এই উপমহাদেশে মুসলিম আইডেন্টিটি রক্ষার সওয়ালে এক মর্যাদাশ্রয়ী বিকল্প শিক্ষণ

- আপডেট : ৩ জুলাই ২০২১, শনিবার
- / 5
১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৮৫৭ তক ঔপনিবেশিক আর সম্প্রসারণবাদী শক্তি এই উপমহাদেশের মুসলমান জীবনকে বিপন্ন করে তোলে। ইসলামের ‘তাহজিব-তামাদ্দুন’ (ধর্ম ও সংস্কৃতি) সাধারণ শিক্ষা– জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিরুদ্ধে চালাতে থাকে ধুরন্ধর আর পরিকল্পিত হামলা। এই বিপজ্জনক আর হতাশাচ্ছন্ন পরিস্থিতিতে বিশ্বাসী ‘উম্মাহ’-কে ‘ডিগনিটি’-র স্তরে টেনে তোলার জন্য সমাজ-অভ্যন্তরীণ ‘আহল-ই-কলম’ (বুদ্ধিজীবী শ্রেণি)বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ আর মর্যাদাশ্রিত অতি উচ্চগুণমান সম্পন্ন কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন। এতদ্বিষয়ে তীক্ষ্ণ এক বিশ্লেষণধর্মী আলোকপাতের জন্য কলম ধরেছেন, এই উপমহাদেশ বিষয়ক ইতিহাসবেত্তা আর দেশবিভাগ-পরবর্তী পশ্চিমবঙ্গের একটি উপেক্ষিত জাতিসত্ত্বার মর্যাদার অন্বেষক খাজিম আহমেদ
নানাবিধ দুর্বলতায় আচ্ছন্ন স্বাধীনতা হাসিলের পর আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে অনেক অবাঞ্ছিত ঘটনা ঘটেছে। বর্ণবাদী– মনুবাদী তথা উগ্র সাম্প্রদায়িকতাবাদীরা এই ঐতিহ্যপূর্ণ– মুসলমান আইডেন্টিটির প্রতীক বিশ্ববিদ্যালয়টি ‘মুসলমান প্রকৃতি’কে অস্বীকার করতে চায়। অপপ্রচারেরও হদ্দমুদ্দ সেই। ভারত-পাক-বাংলাদেশ অর্থাৎ এই উপমহাদেশের মুসলমানদের রাজনৈতিক আর বৌদ্ধিক জীবনে ‘আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়’ কেন্দ্রিক আন্দোলন কী প্রভাব ফেলেছিল তা কল্পনাতীত।
‘জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া’ (দিল্লি)ও একটি ইসলামাশ্রয়ী, অত্যাধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯২০ সালে মাওলানা মুহাম্মদ হাসান ‘জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া’ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। মাওলানা মুহাম্মদ আলি ডা. আনসারি হাকিম আজমল খান এবং ড. জাকির হোসেন জামিয়ার প্রাণস্বরূপ ছিলেন। এঁদের ত্যাগ- অশেষ পরিশ্রম– প্রখর বুদ্ধিদৃপ্ত পরিকল্পনার ফলেই ‘জামিয়া’ আজ এত বৃহৎ আর মর্যাদা ও গাম্ভীর্যপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে ‘অ্যাকাডেমিক ওয়ার্ল্ডে’ পরিচিত আর প্রতিষ্ঠিত হতে পেরেছে। ‘নঈ-তালিম’ শীর্ষক একটি শিক্ষা-পদ্ধতি প্রাথমিক পর্যায়ে প্রয়োগ করা হয়েছিল। মহাত্মা গান্ধি– কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ– মহান নেতা নেহরু ‘জামিয়া-মিলিয়া ইসলামিয়া’র পৃষ্ঠপোষকতা করতেন।
