১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্বাধীনতা দিবসে নর্দান আয়ারল্যান্ডের প্রবাসী ভারতীয়রা শিকড়ের টান খুঁজে নিল বিশেষ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, সোমবার
  • / 4

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: আজাদির অমৃত মহোৎসবকে সামনে রেখে গোটা দেশজুড়ে পালিত হয়েছে স্বাধীনতা দিবস। সমস্ত মন্ত্রক, সমস্ত রাজ্যের সরকার, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল সমূহ, বাণিজ্যিক, ব্যবসায়িক, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং সমাজের সকল স্তরের মানুষের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে গোটা দেশজুড়ে আজাদি কা অমৃত মহোৎসব উদযাপিত হয়েছে। তবে ভারতের স্বাধীনতার ঐতিহ্যকে সামনে রেখে দেশের বাইরেও প্রবাসীরা এই দিবসকে বিশেষভাবে সম্মান জানিয়েছেন।

নর্দান আয়ারল্যান্ডে স্থানীয় ভারতীয় সংস্থা ‘ইমেজ নেশন এনআই’ স্বাধীনতা দিবসকে সামনে রেখে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। যেখানে শামিল হন প্রবাসী ভারতীয়রা। এই সংস্থার মূল উদ্যোগ দেশের বাইরে থাকা মানুষগুলির মধ্যে পরস্পরের প্রতি মেলবন্ধন ও সুসম্পর্ক তৈরি করা। অনুষ্ঠানটি স্পনসর করে লর্ড দিলজিৎ রানার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আন্দ্রাস হাউস, এশিয়ান মিক্স এবং নমস্তে বেলফাস্ট।

ভারতের স্বাধীনতার প্ল্যাটিনাম জুবিলি উদযাপনের এই বিশেষ অনুষ্ঠানে হাজির থাকলেন বেলফাস্টের লর্ড মেয়র, কাউন্সিলর ক্রিস্টিনা ব্ল্যাক ও প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার ববি রাও। ছিলেন কলকাতা থেকে গিয়ে বেলফাস্টের বাসিন্দা হয়ে ওঠা নৃত্যঙ্গনা অ্যাকাডেমির প্রতিষ্ঠাতা স্বরলিপি বন্দ্যোপাধ্যায়।

একটা সময় শরণার্থী হিসেবে বেলফাস্টে চলে আসেন লর্ড রানা। তার পর জীবনে বেঁচে থাকার তাগিদে লড়াই শুরু করেন তিনি। বিদেশে অনেক প্রতিবন্ধকতার সামনে পড়তে হয় তাঁকে। সেই লড়াইতে টিকে থেকে কখন এই দেশটিকেই আপন করে নেন লর্ড রানা। নর্দান আয়ারল্যান্ডের রাজধানীতে এখন একাধিক হোটেল, রেস্তরাঁ রয়েছে তাঁর।

রানার কথায়, যে জায়গায় থাকি ধীরে ধীরে সেই জায়গাকে ভালোবেসে ফেলি। বাঁচার তাগিদে লড়াইও শুরু হয়। ফেলে আসা সময়, দেশের কথা খুব মনে পড়ে। শিকড়ের টান প্রতিটি মানুষের জীবনে খুব গুরুত্বপূর্ণ সেটা বিদেশে থাকাকালীন আরও বেশি করে অনুভব করি। আমাদের এই নর্দান-আইরিশ সোসাইটিতে ভারতীয়দের অবদান এখন বিশেষ উল্লেখযোগ্য।

ভারতের স্বাধীনতার প্ল্যাটিনাম জুবিলি উদযাপনের দিন বিশেষ আকর্ষণ ছিল ভারতীয় সংস্কৃতি, নৃত্য আর সংগীত। স্থানীয় লেখক মালাচি ও’ডোহার্টির তত্ত্বাবধানে হয় একটি চিত্র প্রদর্শনীও। সেখানে তুলে ধরা হয়েছিল ভারতীয় শিল্প, সংস্কৃতি আর প্রাচীন ঐতিহ্য। খাবারের মেনুতে অতিথি-অভ্যাগতদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছিল ভারতীয় খাবার।

ইমেজ নেশন এনআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা সঞ্জয় ঘোষ জানিয়েছেন, গোটা ব্রিটেনের মধ্যে নর্দান আয়ারল্যান্ডেই সবচেয়ে কম ভারতীয়দের বসবাস। ভারতের প্রতি ভালোবাসা সকলের মননে রয়েছে। দেশের বাইরে থাকলে আরও বেশি মাটির টান অনুভব করা যায়। সেটাই অনুষ্ঠান, সাজ-সজ্জা, খাবার ভারতীয় ঐতিহ্যের মধ্যে দিয়ে তুলে ধরা হয়েছিল স্বাধীনতা দিবসকে সামনে রেখে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

