০৭ এপ্রিল ২০২৫, সোমবার, ২৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মায়ানমার ভূমিকম্প: ১০ দিন পরও ধ্বংসস্তূপের পাশে গিয়ে স্বামীর জন্য কাঁদছেন স্ত্রী

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৭ এপ্রিল ২০২৫, সোমবার
  • / 12

নেপিদো, ৬ এপ্রিল: মায়ানমারের ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর এক সপ্তাহের বেশি সময় পেরিয়েছে। এখনো স্বামী ও দুই শিশুসন্তানের খোঁজে নির্ঘুম রাত কাটান হানিন। বিধ্বস্ত মান্দালয় শহরের যে ভবনের নিচে পরিবারের সদস্যরা চাপা পড়েছেন, সেখানে গিয়ে স্বামীর নাম ধরে ডাকাডাকি করেন। যদি কোনো সাড়া পাওয়া যায়। হানিন বলেন, পরিবারের সদস্যদের জন্য কাঁদতে কাঁদতে তাঁর চোখের পানি শুকিয়ে গেছে।

২৮ মার্চ মায়ানমারে ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় মান্দালয়, সাগাইং ও রাজধানী নেপিদো। দেশটিতে ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার জানিয়েছে, ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ৩৫৪ জন নিহত হয়েছেন। সংখ্যাটা প্রতিদিনই বাড়ছে। আহত হয়েছেন ৪ হাজার ৮৫০ জন। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ২২০ জন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন হানিনের স্বামী-সন্তানেরাও। হানিনের মতো একই অবস্থা ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত শহরগুলোর বাসিন্দাদের। ঘরবাড়ি ধসে পড়ায় আর আবার ভূমিকম্পের আশঙ্কায় এখনো তাঁরা খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন। প্রচণ্ড গরমে অনেকেই হিটস্ট্রোকের শিকার হচ্ছেন। ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া লাশ থেকে ভেসে আসছে দুর্গন্ধ। শৌচাগার ব্যবহার করতে পারছেন না অনেকে। এতে চর্মরোগ ছড়িয়ে পড়ছে।

মায়ানমারের ভূমিকম্পে ঘরবাড়ি, বিদ্যালয়, হাসপাতাল, মসজিদ ও মন্দিরের পাশাপাশি সরকারি ভবনগুলোরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভূমিকম্পে মায়ানমারের যেসব এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেখানে ২ কোটি ৮০ লাখ মানুষের বসবাস। এই এলাকাগুলোয় অন্তত ১০ হাজার বাড়ি ধসে পড়েছে। বিশেষজ্ঞদের অনেকে বলছেন, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত অনেক শহর এলাকা পুরোপুরি গুঁড়িয়ে দিয়ে নতুন করে গড়ে তুলতে হবে। এ জন্য প্রয়োজন পড়বে বিপুল পরিমাণ অর্থের।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মায়ানমার ভূমিকম্প: ১০ দিন পরও ধ্বংসস্তূপের পাশে গিয়ে স্বামীর জন্য কাঁদছেন স্ত্রী

আপডেট : ৭ এপ্রিল ২০২৫, সোমবার

নেপিদো, ৬ এপ্রিল: মায়ানমারের ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর এক সপ্তাহের বেশি সময় পেরিয়েছে। এখনো স্বামী ও দুই শিশুসন্তানের খোঁজে নির্ঘুম রাত কাটান হানিন। বিধ্বস্ত মান্দালয় শহরের যে ভবনের নিচে পরিবারের সদস্যরা চাপা পড়েছেন, সেখানে গিয়ে স্বামীর নাম ধরে ডাকাডাকি করেন। যদি কোনো সাড়া পাওয়া যায়। হানিন বলেন, পরিবারের সদস্যদের জন্য কাঁদতে কাঁদতে তাঁর চোখের পানি শুকিয়ে গেছে।

২৮ মার্চ মায়ানমারে ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় মান্দালয়, সাগাইং ও রাজধানী নেপিদো। দেশটিতে ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার জানিয়েছে, ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ৩৫৪ জন নিহত হয়েছেন। সংখ্যাটা প্রতিদিনই বাড়ছে। আহত হয়েছেন ৪ হাজার ৮৫০ জন। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ২২০ জন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন হানিনের স্বামী-সন্তানেরাও। হানিনের মতো একই অবস্থা ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত শহরগুলোর বাসিন্দাদের। ঘরবাড়ি ধসে পড়ায় আর আবার ভূমিকম্পের আশঙ্কায় এখনো তাঁরা খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন। প্রচণ্ড গরমে অনেকেই হিটস্ট্রোকের শিকার হচ্ছেন। ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া লাশ থেকে ভেসে আসছে দুর্গন্ধ। শৌচাগার ব্যবহার করতে পারছেন না অনেকে। এতে চর্মরোগ ছড়িয়ে পড়ছে।

মায়ানমারের ভূমিকম্পে ঘরবাড়ি, বিদ্যালয়, হাসপাতাল, মসজিদ ও মন্দিরের পাশাপাশি সরকারি ভবনগুলোরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভূমিকম্পে মায়ানমারের যেসব এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেখানে ২ কোটি ৮০ লাখ মানুষের বসবাস। এই এলাকাগুলোয় অন্তত ১০ হাজার বাড়ি ধসে পড়েছে। বিশেষজ্ঞদের অনেকে বলছেন, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত অনেক শহর এলাকা পুরোপুরি গুঁড়িয়ে দিয়ে নতুন করে গড়ে তুলতে হবে। এ জন্য প্রয়োজন পড়বে বিপুল পরিমাণ অর্থের।