১৩ মে ২০২৫, মঙ্গলবার, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আবাস যোজনা নিয়ে আরও কড়া নবান্ন, ১৫ শতাংশের কম উপভোক্তার নাম বাদ পড়লেই আবার সমীক্ষা

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২২, বুধবার
  • / 15

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ  আবাস যোজনা নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অভিযোগ উঠে আসছে।  এবার রাজ্যের প্রধান প্রশাসনিক ভবন নবান্ন থেকে রাজ্যের পাঁচ জেলাকে এই নিয়ে সতর্ক করা হল। এই ৫ জেলায় সবচেয়ে উপরে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের নাম।

এরপরে পশ্চিম মেদিনীপুর পূর্ব বর্ধমান নদীয়া এবং উত্তর চব্বিশ পরগনা রয়েছে এই তালিকায়। সবচেয়ে বড় বিষয় এই পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় জমা পড়া অভিযোগের ৬০ শতাংশেরই কোনও নিষ্পত্তি এখনো করা যায়নি।

আরও পড়ুন: চাকরিহারা অশিক্ষক কর্মীদের জন্য বিকল্পের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর, পাশে রাজ্য সরকার

একইভাবে সমস্যার সমাধানে ব্যর্থ হয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলাও। এই জেলায় জমা পরা অভিযোগের আশিশতাংশ সমাধান করতে এখনো পারেনি জেলা প্রশাসন। গতকাল মুখ্য সচিব হরি কৃষ্ণ দ্বিবেদির নেতৃত্বে নবান্নে একটি বৈঠক হয়েছিল। এরপর জেলাভিত্তিক একটি রিপোর্ট জমা পড়ে পঞ্চায়েত দফতরের হাতে। আর সেখানেই দেখা যাচ্ছে এই পাঁচ জেলায় অভিযোগ জমা পড়ার পাশাপাশি অভিযোগ নিষ্পত্তি না হওয়ার অভিযোগের পরিমাণও বেশি।

আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদের অশান্তিতে ক্ষয়ক্ষতি ১০৯টি বাড়িতে, দ্রুত ক্ষতিপূরণ ও পুনর্গঠনের নির্দেশ নবান্নের

আর সেই রিপোর্টই আরো উদ্বেগ বাড়িয়েছে নবান্নের। সে কারণেই নবান্নের তরফ থেকে বুধবার এই পাঁচ জেলাকে সতর্ক করা হয়েছে। শুধু তাই নয় বিভিন্ন জেলায় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় নাম না থাকার জন্য যেভাবে বিক্ষোভ হচ্ছে, এবং তারপর এই রিপোর্ট হাতে আসা এটা যথেষ্ট অস্বস্তির কারণ নবান্নের জন্য।

আরও পড়ুন: দিঘায় জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধন, ব্যবস্থাপনা নিয়ে বৈঠক মুখ্যসচিবের

নবান্নের তরফ থেকে আগেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল অভিযোগ জমা নেওয়ার শুধু নয়, তা সমাধানের জন্য পর্যাপ্ত পরিকাঠামো তৈরি করতে হবে জেলাগুলিকে। নবান্নের তরফ থেকে প্রশ্ন তোলা হয়েছে তাহলে  এই পাঁচ জেলায় কি পর্যাপ্ত পরিকাঠামো এখনো পর্যন্ত গড়ে ওঠেনি। আর সে কারণেই এই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে!

এদিন নবান্নের তরফ থেকে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কি সেই নির্দেশ! যতদূর জানা যাচ্ছে তাতে এবার বলা হয়েছে যদি দেখা যায় কোনো জায়গায়, ১৫ শতাংশ বা তার কম নাম বাতিলের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে ওই সমস্ত এলাকায় আবার নতুন করে সমীক্ষা চালাতে হবে।

এক্ষেত্রে নবান্নের স্পষ্টবার্তা  যে যোগ্য নয় এমন উপভোক্তার নাম যাতে তালিকায় না থাকে। একইসঙ্গে এই নির্দেশিকায় এও বলা হয়েছে সমীক্ষায় কত মানুষের নাম বাতিল হয়েছে তা নির্দিষ্টভাবে জেলাশাসককে জানাতে হবে।

মোটের উপর প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনা নিয়ে আরো কড়া রাজ্য সরকার। এক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর রাজ্য প্রশাসন তারা কোন ধরনের অবহেলা বা রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ চাইছে না।

