১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখবে পিঁয়াজের রস

সামিমা এহসানা
  • আপডেট : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২, সোমবার
  • / 10

পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ একসময় ভাতের থালায় পেঁয়াজ না পড়লে মুখ ব্যাজার হত বাঙালির। জেনে বা না জেনে পূর্বপুরুষরা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের ওষুধ চিনিয়ে গেছেন আমাদের। আজকের দিনে এমন কোনো পরিবার খুঁজে পাওয়া মুশকিল যেখানে ডায়াবেটিসে ভুগছেন এমন রোগী নেই। কমবেশি সব বাড়িতেই পঞ্চাশোর্ধরা ডায়াবেটিসে ভুগে প্রতিদিন মুঠো মুঠো ওষুধ খাচ্ছেন, কোথাও বা গল্পটা গড়িয়েছে ইসুলিনের ইনজেকশন পর্যন্ত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিশ্বব্যাপী ৪২২ মিলিয়ন মানুষ ডায়াবেটিস আক্রান্ত। টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণে ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না। এমন সময় ওষুধের প্রয়োজন পড়ে, আর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে ইনসুলিনের ইনজেকশন। ডায়াবেটিসের মহামারী নিয়ন্ত্রণে নতুন আশার আলো দেখাচ্ছে তাজা, সরস পেঁয়াজ। এমনই ইঙ্গিত উঠে এসেছে অনেকগুলি গবেষণায়।

ইন্ডিপেন্ডেন্টে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী সান দিয়েগোতে দ্য এন্ডোক্রাইন সোসাইটির ৯৭ তম বার্ষিক সভায় ২০১৫ সালের একটি গবেষণায় এমনই দাবি করা হয়েছে। ওই গবেষণার অন্যতম প্রধান গবেষক নাইজেরিয়ার ডেল্টা স্টেট ইউনিভার্সিটির অ্যান্টনি ওজিহ্ জানিয়েছেন, পেঁয়াজ এর মাধ্যমে ডায়াবেটিসের চিকিৎসা সম্ভব।

অন্যদিকে, জার্নাল অফ মেডিসিনাল ফুডে প্রকাশিত অন্য একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, পেঁয়াজে  এমন উপাদান থাকতে পারে, যা ব্লাড সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কিভাবে খেতে হবে পেঁয়াজ? রান্না নাকি কাঁচা ? এই প্রশ্নের উত্তর মিলেছে, এনভায়রনমেন্টাল হেলথ ইনসাইটস্ জার্নালে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে। সেখানে বলা হয়েছে, কাঁচা এবং অবশ্যই তাজা পেঁয়াজ আমাদের শরীরের পক্ষে সবথেকে বেশি উপাদেয়। সেখানে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, তাজা পেঁয়াজ টাইপ-১ ও টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীগের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা হ্রাস করে। তবে শুধুমাত্র পেঁয়াজের অপেক্ষায় থাকলে হবে না। অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে, ওষুধের পাশাপাশি প্রতিদিন খাবারের পাতে রাখা যেতে পারে তাজা পেঁয়াজ।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখবে পিঁয়াজের রস

আপডেট : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২, সোমবার

পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ একসময় ভাতের থালায় পেঁয়াজ না পড়লে মুখ ব্যাজার হত বাঙালির। জেনে বা না জেনে পূর্বপুরুষরা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের ওষুধ চিনিয়ে গেছেন আমাদের। আজকের দিনে এমন কোনো পরিবার খুঁজে পাওয়া মুশকিল যেখানে ডায়াবেটিসে ভুগছেন এমন রোগী নেই। কমবেশি সব বাড়িতেই পঞ্চাশোর্ধরা ডায়াবেটিসে ভুগে প্রতিদিন মুঠো মুঠো ওষুধ খাচ্ছেন, কোথাও বা গল্পটা গড়িয়েছে ইসুলিনের ইনজেকশন পর্যন্ত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিশ্বব্যাপী ৪২২ মিলিয়ন মানুষ ডায়াবেটিস আক্রান্ত। টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণে ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না। এমন সময় ওষুধের প্রয়োজন পড়ে, আর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে ইনসুলিনের ইনজেকশন। ডায়াবেটিসের মহামারী নিয়ন্ত্রণে নতুন আশার আলো দেখাচ্ছে তাজা, সরস পেঁয়াজ। এমনই ইঙ্গিত উঠে এসেছে অনেকগুলি গবেষণায়।

ইন্ডিপেন্ডেন্টে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী সান দিয়েগোতে দ্য এন্ডোক্রাইন সোসাইটির ৯৭ তম বার্ষিক সভায় ২০১৫ সালের একটি গবেষণায় এমনই দাবি করা হয়েছে। ওই গবেষণার অন্যতম প্রধান গবেষক নাইজেরিয়ার ডেল্টা স্টেট ইউনিভার্সিটির অ্যান্টনি ওজিহ্ জানিয়েছেন, পেঁয়াজ এর মাধ্যমে ডায়াবেটিসের চিকিৎসা সম্ভব।

অন্যদিকে, জার্নাল অফ মেডিসিনাল ফুডে প্রকাশিত অন্য একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, পেঁয়াজে  এমন উপাদান থাকতে পারে, যা ব্লাড সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কিভাবে খেতে হবে পেঁয়াজ? রান্না নাকি কাঁচা ? এই প্রশ্নের উত্তর মিলেছে, এনভায়রনমেন্টাল হেলথ ইনসাইটস্ জার্নালে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে। সেখানে বলা হয়েছে, কাঁচা এবং অবশ্যই তাজা পেঁয়াজ আমাদের শরীরের পক্ষে সবথেকে বেশি উপাদেয়। সেখানে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, তাজা পেঁয়াজ টাইপ-১ ও টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীগের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা হ্রাস করে। তবে শুধুমাত্র পেঁয়াজের অপেক্ষায় থাকলে হবে না। অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে, ওষুধের পাশাপাশি প্রতিদিন খাবারের পাতে রাখা যেতে পারে তাজা পেঁয়াজ।