আমেরিকার নয়া শুল্কনীতি নিয়ে বিশ্বে অস্থিরতা

- আপডেট : ৩ এপ্রিল ২০২৫, বৃহস্পতিবার
- / 39
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: চিন, ব্রিটেন-সহ বিভিন্ন দেশের উপর নয়া শুল্ক আরোপ আমেরিকার। বাদ পড়ল না ভারতও। নয়াদিল্লির ওপর প্রায় ২৬ শতাংশ কর চাপালেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্টের নয়া শুল্ক ঘোষণা নিয়ে ফুঁসছে বিভিন্ন দেশ। কানাডা থেকে অস্ট্রেলিয়া সকলেই আমেরিকার শুল্ক নীতিতে অসন্তুষ্ট। নয়া শুল্কনীতি দ্রুত প্রত্যাহারের জন্য ওয়াশিংটনকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে চিন।
বুধবার গভীর রাতে আমেরিকার শুল্ক নীতি চালু হয়। চিনের ওপর ৩৪ শতাংশ, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওপর ২০ শতাংশ, ভিয়েতনামে ৪৬ শতাংশ, জাপানে ২৪ শতাংশ, দক্ষিণ কোরিয়ায় ২৫ শতাংশ, ব্রিটেনে ১০ শতাংশ, থাইল্যান্ড ৩৬ শতাংশ এবং সুইজারল্যান্ডের ওপর ৩১ শতাংশ শুল্ক চাপানোর কথা জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। শুল্ক নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, “ছাড় রেখেই শুল্কের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে। এই দেশগুলো যা কর চাপায় এটা তার অর্ধেক। আমরা ছাড় দিয়েই শুল্ক চাপিয়েছি।’ ভারত সম্পর্কে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, “ভারতের শুল্কের পরিমাণ খুবই বেশি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আমার খুব ভাল বন্ধু। সম্প্রতি তিনি আমেরিকা থেকে ঘুরেও গিয়েছেন। তখন আমি তাঁকে বলেছিলাম, শুল্কের ব্যাপারে আপনারা আমেরিকার সঙ্গে ঠিক করছেন না। ভারত আমাদের থেকে ৫২ শতাংশ কর নেয়। কিন্তু আমরা ছাড় দিয়ে তার অর্ধেক ২৬% শুল্ক চাপাচ্ছি।”
শুল্ক নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রকের এক আধিকারিক জানান, “ভারত যে পণ্যগুলো আমেরিকায় রফতানি করে ৫ এপ্রিল থেকে সেগুলোর উপর ১০ শতাংশ কর চালু হবে। আর বাকি ১৬% ১০ এপ্রিল থেকে শুরু হবে। এতে যে ভারতের ওপর খুব খারাপ প্রভাব পড়বে সেটা নয়, আবার যে খুব ভালও হবে তেমন নয়। সবটাই মেলানো-মেশানো।” কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কারনি বলেছেন, “আমরা লড়াই করার জন্য প্রস্তুত। ট্রাম্প যে শুল্কযুদ্ধ শুরু করেছেন তাতে বিশ্ব বাণিজ্য ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন হবে। আমেরিকার এই পদক্ষেপ কানাডার লক্ষ লক্ষ নাগরিককে বিপদে ফেলবে।”অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি অ্যালবানিজের জানিয়েছেন, “এই অন্যায্য পদক্ষেপের জন্য আমেরিকার অনেক বড় মূল্য চোকাতে হবে।” চিনের বাণিজ্য মন্ত্রকের তরফে শুল্ক বাতিল করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। আমেরিকার শুল্ক নীতির ফলে বিশ্বের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিপন্ন হবে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।