‘জামিয়া ওসমানিয়া’ (হায়দরাবাদ)— বৃহত্তম আধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য। বিশেষভাবে এটি লক্ষ্য যোগ্য যে, ‘জামিয়া ওসমানিয়া’য় উর্দু ভাষার মাধ্যমে আধুনিক সর্ববিধ শিক্ষা দেওয়া হত। বিশ্ব-জাহানের বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্য বিষয়ের সঙ্গে ওসমানিয়া’র পঠন-পাঠনের সামঞ্জস্য বিস্ময়ের উদ্রেক করে। হাল আমলে ভাষারও কোনও প্রতিবন্ধকতা নেই। এই বিশ্ববিদ্যালয়টির সজীব অবস্থান সাম্প্রদায়িকতাবাদীদের না-পসন্দ। সেখানে নানাবিধ শয়তানির প্যাঁচ-পয়জার বহু ক্ষেত্রে লক্ষ্য করা গেছে। ওসমানিয়া কর্তৃপক্ষ সটান চলেছে তার ‘ইলম-এ-কাফেলা’ নিয়ে।
পাটনার ‘খুদাবখশ লাইব্রেরি’ ভারতের মুসলমান সমাজের গর্বের প্রতিষ্ঠান। আরবি– ফারসি– উর্দু ভাষার বহু দুষ্প্রাপ্য পুঁথি এখানে সংরক্ষিত রয়েছে। পাণ্ডুলিপি– ইতিহাস বিষয়ক কাহন গ্রন্থ সংগ্রহ করে সযত্নে রক্ষিত। ভারত বিষয়ক গবেষণার জন্য সারা পৃথিবীর গবেষকবর্গ হাজির হন। দুষ্প্রাপ্য গ্রন্থের সংরক্ষণ গ্রন্থাগারের বিশেষ বৈশিষ্ট। তূর্ক-আফগান এবং মুঘল জমানার গ্রন্থরাজি ‘খুদাবখশ লাইব্রেরি’তে গবেষণার প্রয়োজনে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
স্যার যদুনাথ সরকার এবং অধ্যাপক জগদীশ নারায়ণ সরকার তাঁদের অতুচ্চ গবেষণা কর্মের জন্য এই লাইব্রেরির বহুল সাহায্য নিয়েছেন। ‘সরকার ভ্রাতৃদ্বয়’ ইসলামধর্মী শাসকবর্গের অধীনে হিন্দুস্তানের ইতিহাসের উপাদান বিপুলভাবে সংগ্রহ করেছেন। ড. জগদীশ নারায়ণ সরকারের ‘ইসলাম ইন বেঙ্গল’ (কলকাতা ১৯৭২) গ্রন্থখানি তার উজ্জ্বল উদাহরণ। (ভূমিকা দেখুন) ছয়ের দশকে ‘খুদাবখশ লাইব্রেরি’কে জাতীয় সংস্থায় রূপান্তরিত করা হয়েছে।
দেশ-বিভাগের পর ‘ইসলামিয়া কলেজ’ (কলকাতা) বর্তমানে ‘মৌলানা আজাদ কলেজ’ নামে পরিচিত। একদা পূর্ব-বাংলার অভিজাত মুসলমান পরিবারের তরুণবর্গ এই ইসলামিয়া কলেজেই ‘লেখাপড়া এবং শোনা’— (প্রচুর সেমিনার– অ্যাকাডেমিক ডিসকোর্স– ‘মুসলিম রেঁনেসা সোসাইটি’র অধিবেশন– বিতর্ক সভা লেগেই থাকত) আর বিতর্কে অংশগ্রহণ করে নেতৃত্বদানের যোগ্য হয়ে উঠতেন। প্রাক-স্বাধীনতাপর্বে শুধুমাত্র মুসলমান তরুণবর্গই এখানে লেখাপড়ার সুযোগ পেতেন। স্বাধীনতা পর সব ধর্মসম্প্রদায়ের পড়ুয়ারা সুযোগ পান।
উল্লেখ্য, স্বাধীন গণতন্ত্রী-প্রজাতন্ত্রী-ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী শেইখ মুজিবুর রহমান এই ‘ইসলামিয়া কলেজ’-এরই ছাত্র ছিলেন। তিনি কলেজের, ৮ স্মিথ লেন– কলকাতা-১৩ তে অবস্থিত ‘বেকার গভঃ হস্টেলে’ থাকতেন। কলা এবং বিজ্ঞান বিভাগ সমন্বিত কলেজ।
প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি, আরবি– ফারসি– উর্দু ভাষা ও সাহিত্যে সাম্মানিক সহ স্নাতক হওয়ার সুযোগ রয়েছে। ‘Islamic History & Culture’ বিষয়ে অনার্স সহ গ্র্যাজুয়েট স্তরের পড়াশোনার মান উঁচু স্তরের। দক্ষ-গ্রন্থাগারিক– আরবি– ফারসি– উর্দু– বাংলা– সর্বোপরি আন্তর্জাতিক স্তরে মান্যতা প্রাপ্ত গ্রন্থরাজির (ইংরেজি ভাষায়) অশেষ সংগ্রহ সমীহ যোগ্য।
বিশেষ বৈশিষ্ট হচ্ছে পাঁচটি ভাষায় প্রকাশিত অসাধারণ গুণমানসম্পন্ন পত্র-পত্রিকা– ম্যাগাজিন নিয়মিতভাবে পড়ার সুযোগ পান পড়ুয়ারা।
