গুয়ান্তানামোর সবচেয়ে বয়স্ক বন্দি মুক্তি পেলেন

- আপডেট : ৩১ অক্টোবর ২০২২, সোমবার
- / 9
পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: কিউবার বুকে কুখ্যাত মার্কিন জেল গুয়ান্তানামো বে থেকে মুক্তি পেলেন সইফুল্লাহ পারাচা। এই জেলে প্রায় দুই দশক ধরে বিনা বিচারে বন্দি ছিলেন পারাচা। এই জেল থেকে মুক্তি পাওয়া সবচেয়ে বয়স্ক বন্দি হলেন তিনি। মুক্তির পর ইতিমধ্যে ৭৫ বছর বয়সী সাইফুল্লাহ তার নিজ দেশ পাকিস্তানে ফিরে গিয়েছেন। শনিবার সইফুল্লাহর মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রক। মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘সইফুল্লাহ পারাচার প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। আমরা খুশি যে বিদেশে বন্দি একজন পাক নাগরিককে অবশেষ তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া গেল।’ সইফুল্লাহ পারাচার মুক্তিতে আলাদাভাবে ট্যুইট করেছেন বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি।
সইফুল্লাহ পারাচা বসবাস করতেন আমেরিকায়। নিউইয়র্ক সিটিতে ব্যবসার মাধ্যমে বহু সম্পদের মালিক হন তিনি। পাকিস্তানেও ছিলেন সম্পদশালী একজন ব্যবসায়ী। নাইন ইলেভেন হামলার ২ বছর পর ২০০৩ সালে তাকে থাইল্যান্ড থেকে আটক করা হয়। ২০০৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে গুয়ান্তানামোর জেলে ছিলেন তিনি। প্রাথমিকভাবে তার বিরুদ্ধে আল-কায়দার সঙ্গে যুক্ত থাকার ও গোষ্ঠীটিকে অর্থায়নের অভিযোগ তোলা হয়েছিল। কিন্তু সইফুল্লাহ বরাবরই নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আসছিলেন। তার বিরুদ্ধে কখনই আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ গঠন করা হয়নি। ফলে আটকাবস্থা চ্যালেঞ্জ করার মতো আইনি সক্ষমতা তার ছিল না। অবশেষ গত বছর মে মাসে তাকে ছেড়ে দেওয়ার অনুমোদন হয়। কিন্তু এরই মধ্যে কেটে গেছে ১৯টি বছর। তার জীবনের বহুমূল্যবান সময় নষ্ট হয়ে গিয়েছে জেলের অন্ধকার কক্ষে। কোনও অপরাধ না করেও তাকে মার্কিন কারাগারে নিষ্ঠুরতার শিকার হতে হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০০১ সালে আমেরিকার টুইন টাওয়ার হামলার এক বছর পরই কিউবার গুয়ান্তানামো নামক স্থানে গোপন বন্দিশিবির গড়ে তোলে আমেরিকা। আফগানিস্তানে মার্কিন অভিযানকালে আটক বন্দিদের রাখার জন্যই গুয়ান্তানামো বন্দিশিবির প্রতিষ্ঠা করা হয়। জেলটি চালু করার পর প্রায় ৭৮০ বন্দিকে বিনা অভিযোগে এখানে রাখে আমেরিকা। এরমধ্যে ৭৩২ জনকে অন্য কোথাও পাঠানো হয়েছে বা ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতা গ্রহণের আগে বলেছিলেন তিনি এই জেলটি বন্ধ করে দেবেন তবে এখনও তা হয়নি।