UPSC: উত্তীর্ণ মাত্র ৩০ মুসলিম, উল্লেখযোগ্যভাবে কমল সাফল্যের হার

- আপডেট : ২৩ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার
- / 53
নয়াদিল্লি: মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়েছে ইউপিএসসির ফলাফল (UPSC Result 2024)। ২০২৪ সালের সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় সাফল্যদের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন। ২০২৪ সালের সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় এক হাজার নয় জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। তবে অন্যান্য বছর গুলির তুলনায় এবার অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে মুসলিম পরীক্ষার্থী। এক হাজার জনের মধ্যে মাত্র ৩০ জন মুসলিম সিভিল সার্ভিস উত্তীর্ণ হয়েছে। শতাংশের নিরিখে মাত্র ৩ শতাংশ মুসলিম উত্তীর্ণ হয়েছে। অর্থাৎ এবছরের ফলাফলে মুসলিম প্রতিনিধিত্ব উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।
ইউপিএসসির (UPSC Result 2024) প্রথম শীর্ষ ১০০ জনের তালিকায় জায়গা করেছে মাত্র দু’জন মুসলিম মহিলা। তারা হলেন ইরাম চৌধুরী। সর্বভারতীয় স্তরে ৪০ রাঙ্ক করেছেন তিনি। সর্বভারতীয় স্তরে ৬৭ রাঙ্ক করেছেন ফারখান্দা কুরেশি। ইরাম-ফারখান্দার সাফল্যে গ্রামজুড়ে শুরু হয়েছে উৎসব। এছাড়াও সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ অন্যান্য মুসলিম প্রার্থীরা হলেন- মোহাম্মাদ মুনিব ভাট (রাঙ্ক ১৩১), আদিবা আনাম আশফাক আহমেদ (১৪২), ওয়াসিম উর রহমান (২৮১), মহম্মদ নায়াব আনজুম (২৯২), মহম্মদ হারিস মীর (৩১৪), মহম্মদ শওকত আজিম (৩৪৫), আলিফা খান (৪১৭), নাদিয়া আবদুল রশিদ (৪২৯) এবং নাজমা এ সালাম (৪৪২)। সংখ্যালঘুদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সমাজকর্মী ড. আসাদ মালিক বলেন, “ইউপিএসসির ফলাফলে মুসলিম প্রতিনিধিত্ব এত কমে যাওয়া হতাশাজনক। এই হ্রাস সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে আরও প্রান্তিক করে তুলবে। ইতিমধ্যে তারা দেশে বেশ কয়েকটি আর্থ-সামাজিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে।”
প্রসঙ্গত, বিগত বছরগুলির পরিসংখ্যানের তুলনায় এবছর ইউপিএসসিতে (UPSC Result 2024) অনেকটাই কমেছে মুলসিম প্রতিনিধিত্ব। ২০২৩ সালে ১ হাজার ১৬ জনের মধ্যে ৫০ জন মুসলিম উত্তীর্ণ হয়েছিল। ২০২২ সালে ৯৩৩ জনের মধ্যে ৪২ জন মুসলিম পার্থী সাফল্য অর্জন করে। ২০২১ সালে ৬৮৫ জন প্রার্থীর মধ্যে ২৫ জন মুসলিম সফল হয়। ২০২০ সালে ৩১, ২০১৯ সালে ৪২, ২০১৮ সালে ২৭, ২০১৭ সালে ৫০ এবং ২০১৬ সালে ৫২। বিগত বছরগুলির পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট এবছরের ফলাফলে মুসলিম সমাজে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। সামাজিক সমতা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ শিক্ষাবিদ ও অধ্যাপক শাহীন ফারুক বলেছেন, “ক্রমাগত হ্রাস উদ্বেগজনক। সরকারকে অবশ্যই এই কম প্রতিনিধিত্বের পেছনের কারণগুলি খতিয়ে দেখতে হবে। মুসলিম প্রার্থীদের জন্য ন্যায্য সুযোগ নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নিতে হবে।” দিল্লির সিভিল সার্ভিস কোচ আয়েশা খান বলেন, “ইউপিএসসি নিরপেক্ষ এবং যোগ্যতা-ভিত্তিক হওয়ার কথা। কিন্তু মুসলিমরা ক্রমবর্ধমানভাবে কোণঠাসা বোধ করছেন।”