Pahalgam Terror Attack: অকাশ্মীরিরাই ছিল টার্গেট, দাবি কাশ্মীর পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকের

- আপডেট : ২৩ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার
- / 108
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: মঙ্গলবার দুপুরে জম্মু-কা্শ্মীরের পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলায় (Pahalgam Terror Attack) নিহত হয়েছেন ২৭ জন পর্যটক। তার মধ্যে বাংলা থেকে রয়েছে তিন বাঙালি। মঙ্গলবার থেকে সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলিতে দাবি করা হয় হিন্দু দেখে গুলি করা হয়েছে। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলির দাবি খারিজ করলেন জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের উচ্চপদস্থ এক আধিকারিক। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় টার্গেট ছিল অকাশ্মীরিরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই পুলিশ কর্তার দাবি, যেভাবে হামলা করা হয়েছে তাতে মনে করা হচ্ছে অন্তত ৮-১০ জন জঙ্গি মিলে এই হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে।
আরও পড়ুন: পহেলগাঁওতে স্বরাষ্টমন্ত্রী অমিত শাহ, কথা বললেন নিহতদের পরিজনদের সঙ্গে
পুলওয়ামার পর আবার জম্মু ও কাশ্মীরের মাটিতে ফের বড়সড় জঙ্গি হামলা। বিকালে পহেলগাঁওয়ের এক রিসর্টে পর্যটকদের উপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। দাবি করা হয়েছিল পর্যটকদের ধর্মীয় পরিচয় দেখে হামলা চালানো হয়েছে। স্থানীয় সূত্রের দাবি জঙ্গিরা এসেছিল সেনার পোশাক পরে। হামলায় দায় স্বীকার করেছে লস্করের-ই-তইবার ছায়া সঙ্গী টিআরএফ বা দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট। এই হামলার (Pahalgam Terror Attack) সঙ্গে যুক্ত জঙ্গিদের বেশিরভাগই পাকিস্তানি বলে মনে করা হচ্ছে। বুধবার সকালের নিহত পরিবারদের সঙ্গে দেখা করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
আরও পড়ুন: Pahalgam Terror Attack: মৃত বাংলার তিন বাসিন্দা
পহেলগাঁও জঙ্গি হামলা (Pahalgam Terror Attack) প্রসঙ্গে এক বিএসএফ আধিকারিক ও পুলিশের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানান, যে রিসর্ট এই হামলা চলেছে ওই অঞ্চল বেশ দুর্গম। ওখানে যাওয়ার জন্য কোনও সড়কপথ নেই। নেটওয়ার্কের সমস্যা রয়েছে। হেঁটে বা খচ্চরের পিঠে চড়ে যেতে হয় ওখানে। ফলে হামলা চলার পর পুলিশের কাছে খবর পৌঁছতেও অনেক দেরি হয়। আধিকারিকদের দাবি, আমাদের কাছে যদি কোনও আগাম খবর থাকত তবে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতাম। এমন কোনও খবর পুলিশ প্রশাসনের কাছে ছিল না।
পুলিশ কর্তার দাবি অনুযায়ী, “রিসর্টে যখন জঙ্গি হামলা চলে সেই সময় ওখানে এক হাজার জনের মতো সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের মধ্য থেকে বেছে বেছে গুলি করা হয়েছে ঠিকই, তবে জঙ্গিদের টার্গেট হিন্দু-মুসলিম ছিল না। অকাশ্মীরিরাই ছিলেন জঙ্গিদের নিশানায়।” ওই পুলিশকর্তা আরও বলেন, “কপাল ভাল যে হামলাকারীরা এলোপাথাড়ি গুলি চালায়নি। যদি তেমন হামলা চলত তাহলে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হতে পারত।” এই হামলার প্রভাব যে দেশজুড়ে পড়তে পারে, সে আশঙ্কার কথাও এড়িয়ে যাচ্ছেন না ওই পুলিশকর্তা। দেশবাসীকে সতর্ক করে প্রশাসনের আর্জি, ‘কোনও ধর্ম নয়, সন্ত্রাসবাদীদের একটাই পরিচয় সে সন্ত্রাসী। আর কিছু না। এই ঘটনাকে হাতিয়ার করে দেশের অন্দরে বিভেদ তৈরি হলে তা আসলে জঙ্গিদের উদ্দেশ্যই সফল হবে।’