২৩ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

Pahalgam Terror Attack: ভয়ে তটস্থ আটকে থাকা বাংলার বহু পর্যটক

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৩ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার
  • / 77

Pahalgam Terror Attack: শ্রীনগরে হোটেলবন্দি নদিয়ার ২০ পর্যটক

 

পুবের কলম প্রতিবেদক: কাশ্মীরের Pahalgam Terror Attack মৃত্যু হয়েছে ২৬ জন নিরীহ পর্যটকের। নির্বিচারে গুলি চালিয়ে তাণ্ডব চালায় জঙ্গিরা। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন বাংলার তিন বাসিন্দা। এই মর্মান্তিক ঘটনার জেরে বহু পর্যটক ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে দ্রুত রাজ্যে ফিরে আসার চেষ্টা করছেন।

নদিয়ার চাকদহ থেকে বেড়াতে যাওয়া ২০ জনের একটি দলও হামলার সময় পহেলগাঁওয়েই (Pahalgam Terror Attack) ছিলেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন প্রখ্যাত ফুটবলার সুব্রত দে ও কামালপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনিমেষ মিত্র। তাঁরা কাশ্মীরে পৌঁছেছিলেন ১৮ এপ্রিল।

 

Pahalgam Terror Attack: অমিত শাহ দেশের সবথেকে অসফল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী: সঞ্জয়

 

মঙ্গলবার সকালে দলটি ঘুরতে গিয়েছিল পহেলগাঁও (Pahalgam Terror Attack)। সেই সময়েই ঘটে ভয়াবহ জঙ্গি হামলা। মুহূর্তে বদলে যায় চেনা ছন্দ, জারি হয় হাই অ্যালার্ট। সেনাবাহিনী চারদিক ঘিরে ফেলে, বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। অতর্কিতে হামলার খবর ছড়িয়ে পড়তেই চাকদহের পর্যটকদের মধ্যেও চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তাঁরা পহেলগাঁওতেই আটকে পড়েন। পরে সেনাবাহিনীর জওয়ানরা উদ্ধার করে বাহিনীর গাড়িতে শ্রীনগরে নিয়ে আসেন। সেখানকার বিভিন্ন হোটেলে বর্তমানে দলে ভাগ হয়ে অবস্থান করছেন।

অন্যদিকে, হাওড়ার বালির পাঠকপাড়ার বাসিন্দা পিন্টু সরকার তাঁর পরিবার-সহ প্রথমবার কাশ্মীর ভ্রমণে গিয়েছিলেন। তবে পহেলগাঁওয়ের নিকটবর্তী এলাকায় আটকে পড়ার পর আঁতকে ওঠেন। ফোনে তিনি জানিয়েছেন, ‘অনেকদিন ধরে কাশ্মীর যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল, কিন্তু এমন ভয়াবহ ঘটনার মুখোমুখি হব ভাবিনি। এখন শুধু চাই বাড়ি ফিরতে।’

ঘটনাস্থলে না থাকায় সেই বেঁচে যাওয়ার তালিকায় স্থান পেয়েছে হুগলির ব্যান্ডেলের কেউটা টায়ার বাগানের বাসিন্দা চঞ্চল দের পরিবার। চঞ্চল দে স্কুল শিক্ষক। চঞ্চল বাবু তাঁর স্ত্রী ও ৮ বছরের সন্তানকে নিয়ে কাশ্মীরে বেড়াতে যান। সঙ্গে ছিলেন স্কুলের এক সহকর্মী-সহ তাঁরা তিনজন। ওই সহকর্মীর দিদি, জামাইবাবু। আর চঞ্চল বাবুর দিদি জামাইবাবু ও ভাগ্নি। মোট ১১ জনকে নিয়ে গত ১৬ এপ্রিল কাশ্মীরে বেড়াতে যান। ২৮ এপ্রিল তাদের বাড়ি ফেরার কথা ছিল।

জিডিপি বৃদ্ধির পূর্বাভাস কমাল বিশ্ব ব্যাঙ্ক

২২ এপ্রিল দুপুর দুটো নাগাদ তারা জম্মু-কাশ্মীরে অনন্তনাগ জেলার পহেলগাঁয়ে পৌঁছন। ওদিকে বৈসরণ ভ্যালিতে মারাত্মক জঙ্গি হানা হয়। বৈসরণ ভ্যালি থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরে চঞ্চল বাবুরা একটি হোটেলে উঠেছিলেন। সেখানে লাগেজ রেখে একটি গাড়িতে করে বেড়াতে বেরিয়েছিলেন। অনেকে রাস্তায় তাদের দেখে হোটেলে ফিরে যেতে বলেন। কথা অমান্য না করে তারা হোটেলে ফিরছিলেন। রাস্তায় প্রচুর সেনা মোতায়েন।

 

সেনাবাহিনী গাড়িতে গাড়িতে ছয়লাপ। সেনাবাহিনী গতিবিধি দেখে তারা প্রথমে বেশ খানিকটা বিচলিত হয়ে পড়েন। রাস্তায় প্রচন্ড জ্যাম লেগে যায়। হোটেলে পৌঁছাতে প্রায় ঘণ্টা খানেক সময় লাগে। রাস্তায় সেনা ও সেনাবাহিনীর গাড়ি দেখে তাদের আট বছরের ছেলে ঘাবড়ে যায়। বার বার চঞ্চল বাবুকে প্রশ্ন করতে থাকে কি হয়েছে বাবা? এত আর্মি কেন?

