২১ এপ্রিল ২০২৫, সোমবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হিজাব পরায় বাধা, দেশের ধর্মনিরপেক্ষ চেতনায় আঘাত: সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১৭ মার্চ ২০২২, বৃহস্পতিবার
  • / 11

পুবের কলম প্রতিবেদক: সম্প্রতি হিজাব বিতর্ক  এবং এবিষয়ে প্রশাসন ও বিচার বিভাগের দায়িত্বহীন ভূমিকা এক শ্রেণির মানুষের মনে দেশের শাসন ব্যবস্থার প্রতি অনাস্থা সৃষ্টি করতে পারে। যা দেশের ঐক্য সংহতি ও সম্প্রীতির জন্য বিপজ্জনক। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন।

ওই বিবৃতিতে যুব ফেডারেশন জানিয়েছে হিজাব বিতর্ক বিষয়ে কর্নাটক সরকারের ভূমিকা ও কর্নাটক হাইকোর্টের রায় এদেশের বিপুল সংখ্যক ধর্মনিরপেক্ষ মানুষের চেতনায় আঘাত করেছে। মুসলিম মহিলাদের হিজাব পরিধান সুদীর্ঘ ইসলামী সংস্কৃতির নীরবিচ্ছিন্ন ঐতিহ্য। হুজুগে আস্ফালন প্রর্দশন নয়। মুসলিমরা এই ঐতিহ্য মর্যাদার সঙ্গে পালন করে থাকে। আবার এক শ্রেণির মানুষ  রয়েছে যারা এই ঐতিহ্যকে অবজ্ঞা করে থাকে। ইসলাম শুধু ঐতিহ্যে বিশ্বাস করে না। তার সুনির্দিষ্ট নীতিমালা ধর্ম গ্রন্থে লিপিবদ্ধ আছে। ইসলামী নীতিমালার ব্যাখ্যা প্রদানের অধিকার শুধুমাত্র ইসলামী ধর্ম তত্ত্বের বিশেষজ্ঞদের। ইসলাম বিষয়ে অজ্ঞ ও বিদ্বেষীদের নয়। বিবৃতিতে আরও বলা হয় যারা হিজাব পরিধানের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে উদ্বিগ্ন তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি গত কয়েক বছরে নগ্নতার ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটেছে। এই নগ্নতা ভারতীয় ঐতিহ্য বিরোধী সংস্কৃতি। এই নগ্নতা প্রতিরোধ করতে আইন তৈরি হোক। জনমত তৈরি হোক।

সারা বাংলা যুব ফেডারেশনের মতে বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতবর্ষ। এদেশের রাজনৈতিক আদর্শ ধর্মনিরপেক্ষ। তবে এদেশে দীর্ঘদিন ধরে গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষ আদর্শ ধ্বংস করার অপচেষ্টা চলছে। একটি জনগোষ্ঠী এদেশকে তাদের পৈতৃক সম্পদ মনে করে। ভিন্ন জনগোষ্ঠীগুলোকে দেশের শত্রু মনে করে। অথচ এদেশের সকল শ্রেণির মানুষ দেশের অখন্ডতা স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছে সুদৃঢ় রক্ষাকবচ নির্ণয় করেছেন। তা সত্ত্বেও এক শ্রেণির মানুষ অপরের স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকার হরণ করতে তৎপর। দীর্ঘ সময় ধরে। পরিকল্পিতভাবে। তারা মাঝে মাঝে কৃত্রিম বিতর্ক সৃষ্টি করে। বিতর্ক সৃষ্টি করে অস্থিরতা সৃষ্টি করে। যুব ফেডারেশন এই কাজের জন্য বরাবর নিন্দা জানিয়ে আসছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

হিজাব পরায় বাধা, দেশের ধর্মনিরপেক্ষ চেতনায় আঘাত: সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন

আপডেট : ১৭ মার্চ ২০২২, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: সম্প্রতি হিজাব বিতর্ক  এবং এবিষয়ে প্রশাসন ও বিচার বিভাগের দায়িত্বহীন ভূমিকা এক শ্রেণির মানুষের মনে দেশের শাসন ব্যবস্থার প্রতি অনাস্থা সৃষ্টি করতে পারে। যা দেশের ঐক্য সংহতি ও সম্প্রীতির জন্য বিপজ্জনক। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন।

ওই বিবৃতিতে যুব ফেডারেশন জানিয়েছে হিজাব বিতর্ক বিষয়ে কর্নাটক সরকারের ভূমিকা ও কর্নাটক হাইকোর্টের রায় এদেশের বিপুল সংখ্যক ধর্মনিরপেক্ষ মানুষের চেতনায় আঘাত করেছে। মুসলিম মহিলাদের হিজাব পরিধান সুদীর্ঘ ইসলামী সংস্কৃতির নীরবিচ্ছিন্ন ঐতিহ্য। হুজুগে আস্ফালন প্রর্দশন নয়। মুসলিমরা এই ঐতিহ্য মর্যাদার সঙ্গে পালন করে থাকে। আবার এক শ্রেণির মানুষ  রয়েছে যারা এই ঐতিহ্যকে অবজ্ঞা করে থাকে। ইসলাম শুধু ঐতিহ্যে বিশ্বাস করে না। তার সুনির্দিষ্ট নীতিমালা ধর্ম গ্রন্থে লিপিবদ্ধ আছে। ইসলামী নীতিমালার ব্যাখ্যা প্রদানের অধিকার শুধুমাত্র ইসলামী ধর্ম তত্ত্বের বিশেষজ্ঞদের। ইসলাম বিষয়ে অজ্ঞ ও বিদ্বেষীদের নয়। বিবৃতিতে আরও বলা হয় যারা হিজাব পরিধানের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে উদ্বিগ্ন তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি গত কয়েক বছরে নগ্নতার ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটেছে। এই নগ্নতা ভারতীয় ঐতিহ্য বিরোধী সংস্কৃতি। এই নগ্নতা প্রতিরোধ করতে আইন তৈরি হোক। জনমত তৈরি হোক।

সারা বাংলা যুব ফেডারেশনের মতে বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতবর্ষ। এদেশের রাজনৈতিক আদর্শ ধর্মনিরপেক্ষ। তবে এদেশে দীর্ঘদিন ধরে গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষ আদর্শ ধ্বংস করার অপচেষ্টা চলছে। একটি জনগোষ্ঠী এদেশকে তাদের পৈতৃক সম্পদ মনে করে। ভিন্ন জনগোষ্ঠীগুলোকে দেশের শত্রু মনে করে। অথচ এদেশের সকল শ্রেণির মানুষ দেশের অখন্ডতা স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছে সুদৃঢ় রক্ষাকবচ নির্ণয় করেছেন। তা সত্ত্বেও এক শ্রেণির মানুষ অপরের স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকার হরণ করতে তৎপর। দীর্ঘ সময় ধরে। পরিকল্পিতভাবে। তারা মাঝে মাঝে কৃত্রিম বিতর্ক সৃষ্টি করে। বিতর্ক সৃষ্টি করে অস্থিরতা সৃষ্টি করে। যুব ফেডারেশন এই কাজের জন্য বরাবর নিন্দা জানিয়ে আসছে।