‘আদানি নন, সব টাকা মোদিই বিনিয়োগ করেছেন’, বিস্ফোরক কেজরিওয়াল
ইমামা খাতুন
- আপডেট :
৩১ মার্চ ২০২৩, শুক্রবার
- / 10
পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: আদানি ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে সংসদে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
কেজরির দাবি, নরেন্দ্র মোদী আপন স্ত্রী অথবা আত্মীয় স্বজনদের সাহায্যের জন্য আজ পর্যন্ত কিছু করেন নি। অথচ আদানীকে বাঁচানোর জন্য তিনি প্রানপন চেষ্টা করছেন। হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টের পর পুরো দেশ যখন আদানির বিরুদ্ধাচারণ করছিল তখন কি ভাবে মোদিজি তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করছিলেন।
কেজিরির দাবি, হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্টের ভিত্তিতে ইডি, সিবিআই ঠিকঠাক তদন্ত করলে আদানি নয়, বরং আর্থিক বিপর্যয়ের মুখে পড়বেন মোদি নিজেই। কেজরিওয়াল আরও বলেন, আদানি শুধু মোদির বন্ধু নয় বরং ফান্ড ম্যনেজার। আদতে আদানির কোম্পনিতে টাকা বিনিয়োগ করেছেন মোদি নিজেই। আদানিকে সামনে রেখে মোদি বিনিয়োগ করে যাচ্ছেন। আদানির অঙ্গুলিহেলনে চলেন মোদি। আদানি তার পরামর্শদাতা ছাড়া আর কিছু নন । প্রধানমন্ত্রী তো আগেই হয়ে গেছেন, এখন মোদির ইচ্ছা দেশের ধনীদের অন্যতম হবে। তার জন্য আদানিকে বোড়ো বানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী। সাধারণ মানুষের টাকার প্রতি লোভ-লালসা থাকে। মোদিও তার ব্যক্তিক্রম নন। তিনি দুনিয়াকে নিজের অঙ্গুলিতে নাচাতে চাইছেন। আর তাঁকে সাহায্য করে যাচ্ছেন গৌতম আদানি। তবে এই সাহায্যের পিছনে মোটা অঙ্কের টাকা কমিশন হিসেবে দিতে হয় আদানিকে বলেও অভিযোগ করেছেন কেজরিওয়াল।
কেজরি এদিন আরও অভিযোগ করেন,নরেন্দ্র মোদি শ্রীলঙ্কার একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরির বরাত আদানি গোষ্ঠীকে পাইয়ে দিতে সে দেশের সরকারকে চাপ দিয়েছিলেন। শ্রীলঙ্কার বিদ্যুৎ প্রকল্প যে আদানির হাতে কিংবা দেশের ছয়টি বিমানবন্দর যে আদানি গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে চলছে, সবটাই হয়েছে মোদির প্রত্যক্ষ উদ্যোগে। এই সব করে মোদিজি আদানিকে নয়, নিজেকে সাহায্য করেছেন। শুধু তাই নয় ভূমধ্য সাগরের তীরে ইসরায়েলের প্রধান বন্দর হাইফা ১১৮ কোটি টাকা দিয়ে কিনেছে আদানি গ্রুপ। ১৬ অক্টোবর ২০২২ সালে এসিসি ও অম্বুজা সিমেন্ট কোম্পানি কিনেছে আদানি।
২০১৪ সালে আদানি যেখানে ৫০ হাজার কোটি টাকার মালিক ছিলেন সেখানে ৭ বছর পর আদানি সাড়ে ১১ লক্ষ টাকার মালিক হয়েছেন। ২০১৪ তে ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় ৬০৯ নম্বরে ছিলেন এখন ২য় ধনী ব্যক্তি হয়েছেন তিনি।
১৯৪৭ -২০১৪ পর্যন্ত দেশে আজ পর্যন্ত যত সরকার এসেছে তারা সকলে মিলে ৫৫ লক্ষ কোটি ঋণ নিয়েছিল। ২০১৪ থেকে ২০২২ পর্যন্ত মোদি সরকার ৮৫ লাখ কোটি ঋণ নিয়েছে। ৭৫ সালে কংগ্রেস যা লুঠ করেনি ৭ বছরে মোদি সরকার তা করেছে। উল্লেখ্য, আদানি ইস্যুতে কংগ্রেস-সহ অধিকাংশ বিরোধী দল সরব হয়েছে। তারমধ্যে কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টিও রয়েছে।
যদিও এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে মুখ খোলেননি খোদ মোদি। অন্যদিকে বিজেপির একাধিক নেতা অভিযোগ করেছেন, হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট আসলে ভারতের বিরুদ্ধে বিদেশি শক্তির ষড়যন্ত্র। যদিও আমেরিকার আর্থিক সংস্থার রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই আদানি গোষ্ঠীর শেয়ার বাজারে ব্যাপক পতন শুরু হয়েছে।