বিভাগ-পরবর্তী সময়কালে মুসলমান ছাত্রের সংখ্যা বিস্ময়করভাবে হ্রাস পায়। হাল আমলে আবারও লক্ষ্য যোগ্যভাবে মুসলমান ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা বাড়ছে। মেধার প্রশ্নটি বিবেচ্য, স্বভাবতই সুবিধাভোগী পরিবার থেকে তরুণ-তরুণীরাই বেশি সুযোগ পাচ্ছেন।
গত শতকের শেষের দশক থেকে মৌলানা আজাদ কলেজ সহপাঠক্রমিক। অবিভক্ত বাংলার ‘প্রিমিয়র’ শেষে বাংলা এ কে ফজলুল হক (১৮৭৩-১৯৬২) এবং খান বাহাদুর আহসানুল্লাহ ‘ইসলামিয়া কলেজ’ প্রতিষ্ঠায় মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন। স্বাধীনতার পর কলেজটির নাম দায়িত্বজ্ঞানহীন পদ্ধতিতে পাল্টে দেওয়া হয়। সেন্ট্রাল ক্যালকাটা গভঃ কলেজ নামে পরিচিত হয়। আজাদ হিন্দুস্তান-এর প্রথম শিক্ষামন্ত্রী মাওলানা আবুল আজাদ-এর ইন্তেকালের পর গত শতকের পাঁচের দশকের মাঝামাঝি সময়ে মৌলানা আজাদ কলেজ নামে চিহ্নিত হয়েছে।
কৌতূহলোদ্দীপক একটি তথ্য পেশ করিঃ ‘সাহিত্য সমিতির তত্ত্বাবধানে ‘বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সম্মেলন’-এর সপ্তম অধিবেশনে অনুষ্ঠিত হয় ১৯৪৩ খ্রিস্টাধের ৮ এবং ৯ মে তারিখে কলকাতার ইসলামিয়া কলেজে। উদ্বোধন ছিলেন অখণ্ড বাংলার মুসলমানদের ‘রেনেসা-পুরুষ’ মাওলানা আকরম খাঁ। এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আবু সয়ীদ আইউব। অধ্যাপক– পণ্ডিতপ্রবর হীরেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় এবং রবীন্দ্রোত্তর সময়ের অন্যতম শ্রেষ্ঠ আধুনিক কবি বিষ্ণু দেব (১৯০৯-১৯৮২) এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। (তথ্যসূত্রঃ খোন্দকার সিরাজুল হক– ‘মুসলিম সাহিত্য সমাজ’-সমাজ চিন্তা ও সাহিত্যকর্ম– পৃঃ ১০১)
মুসলমান মেয়েদের শিক্ষার জন্য প্রাক-স্বাধীনতাকালে সাবেক বাংলায় বেশকিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠা তৈরি হয়েছিল। সেই সমস্ত প্রতিষ্ঠানে মুসলমান নারীশিক্ষা বিশেষভাবে উৎসাহিত হয়েছিল। দেশ বিভাগ পরবর্তী পশ্চিমবাংলায় সেই বিষয়টি জটিল হয়ে পড়ে। সাধারণ মুসলমান পরিবারের মেয়েরা খুবই সীমিত সুযোগ পেতে থাকে। অজস্র নজির দেওয়া যেতে পারে– এখানে উদাহরণ হিসেবে– লেডি ব্রেবোর্ন কলেজ– সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল-এর প্রসঙ্গ উল্লেখ করা হল মাত্র। ‘উচ্চবিত্ত কিছু সংখ্যক মুসলিম ছাত্রী ভর্তি হওয়ার সুযোগ পান মাত্র।
এই প্রসঙ্গটি ১৯৭০-এর শুরুতে লেখিকা-সমাজকর্মী গৌরী আইউব তুলেছিলেন। হাল আমলে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অল্পসংখ্যক হলেও বাঙালি মুসলমান মেয়েরা সুযোগ পাচ্ছেন। সঙ্গত কারণেই উল্লেখ্য লেডি ব্রেবোর্ন কলেজ আর সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন যথাক্রমে এ কে ফজলুল হক এবং বাঙালি মুসলমান নারী জাগরণের অগ্রনায়িকা রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন।