Copyright © 2025 Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

আবাস যোজনা নিয়ে আরও কড়া নবান্ন, ১৫ শতাংশের কম উপভোক্তার নাম বাদ পড়লেই আবার সমীক্ষা

আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২২, বুধবার

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ  আবাস যোজনা নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অভিযোগ উঠে আসছে।  এবার রাজ্যের প্রধান প্রশাসনিক ভবন নবান্ন থেকে রাজ্যের পাঁচ জেলাকে এই নিয়ে সতর্ক করা হল। এই ৫ জেলায় সবচেয়ে উপরে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের নাম।

এরপরে পশ্চিম মেদিনীপুর পূর্ব বর্ধমান নদীয়া এবং উত্তর চব্বিশ পরগনা রয়েছে এই তালিকায়। সবচেয়ে বড় বিষয় এই পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় জমা পড়া অভিযোগের ৬০ শতাংশেরই কোনও নিষ্পত্তি এখনো করা যায়নি।

আরও পড়ুন: চাকরিহারা অশিক্ষক কর্মীদের জন্য বিকল্পের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর, পাশে রাজ্য সরকার

একইভাবে সমস্যার সমাধানে ব্যর্থ হয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলাও। এই জেলায় জমা পরা অভিযোগের আশিশতাংশ সমাধান করতে এখনো পারেনি জেলা প্রশাসন। গতকাল মুখ্য সচিব হরি কৃষ্ণ দ্বিবেদির নেতৃত্বে নবান্নে একটি বৈঠক হয়েছিল। এরপর জেলাভিত্তিক একটি রিপোর্ট জমা পড়ে পঞ্চায়েত দফতরের হাতে। আর সেখানেই দেখা যাচ্ছে এই পাঁচ জেলায় অভিযোগ জমা পড়ার পাশাপাশি অভিযোগ নিষ্পত্তি না হওয়ার অভিযোগের পরিমাণও বেশি।

আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদের অশান্তিতে ক্ষয়ক্ষতি ১০৯টি বাড়িতে, দ্রুত ক্ষতিপূরণ ও পুনর্গঠনের নির্দেশ নবান্নের

আর সেই রিপোর্টই আরো উদ্বেগ বাড়িয়েছে নবান্নের। সে কারণেই নবান্নের তরফ থেকে বুধবার এই পাঁচ জেলাকে সতর্ক করা হয়েছে। শুধু তাই নয় বিভিন্ন জেলায় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় নাম না থাকার জন্য যেভাবে বিক্ষোভ হচ্ছে, এবং তারপর এই রিপোর্ট হাতে আসা এটা যথেষ্ট অস্বস্তির কারণ নবান্নের জন্য।

আরও পড়ুন: দিঘায় জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধন, ব্যবস্থাপনা নিয়ে বৈঠক মুখ্যসচিবের

নবান্নের তরফ থেকে আগেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল অভিযোগ জমা নেওয়ার শুধু নয়, তা সমাধানের জন্য পর্যাপ্ত পরিকাঠামো তৈরি করতে হবে জেলাগুলিকে। নবান্নের তরফ থেকে প্রশ্ন তোলা হয়েছে তাহলে  এই পাঁচ জেলায় কি পর্যাপ্ত পরিকাঠামো এখনো পর্যন্ত গড়ে ওঠেনি। আর সে কারণেই এই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে!

এদিন নবান্নের তরফ থেকে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কি সেই নির্দেশ! যতদূর জানা যাচ্ছে তাতে এবার বলা হয়েছে যদি দেখা যায় কোনো জায়গায়, ১৫ শতাংশ বা তার কম নাম বাতিলের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে ওই সমস্ত এলাকায় আবার নতুন করে সমীক্ষা চালাতে হবে।

এক্ষেত্রে নবান্নের স্পষ্টবার্তা  যে যোগ্য নয় এমন উপভোক্তার নাম যাতে তালিকায় না থাকে। একইসঙ্গে এই নির্দেশিকায় এও বলা হয়েছে সমীক্ষায় কত মানুষের নাম বাতিল হয়েছে তা নির্দিষ্টভাবে জেলাশাসককে জানাতে হবে।

মোটের উপর প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনা নিয়ে আরো কড়া রাজ্য সরকার। এক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর রাজ্য প্রশাসন তারা কোন ধরনের অবহেলা বা রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ চাইছে না।