ডিজিটাল ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা আইন নিয়ে সরব বিরোধীরা

- আপডেট : ১১ এপ্রিল ২০২৫, শুক্রবার
- / 22
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: শুক্রবার ডিজিটালে ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা আইনের একটি অনু্চ্ছেদ বাতিল করা নিয়ে সরব হলেন ‘ইন্ডিয়া’র সদস্যরা। সংসদের বাইরে একজোট হয়ে এই অনুচ্ছেদ সরিয়ে নেওয়ার জন্য প্রতিবাদ জানানো হয়। কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি, ডিএমকে, উদ্ধব সমর্থিত শিবসেনা, সিপিএমের সাংসদরা সাংবাদিক বৈঠক করে একযোগে দাবি জানায়। এই অনুচ্ছছেদটি তথ্যের অধিকার সংক্রান্ত আইনটিকে (আরটিআই) ক্ষতি করছে বলে দাবি করেন তাঁরা। একটি স্মারকলিপি নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন কংগ্রেসের গৌরব গগৈ, শিবসেনার প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদী, সিপিএমের জন ব্রিটাস, এসপি-র জাভেদ আলি খান, ডিএমকে-র এম এম আবদুল্লা প্রমুখ। কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের হাতে এই স্মারকলিপি তাঁরা তুলে দেন।গগৈ বলেন, “লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধি-সহ ইন্ডিয়া জোটের ১২০ জনেরও বেশি সাংসদ এতে সই করেছেন।”
আরও পড়ুন: হরিয়ানায় কন্যাভ্রূণ হত্যা রুখতে টাস্ক ফোর্স গঠন, ৩০০ গর্ভপাত কেন্দ্রের লাইসেন্স বাতিল
বিরোধীদের বক্তব্য, ডিপিডিপি আইনের ৪৪ (৩) অনুচ্ছেদ, আরটিআইয়ের ৮ (১) (জে) অনুচ্ছেদটিকে পরিবর্তন করা হয়েছে। আরটিআইয়ের ওই অনুচ্ছেদে বলা আছে, যদি কোনও তথ্যের সঙ্গে জনজীবন বা আম জনতার স্বার্থ জড়িত না থাকে বা তা অন্যের গোপনীয়তাকে আঘাত না করে, তা হলে ব্যক্তি বা সংস্থা সেই তথ্য নাও প্রকাশ করতে পারে। আর ডিপিডিপি আইন বলছে, সরকারি সংস্থাগুলি যে কোনও তথ্যই প্রকাশ নাও করতে পারে। উদাহরণ দিয়ে কংগ্রেস নেতা গগৈ বলেন, “কোনও রাজ্যে যদি সেতু ভেঙে পড়ে তাহলে নতুন আইনে সাধারণ মানুষ কন্ট্রাক্টরের বরাত পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন করার অধিকার থাকবে না। কোনও কন্ট্রাক্টরকে কেন বরাত দেওয়া হল বা একই কন্ট্রাক্টরকেই বারবার কেন বরাত দেওয়া হচ্ছে তা আরটিআই করে বার করার।” প্রসঙ্গত, বিরোধীদের আপত্তি সত্ত্বেও লোকসভায় ডিজিটাল ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা বিল পেশ করেছিল মোদি সরকার। ডিজিটাল দুনিয়ায় আমজনতার তথ্যের গোপনীয়তা বজায় রাখা এবং তা সুরক্ষিত রাখতে আইন তৈরি করা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সরকার আলোচনা চালাচ্ছিল। কারও তথ্য তাঁর অনুমতি ছাড়া অন্য কেউ যাতে ব্যবহার করতে না পারে, যাতে তথ্য সুরক্ষিত থাকে, তা নিশ্চিত করাই সরকারের লক্ষ্য বলে জানানো হয়।