হুগলির মহসীন কলেজ বাঙালি মুসলমানদের মধ্যে একদা আধুনিক শিক্ষার ব্যাপক বিস্তার ঘটিয়েছিল। এখনও আধুনিক শিক্ষার অন্যতম বিশিষ্ট কেন্দ্র। উনিশ শতকের তিনের দশকে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই হিন্দু-মুসলিম খ্রিস্টান ছাত্র একই সঙ্গে পাঠচর্চা করেছেন। ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দতক বস্তুত বাঙালি হিন্দু ছাত্রবর্গই গুরুত্ববাহী সুযোগ পেয়েছেন। বাঙালি মুসলমান জাগরণের মেধা আর মননের প্রতিনিধি সৈয়দ আমির আলি হুগলি মহসীন কলেজ– প্রেসিডেন্ট কলেজ এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। খোলাখুলি বলা দরকার হুগলি মহসীন কলেজ ‘সেক্যুলার’ আর আধুনিক একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেখানে সব ধর্মের ছাত্রদের শিক্ষার্জনের সুযোগ রয়েছে। এটি সূক্ষ্মার্থে মুসলিম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। ব্রিটিশ সরকার এবং আজাদির পরে রাজ্য সরকার পরিচালিত একটি মর্যাদাপূর্ণ প্রতিষ্ঠান
শেষ কথা
তামিলনাড়ুতে মুসলমান কওম ভক্ত সচেতন কিছু ব্যক্তিবর্গের দ্বারা পরিচালিত বিস্তর ইন্টারমিডিয়েট কলেজ আর স্নাতক কলেজ রয়েছে। বাঙ্গালোর সহ কর্ণাটকের ব্যাপক অংশে আধুনিক শিক্ষার সুযোগ রয়েছে। কেরলের ত্রিচিনোপল্লী– কুর্নল– কালিকট– মালাপ্পুরম– কাসারগড় ইত্যাকার জেলাঞ্চলে প্রয়োজনীয় সংখ্যক মুসলিম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তামাম উত্তর ভারতের বিভিন্ন বৃহৎ শহরেও মুসলমানদের দ্বারা পরিচালিত মহাবিদ্যালয়– কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান লক্ষ্যযোগ্য হয়ে উঠেছে। পরিস্থিতিটি আশাব্যঞ্জক।
বিশ শতকের শেষের দশকে এবং একুশ শতকের প্রথম দশকে আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন ভাইস চ্যান্সেলর সয়ীদ হামিদ মুসলমানদের মধ্যে আধুনিক শিক্ষা বিস্তারের সওয়ালে। নিজের জীবনকে সঁপে দিয়েছিলেন। তিনি সেই সময় উত্তর ভারতের বিভিন্ন শহর এবং নগরের মধ্যে দিয়ে ‘তালিমি ক্যারাভান’ নামক শিক্ষাযান নিয়ে যাত্রা করেন। মুসলিম মানসে এই আহ্বানে– যথেষ্ট সাড়া পড়েছিল। দেশভাগের সময় উত্তরপ্রদেশের মুসলমানদের স্থান ছিল যথেষ্ট সম্মানজনক। সমাজতান্ত্রিক পল ব্রাশ গবেষণায় তা প্রমাণ করেছেন। বিস্ফোরক তথ্য রয়েছে সেই গবেষণায়।
আধুনিক ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সমাজবিজ্ঞানী আসগার আলি ইঞ্জিনিয়ারের একটি অনুভব এখানে উদ্ধৃত হলঃ ‘মুসলমান সমাজের বুকে এক নতুন মধ্যবিত্ত শ্রেণির আবির্ভাব ঘটছে– তারা তথ্য-প্রযুক্তির এই যুগে শিক্ষাক্ষেত্রে কওমের এগোনোর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে। …মুসলমান সমাজে শিক্ষা বিকাশ আর বিস্তারের প্রধান সমস্যা ধর্ম বা অনীহা নয়– দারিদ্রই তাদের বিকাশের বা জীবন উজ্জীবনের মূল অন্তরায়। দেখুন– ‘মন্থন সাময়িকী’– নভেম্বর-ডিসেম্বর– ২০০২) একটি ইংরেজি প্রবন্ধের বঙ্গানুবাদের দু’টি বাক্য)। বঙ্গানুবাদ ‘মন্থন সাময়িকী’। তারিখ পূর্ববৎ। কলকাতা।
‘জ্ঞান সাধকের দোয়াতের কালি শহিদের রক্তের চেয়েও পবিত্র।’ জ্ঞানচর্চা ও শিক্ষার্জন ছাড়া সামগ্রিক উন্নতির আর কোনও পথ খোলা নেই।
(শেষ)