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

Pahalgam Terror Attack: ভয়ে তটস্থ আটকে থাকা বাংলার বহু পর্যটক

আপডেট : ২৩ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার

Pahalgam Terror Attack: শ্রীনগরে হোটেলবন্দি নদিয়ার ২০ পর্যটক

 

পুবের কলম প্রতিবেদক: কাশ্মীরের Pahalgam Terror Attack মৃত্যু হয়েছে ২৬ জন নিরীহ পর্যটকের। নির্বিচারে গুলি চালিয়ে তাণ্ডব চালায় জঙ্গিরা। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন বাংলার তিন বাসিন্দা। এই মর্মান্তিক ঘটনার জেরে বহু পর্যটক ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে দ্রুত রাজ্যে ফিরে আসার চেষ্টা করছেন।

নদিয়ার চাকদহ থেকে বেড়াতে যাওয়া ২০ জনের একটি দলও হামলার সময় পহেলগাঁওয়েই (Pahalgam Terror Attack) ছিলেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন প্রখ্যাত ফুটবলার সুব্রত দে ও কামালপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনিমেষ মিত্র। তাঁরা কাশ্মীরে পৌঁছেছিলেন ১৮ এপ্রিল।

 

Pahalgam Terror Attack: অমিত শাহ দেশের সবথেকে অসফল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী: সঞ্জয়

 

মঙ্গলবার সকালে দলটি ঘুরতে গিয়েছিল পহেলগাঁও (Pahalgam Terror Attack)। সেই সময়েই ঘটে ভয়াবহ জঙ্গি হামলা। মুহূর্তে বদলে যায় চেনা ছন্দ, জারি হয় হাই অ্যালার্ট। সেনাবাহিনী চারদিক ঘিরে ফেলে, বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। অতর্কিতে হামলার খবর ছড়িয়ে পড়তেই চাকদহের পর্যটকদের মধ্যেও চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তাঁরা পহেলগাঁওতেই আটকে পড়েন। পরে সেনাবাহিনীর জওয়ানরা উদ্ধার করে বাহিনীর গাড়িতে শ্রীনগরে নিয়ে আসেন। সেখানকার বিভিন্ন হোটেলে বর্তমানে দলে ভাগ হয়ে অবস্থান করছেন।

অন্যদিকে, হাওড়ার বালির পাঠকপাড়ার বাসিন্দা পিন্টু সরকার তাঁর পরিবার-সহ প্রথমবার কাশ্মীর ভ্রমণে গিয়েছিলেন। তবে পহেলগাঁওয়ের নিকটবর্তী এলাকায় আটকে পড়ার পর আঁতকে ওঠেন। ফোনে তিনি জানিয়েছেন, ‘অনেকদিন ধরে কাশ্মীর যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল, কিন্তু এমন ভয়াবহ ঘটনার মুখোমুখি হব ভাবিনি। এখন শুধু চাই বাড়ি ফিরতে।’

ঘটনাস্থলে না থাকায় সেই বেঁচে যাওয়ার তালিকায় স্থান পেয়েছে হুগলির ব্যান্ডেলের কেউটা টায়ার বাগানের বাসিন্দা চঞ্চল দের পরিবার। চঞ্চল দে স্কুল শিক্ষক। চঞ্চল বাবু তাঁর স্ত্রী ও ৮ বছরের সন্তানকে নিয়ে কাশ্মীরে বেড়াতে যান। সঙ্গে ছিলেন স্কুলের এক সহকর্মী-সহ তাঁরা তিনজন। ওই সহকর্মীর দিদি, জামাইবাবু। আর চঞ্চল বাবুর দিদি জামাইবাবু ও ভাগ্নি। মোট ১১ জনকে নিয়ে গত ১৬ এপ্রিল কাশ্মীরে বেড়াতে যান। ২৮ এপ্রিল তাদের বাড়ি ফেরার কথা ছিল।

জিডিপি বৃদ্ধির পূর্বাভাস কমাল বিশ্ব ব্যাঙ্ক

২২ এপ্রিল দুপুর দুটো নাগাদ তারা জম্মু-কাশ্মীরে অনন্তনাগ জেলার পহেলগাঁয়ে পৌঁছন। ওদিকে বৈসরণ ভ্যালিতে মারাত্মক জঙ্গি হানা হয়। বৈসরণ ভ্যালি থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরে চঞ্চল বাবুরা একটি হোটেলে উঠেছিলেন। সেখানে লাগেজ রেখে একটি গাড়িতে করে বেড়াতে বেরিয়েছিলেন। অনেকে রাস্তায় তাদের দেখে হোটেলে ফিরে যেতে বলেন। কথা অমান্য না করে তারা হোটেলে ফিরছিলেন। রাস্তায় প্রচুর সেনা মোতায়েন।

 

সেনাবাহিনী গাড়িতে গাড়িতে ছয়লাপ। সেনাবাহিনী গতিবিধি দেখে তারা প্রথমে বেশ খানিকটা বিচলিত হয়ে পড়েন। রাস্তায় প্রচন্ড জ্যাম লেগে যায়। হোটেলে পৌঁছাতে প্রায় ঘণ্টা খানেক সময় লাগে। রাস্তায় সেনা ও সেনাবাহিনীর গাড়ি দেখে তাদের আট বছরের ছেলে ঘাবড়ে যায়। বার বার চঞ্চল বাবুকে প্রশ্ন করতে থাকে কি হয়েছে বাবা? এত আর্মি কেন?