নয়াদিল্লি, ১৭ মার্চ: মার্কিন পডকাস্টার লেক্স ফ্রিডম্যানকে তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ইন্টারভিউ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে গুজরাত দাঙ্গা থেকে শুরু করে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সহ একাধিক ইস্যু নিয়ে মুখ খুলেছিলেন। মান্যতা দিয়েছিলেন গুজরাত দাঙ্গাকে। বলেছিলেন, ২০০২ সালের গুজরাত দাঙ্গার আগে যেভাবে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে হামলা হয়েছিল, কান্দাহারে বিমান হাইজ্যাক হয়েছিল, সংসদ ভবনে হামলা হয়েছিল-তাতে তো প্লট একপ্রকার তৈরিই ছিল।
গোধরায় ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনা ছিল গুজরাত দাঙ্গার স্ফুলিঙ্গ। আর মোদির এই সাক্ষাৎকারের এবার সমালোচনা করলেন কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা জয়রাম রমেশ। সোমবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে রমেশ লেখেন, পারিপার্শ্বিক যা পরিস্থিতি তাতে বর্তমান সময়ে ভারত বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ‘ন্যূনতম আত্মপ্রচার ও সর্বাধিক সুশাসন’ই লক্ষ্য হওয়া উচিত ছিল। অথচ, প্রধানমন্ত্রী নিজের আত্মপ্রচারে সবথেকে বেশি ব্যস্ত। একবছর আগেই তিনি (মোদি) দাবি করেছিলেন, তিনি নন-বায়োলজিক্যাল।
এখন বলছেন তিনি ‘ওয়ান প্লাস ওয়ান’ তত্ত্বে বিশ্বাস করেন। প্রথম ‘ওয়ান’টি মোদি নিজে। আর পরের ‘ওয়ান’টি তাহলে ঐশ্বরিক। তিনি এইসব কথা বলে চলেছেন যখন দেশের অর্থনীতি গুরুতর চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলির পরিস্থিতি অস্থির। বিশ্বব্যবস্থাই অস্থির হয়ে উঠেছে। আমাদের এখন সবথেকে কম আত্মপ্রচার ও সর্বাধিক সুশাসনে মনযোগ দেওয়া উচিত। আরও একটি পোস্টে রমেশ লিখেছেন, ‘‘বোঝাই যাচ্ছে মিস্টার মোদি নিজের লাইনের বাইরে পর্যন্ত চলে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হাসিখুশি রাখার জন্য।
আরও পড়ুনঃ WAQF সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে যন্তর মন্তরে বিক্ষোভ মুসলিম সংগঠনগুলোর
মোদি বলেছেন আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি যেগুলি থেকে ভারত ব্যাপকভাবে উপকৃত হয়েছে তারা অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে। এটা তো আদপে মার্কিন প্রেসিডেন্টেরই ভাষা। আসলে মিস্টার ট্রাম্পই ওই সংস্থাগুলিকে অপ্রাসঙ্গিক করে তোলার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন আর এখন মিস্টার মোদি তাঁর ‘ভাল বন্ধু’ মন্তব্যটির পুনরাবৃত্তি করছেন।’’