পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ‘সেবাশ্রয়’-এর সাফল্যে উচ্ছ্বসিত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ১৫ দিনের ব্যবধানে ফের নিজের গড়ে। নতুন বছরের শুরুতেই নিজ মস্তিষ্কপ্রসূত ‘সেবাশ্রয়’ প্রকল্পের সূচনায় হাজির হয়েছিলেন সংসদীয় এলাকা ডায়মন্ড হারবারে। মাত্র ১৫ দিনে কয়েক লক্ষ মানুষ উপকৃত হয়েছে অভিষেকের স্বপ্নের ‘সেবাশ্রয়’ থেকে। রাজ্যজুড়ে তুমুল জনপ্রিয়তার পর শিবির পরিদর্শনে বুধবার ফলতায় পা রাখলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
মেদিনীপুর মেডিক্যালে প্রসূতি মৃত্যু নিয়ে এখন রাজ্য-রাজনীতি সরগরম। এ বিষয়ে তীব্র ক্ষোভ উগরে দিলেন ডায়মন্ড হারবার সাংসদ। একইসঙ্গে বিভিন্ন ইস্যুতে সরব হন এ দিন। তাঁর সাফ কথা, ‘স্যালাইন-কাণ্ড নিয়ে সার্বিক তদন্ত হচ্ছে। দোষীদের কেউ ছাড় পাবে না।’ তিনি এ-ও বুঝিয়ে দেন, সেখানে দল বা পদ প্রাধান্য পাবে না।
ফলতা থেকে বুধবার হুংকার ছেড়ে অভিষেক বলেন, ‘মেদিনীপুর হাসপাতালে বিষাক্ত স্যালাইনের জেরে প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে এবং বাকি তিনজন অসুস্থ। ঘটনায় সিআইডি তদন্ত চালাচ্ছে।’ তিনি মনে করেন, ঘটনার নেপথ্যে চক্রান্ত কাজ করেছে। রাজ্য সরকার নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে ইতিমধ্যে। মানুষের প্রাণ মণিমুক্তোর মতো। কারও গাফিলতি যদি প্রমাণিত হয়, তাহলে কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি হবে।’
রাজনৈতিক দল বড় হলে সেখানে ভিন্ন মত তৈরি হওয়া অস্বাভাবিক নয়। তবে দলের মধ্যে শৃঙ্খলা ভেঙে যা খুশি করার প্রবণতা বরদাশ্ত করা হবে না বলে অভিষেক দলীয় কর্মীদের শৃঙ্খলার বিষয়ে কড়া বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, ‘তৃণমূলে শৃঙ্খলার বিষয়টি সর্বজনীন। বুথস্তরের একজন সাধারণ কর্মী থেকে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক; সবারই সেই শৃঙ্খলা মেনে চলতে হয়। এ প্রসঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, তৃণমূলের সঙ্গে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের বড় পার্থক্য এখানেই।’ তিনি বলেন, ‘মানুষের জন্য কাজ করার নামে কেউ যদি নিজের স্বার্থসিদ্ধি করতে চায়, তার জন্য তৃণমূলে কোনও জায়গা নেই। ভবিষ্যতেও এ নীতি বজায় থাকবে।’