১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফাহিম খানের বাড়ি ভেঙে আদালতে ক্ষমা চাইল নাগপুর পুরনিগম

চামেলি দাস
  • আপডেট : ১৬ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার
  • / 40

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের স্পষ্ট নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও অভিযুক্ত ফাহিম খানের দোতলা বাড়িতে বুলডোজার চালিয়ে গুড়িয়ে দেয় নাগপুর পুরনিগম। ফাহিমের মা মেহরুন্নিসা এবং এক বুজুর্গ আধুল হাফিজ ইনসাফ চেয়ে বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। এদিন বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চে তাদের কৃতকর্মের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে নাগপুর পুরনিগম জানায়, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সম্পর্কে স্থানীয় আধিকারিকরা অবগত ছিলেন না। এরপরই বিচারপতি নীতিন সাম্ব্রে এবং বিচারপতি বৃষালি যোশীর বেঞ্চ কেন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ স্থানীয় আধিকারিকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়নি, তা দু সপ্তাহের মধ্যে আদালতকে জানানোর আদেশ দিয়েছে।

সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে অভিযুক্তদের সম্পত্তি সম্পর্কে সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছিল, নির্ধারিত আইনি পদ্ধতি এবং সমস্ত প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত না করে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না। কিন্তু নাগপুর পুরনিগম দাঙ্গার অভিযুক্ত ফাহিম খানের দোতলা বাড়িটি ভেঙে ফেলে। ফাহিম খানের মা মেহরুন্নিসার দায়ের করা আবেদনে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও বাড়ি ভাঙার ঘটনা স্বেচ্ছাচারী এবং যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া না মেনেই করেûছে নাগপুর পুরনিগমের অফিসাররা।

নাগপুর পুরনিগমের কমিশনার অভিজিৎ চৌধুরী বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চে দাখিল করা হলফনামায় বলেছে, নগর পরিকল্পনা ও বস্তি বিভাগের আধিকারিকরা ২০২৩ সালের নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্টের আদেশ সম্পর্কে অবগত ছিলেন না। তাই গত ২৪ মার্চ ফাহিম খানের বাড়ি ভেঙে ফেলা হয়। ঠিক এরকমই ঘটনা অর্থাৎ বুলডোজর দিয়ে বাড়ি গুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা বেশি দেখা যায় উত্তরপ্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশের ডবল ইঞ্জিন সরকারের শাসনে।

উল্লেখ্য, ১৭ মার্চ মুঘল বাদশাহ আওরঙ্গজেবের সমাধিকে ঘিরে বিশ্ব হি¨ু পরিষদের একটি মিছিলের পর উত্তেজনা তৈরি হয় নাগপুরের মহল এলাকায়। এই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে ঠাওরানা হয়েছে ফাহিম খানকে। তিনি সংখ্যালঘু ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এমডিপি) প্রধান। ১৯ মার্চ নাগপুরের মহল এলাকায় সাম্প্রদায়িক হিংসার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে অগ্নিসংযোগ, পাথর ছোঁড়া এমনকি রাষ্ট্রদ্রোহের মতো গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে। এই সহিংসতা শুরু হয় ১৭ মার্চ রাতে, খুলদাবাদে আওরঙ্গজেবের সমাধি অপসারণের দাবি তুলে একটি ধর্মীয় চাদর অপবিত্র করা হয়েছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ফাহিম খানের বাড়ি ভেঙে আদালতে ক্ষমা চাইল নাগপুর পুরনিগম

আপডেট : ১৬ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের স্পষ্ট নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও অভিযুক্ত ফাহিম খানের দোতলা বাড়িতে বুলডোজার চালিয়ে গুড়িয়ে দেয় নাগপুর পুরনিগম। ফাহিমের মা মেহরুন্নিসা এবং এক বুজুর্গ আধুল হাফিজ ইনসাফ চেয়ে বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। এদিন বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চে তাদের কৃতকর্মের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে নাগপুর পুরনিগম জানায়, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সম্পর্কে স্থানীয় আধিকারিকরা অবগত ছিলেন না। এরপরই বিচারপতি নীতিন সাম্ব্রে এবং বিচারপতি বৃষালি যোশীর বেঞ্চ কেন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ স্থানীয় আধিকারিকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়নি, তা দু সপ্তাহের মধ্যে আদালতকে জানানোর আদেশ দিয়েছে।

সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে অভিযুক্তদের সম্পত্তি সম্পর্কে সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছিল, নির্ধারিত আইনি পদ্ধতি এবং সমস্ত প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত না করে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না। কিন্তু নাগপুর পুরনিগম দাঙ্গার অভিযুক্ত ফাহিম খানের দোতলা বাড়িটি ভেঙে ফেলে। ফাহিম খানের মা মেহরুন্নিসার দায়ের করা আবেদনে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও বাড়ি ভাঙার ঘটনা স্বেচ্ছাচারী এবং যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া না মেনেই করেûছে নাগপুর পুরনিগমের অফিসাররা।

নাগপুর পুরনিগমের কমিশনার অভিজিৎ চৌধুরী বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চে দাখিল করা হলফনামায় বলেছে, নগর পরিকল্পনা ও বস্তি বিভাগের আধিকারিকরা ২০২৩ সালের নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্টের আদেশ সম্পর্কে অবগত ছিলেন না। তাই গত ২৪ মার্চ ফাহিম খানের বাড়ি ভেঙে ফেলা হয়। ঠিক এরকমই ঘটনা অর্থাৎ বুলডোজর দিয়ে বাড়ি গুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা বেশি দেখা যায় উত্তরপ্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশের ডবল ইঞ্জিন সরকারের শাসনে।

উল্লেখ্য, ১৭ মার্চ মুঘল বাদশাহ আওরঙ্গজেবের সমাধিকে ঘিরে বিশ্ব হি¨ু পরিষদের একটি মিছিলের পর উত্তেজনা তৈরি হয় নাগপুরের মহল এলাকায়। এই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে ঠাওরানা হয়েছে ফাহিম খানকে। তিনি সংখ্যালঘু ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এমডিপি) প্রধান। ১৯ মার্চ নাগপুরের মহল এলাকায় সাম্প্রদায়িক হিংসার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে অগ্নিসংযোগ, পাথর ছোঁড়া এমনকি রাষ্ট্রদ্রোহের মতো গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে। এই সহিংসতা শুরু হয় ১৭ মার্চ রাতে, খুলদাবাদে আওরঙ্গজেবের সমাধি অপসারণের দাবি তুলে একটি ধর্মীয় চাদর অপবিত্র করা হয়েছে।