনই এই দুর্ভোগ কাটার কোনও সম্ভাবনা নেই। কারণ, এনএইচএআই-এর এই কাজ আরও দু’মাস চলবে। ফলে ডানকুনি থেকে কলকাতাগামী রাস্তা কার্যত বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ আপাতত এই দুর্ভোগ সহ্য করতে হবে নিত্য মানুষকে।