স্বাধীনতা দিবসে নর্দান আয়ারল্যান্ডের প্রবাসী ভারতীয়রা শিকড়ের টান খুঁজে নিল বিশেষ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে

আপডেট : ৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, সোমবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: আজাদির অমৃত মহোৎসবকে সামনে রেখে গোটা দেশজুড়ে পালিত হয়েছে স্বাধীনতা দিবস। সমস্ত মন্ত্রক, সমস্ত রাজ্যের সরকার, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল সমূহ, বাণিজ্যিক, ব্যবসায়িক, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং সমাজের সকল স্তরের মানুষের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে গোটা দেশজুড়ে আজাদি কা অমৃত মহোৎসব উদযাপিত হয়েছে। তবে ভারতের স্বাধীনতার ঐতিহ্যকে সামনে রেখে দেশের বাইরেও প্রবাসীরা এই দিবসকে বিশেষভাবে সম্মান জানিয়েছেন।

নর্দান আয়ারল্যান্ডে স্থানীয় ভারতীয় সংস্থা ‘ইমেজ নেশন এনআই’ স্বাধীনতা দিবসকে সামনে রেখে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। যেখানে শামিল হন প্রবাসী ভারতীয়রা। এই সংস্থার মূল উদ্যোগ দেশের বাইরে থাকা মানুষগুলির মধ্যে পরস্পরের প্রতি মেলবন্ধন ও সুসম্পর্ক তৈরি করা। অনুষ্ঠানটি স্পনসর করে লর্ড দিলজিৎ রানার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আন্দ্রাস হাউস, এশিয়ান মিক্স এবং নমস্তে বেলফাস্ট।

ভারতের স্বাধীনতার প্ল্যাটিনাম জুবিলি উদযাপনের এই বিশেষ অনুষ্ঠানে হাজির থাকলেন বেলফাস্টের লর্ড মেয়র, কাউন্সিলর ক্রিস্টিনা ব্ল্যাক ও প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার ববি রাও। ছিলেন কলকাতা থেকে গিয়ে বেলফাস্টের বাসিন্দা হয়ে ওঠা নৃত্যঙ্গনা অ্যাকাডেমির প্রতিষ্ঠাতা স্বরলিপি বন্দ্যোপাধ্যায়।

একটা সময় শরণার্থী হিসেবে বেলফাস্টে চলে আসেন লর্ড রানা। তার পর জীবনে বেঁচে থাকার তাগিদে লড়াই শুরু করেন তিনি। বিদেশে অনেক প্রতিবন্ধকতার সামনে পড়তে হয় তাঁকে। সেই লড়াইতে টিকে থেকে কখন এই দেশটিকেই আপন করে নেন লর্ড রানা। নর্দান আয়ারল্যান্ডের রাজধানীতে এখন একাধিক হোটেল, রেস্তরাঁ রয়েছে তাঁর।

রানার কথায়, যে জায়গায় থাকি ধীরে ধীরে সেই জায়গাকে ভালোবেসে ফেলি। বাঁচার তাগিদে লড়াইও শুরু হয়। ফেলে আসা সময়, দেশের কথা খুব মনে পড়ে। শিকড়ের টান প্রতিটি মানুষের জীবনে খুব গুরুত্বপূর্ণ সেটা বিদেশে থাকাকালীন আরও বেশি করে অনুভব করি। আমাদের এই নর্দান-আইরিশ সোসাইটিতে ভারতীয়দের অবদান এখন বিশেষ উল্লেখযোগ্য।

ভারতের স্বাধীনতার প্ল্যাটিনাম জুবিলি উদযাপনের দিন বিশেষ আকর্ষণ ছিল ভারতীয় সংস্কৃতি, নৃত্য আর সংগীত। স্থানীয় লেখক মালাচি ও’ডোহার্টির তত্ত্বাবধানে হয় একটি চিত্র প্রদর্শনীও। সেখানে তুলে ধরা হয়েছিল ভারতীয় শিল্প, সংস্কৃতি আর প্রাচীন ঐতিহ্য। খাবারের মেনুতে অতিথি-অভ্যাগতদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছিল ভারতীয় খাবার।

ইমেজ নেশন এনআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা সঞ্জয় ঘোষ জানিয়েছেন, গোটা ব্রিটেনের মধ্যে নর্দান আয়ারল্যান্ডেই সবচেয়ে কম ভারতীয়দের বসবাস। ভারতের প্রতি ভালোবাসা সকলের মননে রয়েছে। দেশের বাইরে থাকলে আরও বেশি মাটির টান অনুভব করা যায়। সেটাই অনুষ্ঠান, সাজ-সজ্জা, খাবার ভারতীয় ঐতিহ্যের মধ্যে দিয়ে তুলে ধরা হয়েছিল স্বাধীনতা দিবসকে সামনে রেখে।