২৪ এপ্রিল ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

Pahalgam Terror Attack: ‘বাবা… তুমি ওঠো…’ ছেলের কান্নায় ভেঙে পড়ল ঝালদা

সুস্মিতা
  • আপডেট : ২৪ এপ্রিল ২০২৫, বৃহস্পতিবার
  • / 42

Oplus_16908288

কফিনবন্দি দেহ নামতেই স্লোগান, ‘মণীশরঞ্জন অমর রহে’

দীপক মাহান্তি, ঝালদা: বাবা… তুমি ওঠো! বারো বছরের ছেলের এই হৃদয়বিদারক আর্তি শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন ঝালদার মানুষজন। এমনকী পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার অভিজিৎ ব্যানার্জিও নিজেকে সামলাতে পারেননি। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মনীশের পাঁচ বছরের কন্যা কিছুই বুঝতে না পেরে কেবল ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে ছিল। স্বামীর মৃত্যু চোখের সামনে দেখার পর থেকে স্ত্রীর কান্নাও থামানো যাচ্ছে না। এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। এই হৃদয়বিদারক মুহূর্তের সাক্ষী রইলেন হাজার হাজার ঝালদাবাসী। কাশ্মীরের পহেলগাঁয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় (Pahalgam Terror Attack) প্রাণ হারালেন ঝালদার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দফতরের ডিএসপি পদমর্যাদার অফিসার মনীশ রঞ্জন মিশ্র। পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটাতে গিয়েই প্রাণ হারাতে হলো তাঁকে।

 

আরও পড়ুন: Pahalgam Terror Attack: সন্ত্রাসবাদের কোমর না ভাঙা পর্যন্ত বিশ্রাম নেবে না ভারত: কড়া হুঁশিয়ারি মোদির

 

Pahalgam Terror Attack: 'বাবা... তুমি ওঠো...' ছেলের কান্নায় ভেঙে পড়ল ঝালদা
মণীশরঞ্জনের বাবা ও মা

 

পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে কাঁধে মণীশরঞ্জনের দেহ তাঁর বাড়িতে নিয়ে আসেন।

মনীশের মরদেহ রাঁচি বিমানবন্দরে পৌঁছনোর পর সিআরপিএফ ক্যাম্পে তাঁকে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয়। এরপর কফিনবন্দি দেহ নিয়ে আসা হয় ঝালদায়। জাতীয় পতাকা হাতে হাজার হাজার মানুষ রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানান। দেহ বাড়িতে ঢুকতেই কান্নায় ভেঙে পড়ে গোটা এলাকা, স্লোগান ওঠে ‘পাকিস্তান মুর্দাবাদ’।স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, মনীশ ছিলেন সহজ-সরল, ভালো মনের মানুষ। কাজের সূত্রে বাইরে থাকলেও ঝালদার কাউকে সমস্যায় পড়তে দেখলে ছুটে আসতেন সাহায্য করতে। স্থানীয় মহেন্দ্র রুংটা বলেন, ‘দিল্লিতে কর্মরত থাকাকালীন আমার কাকার হার্ট অ্যাটাক হলে, স্টেশনে পৌঁছে ওর জীবন বাঁচায় মনীশ।’

 

আরও পড়ুন: Pahalgam Terror Attack: ল’ বোর্ডের সমস্ত প্রগাম ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত

 

পহেলগাঁয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় (Pahalgam Terror Attack)  মর্মান্তিক এই ঘটনায় গোটা ঝালদা স্তব্ধ। ঝালদা নাগরিক মঞ্চ ও ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের ডাকে বৃহস্পতিবার ১২ ঘণ্টার বনধে স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া দেন মানুষ। ঝালদার রাস্তাঘাট একেবারে ফাঁকা হয়ে পড়ে, দোকানপাটও ছিল বন্ধ। শেষ শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার, পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো সহ শাসক ও বিরোধী দুই দলের বহু নেতা। নাগরিক মঞ্চের উদ্যোগে শহর পরিক্রমার সময় হাজার হাজার মানুষ পা মেলান কফিনবন্দি দেহের পেছনে। ঝালদার মানুষের কষ্ট— ভূস্বর্গ কাশ্মীর থেকে মনীশ ফিরলেন, কিন্তু জীবন্ত নয়, কফিনবন্দি হয়ে। গোটা ঝালদা চাইছে এবার প্রত্যাঘাত হোক, এই রক্ত যেন বৃথা না যায়।

