ভারতে আনা হচ্ছে মুম্বই হামলার মূলচক্রী তাহাউর রানাকে, রাখা হবে তিহাড় জেলে

- আপডেট : ১০ এপ্রিল ২০২৫, বৃহস্পতিবার
- / 42
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর। কেঁপে উঠেছিল মুম্বই শহর। প্রাণ হারিয়েছিল শতাধিক মানুষ। সেই হামলার মূল অভিযুক্ত ও ষড়যন্ত্রকারী তাহাউর রানা এখন ভারতের হেফাজতে। আমেরিকা থেকে বিশেষ বিমানে বৃহস্পতিবার দিল্লিতে আনা হচ্ছে। তাহাউর রহমানের প্রত্যর্পণ ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। দিল্লির পাতিয়ালা হাউস আদালতের বাইরে আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা। তাহাউর রানাকে আমেরিকা থেকে আনার পর সেখানে হাজির করা হতে পারে। আধাসামরিক বাহিনী এবং পুলিশ মোতায়েন করা হয়ছে। কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সে দিকেও নজর রাখা হচ্ছে। আপাতত তিহাড় জেলে রানাকে রাখা হবে বলে খবর। নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে তিহাড় জেলও।
গভীর রাতে এনআইএ এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। কেন্দ্রীয় জাতীয় তদন্ত সংস্থা অর্থাৎ এনআইএ মামলার বিচার এবং অন্যান্য বিষয় পরিচালার জন্য অ্যাডভোকেট নরেন্দ্র মানকে তিন বছরের জন্য বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউট হিসাবে নিযুক্ত করেছে। এনআইএ ২০০৯ সালের ১১ নভেম্বর মামলা দায়ের করেছিল দিল্লিতে। ভারতীয় দণ্ডবিধি ও ইউএপিএ-র একাধিক ধারায় তাহাউর রানা এবং ডেভিড কোলম্যান হেডলিকে মূল অভিযুক্ত ও যড়যন্ত্রকারী করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
৬৪ বছর বয়সি রানা পাকিস্তানের বংশোদ্ভূত হলেও বর্তমানে কানাডার নাগরিক। ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার অন্যতম প্রধান ষড়যন্ত্রকারীর ডেভিড কোলম্যান হেডলি ওরফে দাউদ গিলানির ঘনিষ্ঠ সহযোগী। তিনি মার্কিন নাগরিক। রানা ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বইয়ের তাজ হোটেল সহ একাধিক জায়গায় হামলা চালায়। ১০ জন পাকিস্তানি জঙ্গি সমুদ্রপথে ভারতে ঢুকে মুম্বইয়ের বিভিন্ন জায়গায় প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছিল। মোট ১৬৬ জন মারা যান ওই হামলায়। কাসব নামক এক জঙ্গিকে ধরা হয়। দীর্ঘদিন জেলবন্দি থাকার পরে শেষে ফাঁসির সাজা হয় কাসবের।
মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড হিসাবে মনে করা হয় ডেভিড হেডলি ওরফে দাউদ গিলানিকে । হেডলিকে বিভিন্ন তথ্য ও নথি দিয়ে সাহায্য করেছিলেন তাহাউর রানা। মুম্বই হামলার আগে রেইকিও করেছিলেন তাহাউর। ২০০৮ সালের ১১ থেকে ২১ নভেম্বর মুম্বইয়ে ছিলেন রানা। মুম্বইয়ের একটি হোটেল থেকে হামলার ব্লু-প্রিন্ট তৈরি করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরেই আমেরিকার জেলে বন্দি ছিলেন তাহাউর রানা। ভারত চেষ্টা চালায় তাঁকে দেশে ফেরানোর। ফেব্রুয়ারি মাসে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেন, তাহাউরকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হবে। প্রত্যর্পণ রুখতে রানা আবেদন করলেও, মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট সেই আবেদন খারিজ করে দেয়। অবশেষে ভারতে আনা হচ্ছে তাহাউর রানাকে।