মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে মিজোরামের মৃত বাঙালি শ্রমিকের দেহ পৌঁছলো সন্দেশখালিতে

- আপডেট : ১৬ নভেম্বর ২০২২, বুধবার
- / 7

মৃত সুব্রত রপ্তানের পরিবারের হাতে চেক তুলে দিচ্ছেন উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা পরিষদের পূর্ত ও পরিবহন কর্মাধ্যক্ষ , বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী
ইনামুল হক, বসিরহাট: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে মিজোরামের মৃত বাঙালি শ্রমিকের দেহ পৌঁছলো সন্দেশখালিতে। সরকারিভাবে মৃতের পরিবারকে দু’লক্ষ টাকার চেকও দেওয়া হলো। মিজোরামের হান্তিয়া জেলার মৌদার গ্রামে পাথর খাদানে. হঠাৎই ধস নামায় ১৫ জনের মৃত্যু হয়। তার মধ্যে মৃত্যু হয়েছে সুব্রত রপ্তান নামে এই বাঙালি শ্রমিকের । মৃত্যুর ২৪ ঘন্টার পর পরিবারের দাবি মেনে মৃতদেহ প্লেনে করে প্রথমে দমদম বিমান বন্দরের নামেন বুধবার দুপুর একটা নাগাদ। তারপর হাসনাবাদ হয়ে সন্দেশখালির ঢোলখালি গ্রামে মরদেহ পৌঁছায়। মৃত সুব্রত রপ্তানির মা শ্যামলী রপ্তান ও বোন লিপিকা রপ্তান বলেন, রাজ্য সরকার তথা মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসন যেভাবে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে তার উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।
তিনি নিজে দায়িত্ব নিয়ে ভিন রাজ্য থেকে আমার দাদার মৃতদেহ পরিবারের হাতে গ্রামে ফিরিয়ে দিয়েছেন। তাকে কৃতজ্ঞতা জানাই। পাশাপাশি আমরা মিজোরামের ওই বেসরকারি সংস্থার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করব। ওই বেসরকারি সংস্থা নিরাপত্তা ছাড়াই ডিনামাইট চার্জ করে পাথর ফাটালো। আর এইভাবে তরতাজা প্রাণগুলো চলে গেল। মৃতদেহ কলকাতা বিমানবন্দর থেকে নিয়ে সন্দেশখালি ২ ব্লকের, সন্দেশখালি ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ঢোলখালি গ্রামে ফেরেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা নেতৃত্ব। সুব্রত রপ্তানের পরিবারের পাশে পাশে দাঁড়িয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলার তৃণমূলের কার্যকারী সভাপতি নারায়ণ গোস্বামী, সন্দেশখালির বিধায়ক সুকুমার মাহাতো, সন্দেশখালির কনভেনার শেখ শাহাজান, সন্দেশখালি ২ ব্লক সভাপতি শিবপ্রসাদ হাজরা, সন্দেশখালি ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দিলীপ মল্লিক হিঙ্গলগঞ্জ ব্লক সভাপতি শেখ শহিদুল্লাহ সন্দেশখালি২ ব্লকের অর্ণব মুখার্জি, পুলিশ আধিকারিক অনিমেষ দাও সহ স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ।
সরকারিভাবে মৃতের পরিবারের হাতে দু লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন। পাশাপাশি তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। বাবা শ্যামল রপ্তানও শ্রমিকের কাজ করেন তামিলনাড়ুতে। পরিবারের একমাত্র ছেলে সুব্রত। টাকি গভর্নমেন্ট কলেজ থেকে বিএ পাস করার পর চাকরি না পেয়ে মিজোরামের পাথর খাদানে কাজ করতে যায়। এর আগে সে ঝাড়খন্ডেও পাথর খাদানে কাজ করেছে। একই গ্রামের বাসিন্দা শ্রমিক পিন্টু ঘোষ কোনরকম ভাবে প্রাণে বেঁচেছে। কিন্তু তার বাড়ি ফিরে আসায় জন্য পরিবার দুশ্চিন্তা রয়েছে। পিন্টু ঘোষের পরিবার চাইছে দ্রুত তার ছেলে ঘরে ফিরুক। সেই দুশ্চিন্তায় দিন গুণছেন। এক বন্ধু জীবিত ফিরে আসার প্রহর গুনছে সন্দেশখালির বাসিন্দারা। এক বন্ধুর মৃতদেহ ফিরলো গ্রামে। জীবিত আর এক শ্রমিকের সশরীরে ফেরার অপেক্ষায় সন্দেশখালির মানুষ।