০৮ এপ্রিল ২০২৫, মঙ্গলবার, ২৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে নেপাল সহ সিকিম, আটকে বহু পর্যটক, তেষ্টা নিবারণে ভরসা ঝর্ণার জল

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১১ অক্টোবর ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 7

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক:  প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে নেপাল সহ সিকিমে সিংতাম। আটকে পড়েছেন বহু পর্যটক। প্রবল বৃষ্টির জেরে বিপর্যস্ত দুটি রাজ্য। এদিকে মুক্তিনাথ দর্শনে গিয়ে নেপালে আটকে পড়েছেন বহু বাঙালি পর্যটক। উদ্ধার কাজে নেমেছে ভারত ও নেপালের উদ্ধারকারী দল। বিগত পাঁচদিন ধরেই একটানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত নেপাল। ধস নেমেছে প্রায় ১৫টি জায়গায়। যার জেরে আটকে গিয়েছে বহু  পর্যটক বোঝাই গাড়ি।

 

ইতিমধ্যেই খাবার ও পানীয় জলের আকাল দেখা দিয়েছে। বাধ্য হয়ে ঝর্ণার জল পান করেই কোনোরকমে দিন কাটাচ্ছে তারা। নেপাল সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে দিল্লি। দ্রুত পর্যটকদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। নেপালের লেটে, গোসা, দানা, মার্কা সহ আরও অন্যান্য জায়গায় ধস নেমেছে। বৃষ্টির জেরে নদীও বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে জল। হ্যাম রেডিওর পক্ষ থেকে আটকে পড়া পর্যটকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।

সাধারণত পুজোর সময় আবহাওয়া ভালো থাকে পার্বত্য এলাকায়। ধসের জেরে বেশ কয়েকটি জায়গায় বন্ধ রয়েছে জাতীয় সড়ক। রাজ্যজুড়ে কমলা সর্তকতা জারি করেছে প্রশাসন।

আবহাওয়ার পূর্বাভাস আগেই দেওয়া হয়েছিল। উত্তরবঙ্গে আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা  জানিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। শনিবার সিকিমের  সিংতামে ধসও নামে। রাজ্যের বহু জায়গা থেকে পুজোর সময় ভিড় জমায় পর্যটকেরা। ক্রশমই বাড়ছে আতঙ্ক। কবে তারা বাড়ি ফিরতে পারবেন সেই আশায় পথ চেয়ে বসে আছেন পর্যটকেরা।

 

 

 

 

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে নেপাল সহ সিকিম, আটকে বহু পর্যটক, তেষ্টা নিবারণে ভরসা ঝর্ণার জল

আপডেট : ১১ অক্টোবর ২০২২, মঙ্গলবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক:  প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে নেপাল সহ সিকিমে সিংতাম। আটকে পড়েছেন বহু পর্যটক। প্রবল বৃষ্টির জেরে বিপর্যস্ত দুটি রাজ্য। এদিকে মুক্তিনাথ দর্শনে গিয়ে নেপালে আটকে পড়েছেন বহু বাঙালি পর্যটক। উদ্ধার কাজে নেমেছে ভারত ও নেপালের উদ্ধারকারী দল। বিগত পাঁচদিন ধরেই একটানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত নেপাল। ধস নেমেছে প্রায় ১৫টি জায়গায়। যার জেরে আটকে গিয়েছে বহু  পর্যটক বোঝাই গাড়ি।

 

ইতিমধ্যেই খাবার ও পানীয় জলের আকাল দেখা দিয়েছে। বাধ্য হয়ে ঝর্ণার জল পান করেই কোনোরকমে দিন কাটাচ্ছে তারা। নেপাল সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে দিল্লি। দ্রুত পর্যটকদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। নেপালের লেটে, গোসা, দানা, মার্কা সহ আরও অন্যান্য জায়গায় ধস নেমেছে। বৃষ্টির জেরে নদীও বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে জল। হ্যাম রেডিওর পক্ষ থেকে আটকে পড়া পর্যটকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।

সাধারণত পুজোর সময় আবহাওয়া ভালো থাকে পার্বত্য এলাকায়। ধসের জেরে বেশ কয়েকটি জায়গায় বন্ধ রয়েছে জাতীয় সড়ক। রাজ্যজুড়ে কমলা সর্তকতা জারি করেছে প্রশাসন।

আবহাওয়ার পূর্বাভাস আগেই দেওয়া হয়েছিল। উত্তরবঙ্গে আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা  জানিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। শনিবার সিকিমের  সিংতামে ধসও নামে। রাজ্যের বহু জায়গা থেকে পুজোর সময় ভিড় জমায় পর্যটকেরা। ক্রশমই বাড়ছে আতঙ্ক। কবে তারা বাড়ি ফিরতে পারবেন সেই আশায় পথ চেয়ে বসে আছেন পর্যটকেরা।