Pahalgam Terror Attack: 'বাবা... তুমি ওঠো...' ছেলের কান্নায় ভেঙে পড়ল ঝালদা

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

Pahalgam Terror Attack: ‘বাবা… তুমি ওঠো…’ ছেলের কান্নায় ভেঙে পড়ল ঝালদা

আপডেট : ২৪ এপ্রিল ২০২৫, বৃহস্পতিবার

কফিনবন্দি দেহ নামতেই স্লোগান, ‘মণীশরঞ্জন অমর রহে’

দীপক মাহান্তি, ঝালদা: বাবা… তুমি ওঠো! বারো বছরের ছেলের এই হৃদয়বিদারক আর্তি শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন ঝালদার মানুষজন। এমনকী পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার অভিজিৎ ব্যানার্জিও নিজেকে সামলাতে পারেননি। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মনীশের পাঁচ বছরের কন্যা কিছুই বুঝতে না পেরে কেবল ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে ছিল। স্বামীর মৃত্যু চোখের সামনে দেখার পর থেকে স্ত্রীর কান্নাও থামানো যাচ্ছে না। এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। এই হৃদয়বিদারক মুহূর্তের সাক্ষী রইলেন হাজার হাজার ঝালদাবাসী। কাশ্মীরের পহেলগাঁয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় (Pahalgam Terror Attack) প্রাণ হারালেন ঝালদার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দফতরের ডিএসপি পদমর্যাদার অফিসার মনীশ রঞ্জন মিশ্র। পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটাতে গিয়েই প্রাণ হারাতে হলো তাঁকে।

 

আরও পড়ুন: Pahalgam Terror Attack: সন্ত্রাসবাদের কোমর না ভাঙা পর্যন্ত বিশ্রাম নেবে না ভারত: কড়া হুঁশিয়ারি মোদির

 

Pahalgam Terror Attack: 'বাবা... তুমি ওঠো...' ছেলের কান্নায় ভেঙে পড়ল ঝালদা
মণীশরঞ্জনের বাবা ও মা

 

পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে কাঁধে মণীশরঞ্জনের দেহ তাঁর বাড়িতে নিয়ে আসেন।

মনীশের মরদেহ রাঁচি বিমানবন্দরে পৌঁছনোর পর সিআরপিএফ ক্যাম্পে তাঁকে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয়। এরপর কফিনবন্দি দেহ নিয়ে আসা হয় ঝালদায়। জাতীয় পতাকা হাতে হাজার হাজার মানুষ রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানান। দেহ বাড়িতে ঢুকতেই কান্নায় ভেঙে পড়ে গোটা এলাকা, স্লোগান ওঠে ‘পাকিস্তান মুর্দাবাদ’।স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, মনীশ ছিলেন সহজ-সরল, ভালো মনের মানুষ। কাজের সূত্রে বাইরে থাকলেও ঝালদার কাউকে সমস্যায় পড়তে দেখলে ছুটে আসতেন সাহায্য করতে। স্থানীয় মহেন্দ্র রুংটা বলেন, ‘দিল্লিতে কর্মরত থাকাকালীন আমার কাকার হার্ট অ্যাটাক হলে, স্টেশনে পৌঁছে ওর জীবন বাঁচায় মনীশ।’

 

আরও পড়ুন: Pahalgam Terror Attack: ল’ বোর্ডের সমস্ত প্রগাম ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত

 

পহেলগাঁয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় (Pahalgam Terror Attack)  মর্মান্তিক এই ঘটনায় গোটা ঝালদা স্তব্ধ। ঝালদা নাগরিক মঞ্চ ও ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের ডাকে বৃহস্পতিবার ১২ ঘণ্টার বনধে স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া দেন মানুষ। ঝালদার রাস্তাঘাট একেবারে ফাঁকা হয়ে পড়ে, দোকানপাটও ছিল বন্ধ। শেষ শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার, পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো সহ শাসক ও বিরোধী দুই দলের বহু নেতা। নাগরিক মঞ্চের উদ্যোগে শহর পরিক্রমার সময় হাজার হাজার মানুষ পা মেলান কফিনবন্দি দেহের পেছনে। ঝালদার মানুষের কষ্ট— ভূস্বর্গ কাশ্মীর থেকে মনীশ ফিরলেন, কিন্তু জীবন্ত নয়, কফিনবন্দি হয়ে। গোটা ঝালদা চাইছে এবার প্রত্যাঘাত হোক, এই রক্ত যেন বৃথা না যায়।

Pahalgam Terror Attack: 'বাবা... তুমি ওঠো...' ছেলের কান্নায় ভেঙে পড়ল ঝালদা