২৭ এপ্রিল ২০২৫, রবিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

Pahalgam Terror attack: প্রধানমন্ত্রীকে ফোন ইরানের প্রেসিডেন্টের, বললেন ‘শান্তির দূত’ গান্ধি-নেহেরুর কথা

চামেলি দাস
  • আপডেট : ২৭ এপ্রিল ২০২৫, রবিবার
  • / 40

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: পহেলগাঁও (Pahalgam Terror attack)  ঘটনার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে বহুগুণ। এই পরিস্থিতিতে শনিবার ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান ফোন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে আক্রান্তদের পরিবারের প্রতি সহমর্মিতাও জানিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট।

বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফোন করেছিলেন। ফোন করে জম্মু ও কাশ্মীরে হওয়া জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন। সমবেদনা জানিয়েছেন আক্রান্তদের পরিবারকে। দুই রাষ্ট্রনেতাই একমত হয়েছেন যে এমন হামলার কোনও যুক্তি হতেই পারে না। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যাঁরা মানবতায় বিশ্বাসী সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’

আরও পড়ুন:Pahalgam Terror attack: পাকিস্তানে বন্দি পুনমকে ফেরাতে পঠানকোট যাচ্ছেন তাঁর স্ত্রী রজনী সাউ

ভারতে অবস্থিত ইরানের দূতাবাসের তরফেও এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে দুই রাষ্ট্রনেতার ফোনে কথোপকথনের কথা জানানো হয়েছে। পোস্টে গান্ধী-নেহরুর মতো কিংবদন্তি ভারতীয় নেতাদের নাম উল্লেখ করে ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ইরান এমন শান্তি, বন্ধুত্ব এবং সহাবস্থানের দূতদের অত্যন্ত সম্মানের চোখে দেখে। বিশ্বের সব দেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই চেতনাই বজায় থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।

ইরানের বিদেশমন্ত্রী সইদ আব্বাস আরাঘচিও এক্স হ্যান্ডলে পহেলগাঁও হামলা নিয়ে পোস্ট করেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, ‘ভারত ও পাকিস্তান ইরানের দুই ভ্রাতৃপ্রতিম প্রতিবেশী। তাদের সঙ্গে বহু শতাব্দী প্রাচীন সাংস্কৃতিক ও সভ্যতার বন্ধন আমাদের। অন্য প্রতিবেশীদের মতোই তাদেরও আমরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিই।

পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার জেরে ভারত-পাক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তলানিতে। হামলার পরদিনই নয়াদিল্লি ঘোষণা করেছে, পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু চুক্তি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত। সেই সঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে্ আটারি সীমান্ত। পাকিস্তানিদের প্রবেশও নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ভারত। সমস্ত সার্ক ভিসা বাতিল করে দেওয়া হয়। পাকিস্তানও পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছে। সমস্ত দ্বিপাক্ষিক চুক্তি বাতিল করেছে ইসলামাবাদ।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

Pahalgam Terror attack: প্রধানমন্ত্রীকে ফোন ইরানের প্রেসিডেন্টের, বললেন ‘শান্তির দূত’ গান্ধি-নেহেরুর কথা

আপডেট : ২৭ এপ্রিল ২০২৫, রবিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: পহেলগাঁও (Pahalgam Terror attack)  ঘটনার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে বহুগুণ। এই পরিস্থিতিতে শনিবার ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান ফোন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে আক্রান্তদের পরিবারের প্রতি সহমর্মিতাও জানিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট।

বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফোন করেছিলেন। ফোন করে জম্মু ও কাশ্মীরে হওয়া জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন। সমবেদনা জানিয়েছেন আক্রান্তদের পরিবারকে। দুই রাষ্ট্রনেতাই একমত হয়েছেন যে এমন হামলার কোনও যুক্তি হতেই পারে না। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যাঁরা মানবতায় বিশ্বাসী সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’

আরও পড়ুন:Pahalgam Terror attack: পাকিস্তানে বন্দি পুনমকে ফেরাতে পঠানকোট যাচ্ছেন তাঁর স্ত্রী রজনী সাউ

ভারতে অবস্থিত ইরানের দূতাবাসের তরফেও এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে দুই রাষ্ট্রনেতার ফোনে কথোপকথনের কথা জানানো হয়েছে। পোস্টে গান্ধী-নেহরুর মতো কিংবদন্তি ভারতীয় নেতাদের নাম উল্লেখ করে ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ইরান এমন শান্তি, বন্ধুত্ব এবং সহাবস্থানের দূতদের অত্যন্ত সম্মানের চোখে দেখে। বিশ্বের সব দেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই চেতনাই বজায় থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।

ইরানের বিদেশমন্ত্রী সইদ আব্বাস আরাঘচিও এক্স হ্যান্ডলে পহেলগাঁও হামলা নিয়ে পোস্ট করেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, ‘ভারত ও পাকিস্তান ইরানের দুই ভ্রাতৃপ্রতিম প্রতিবেশী। তাদের সঙ্গে বহু শতাব্দী প্রাচীন সাংস্কৃতিক ও সভ্যতার বন্ধন আমাদের। অন্য প্রতিবেশীদের মতোই তাদেরও আমরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিই।

পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার জেরে ভারত-পাক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তলানিতে। হামলার পরদিনই নয়াদিল্লি ঘোষণা করেছে, পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু চুক্তি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত। সেই সঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে্ আটারি সীমান্ত। পাকিস্তানিদের প্রবেশও নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ভারত। সমস্ত সার্ক ভিসা বাতিল করে দেওয়া হয়। পাকিস্তানও পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছে। সমস্ত দ্বিপাক্ষিক চুক্তি বাতিল করেছে ইসলামাবাদ।