২৪ এপ্রিল ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
‘পর্যটকদের জন্যই তো আমাদের ঘরে আলো জ্বলে!’

Pahalgam Terror Attack: নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পর্যটকদের প্রাণ বাঁচান সাজ্জাদ ভাট

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৪ এপ্রিল ২০২৫, বৃহস্পতিবার
  • / 42

Pahalgam Terror Attack: পর্যটকদের না মেরে যদি ওরা আমাদের হত্যা করত, সেটা আরও ভালো হত

 

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার (Pahalgam Terror Attack) পর কড়া নজরদারি চলছে উপত্যকাজুড়ে। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা, একটি সূচও প্রবেশ করতে পারবে না এখন। যদিও হামলার পর আতঙ্কবাদীরা কোথায় গেল, তা এখনও জানা যায়নি। তবে এই হামলার পরেও কাশ্মীরিরা সৌজন্যবোধ ও আতিথেয়তায় নজির গড়েছেন।

 

আটকে পড়া পর্যটকদের তারা বিনামূল্যে খাবারদাবার, আশ্রয় দিচ্ছেন। বহু কাশ্মীরি বেছে বেছে হিন্দু পর্যটক হত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে পথে নেমেছেন। পর্যটকদের বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ দিয়েছেন টাট্টুর সহিস আদিল হোসেন। আরেক কাশ্মীরি বহু আহত ব্যক্তিকে কাঁধে, পিঠে করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে গিয়ে বাঁচিয়েছেন। নাম তার সাজ্জাদ আহমেদ ভাট। পহেলগাঁও বাসিন্দা (Pahalgam Terror Attack) । অন্ধকারের মধ্যে এই কাশ্মীরিরাই বাঁচিয়ে রেখেছেন মানবতার আলো।

 

Pahalgam Terror Attack: ‘বাবা… তুমি ওঠো…’ ছেলের কান্নায় ভেঙে পড়ল ঝালদা

আহমেদ ভাট বৃহস্পতিবার জানান, এই ঘটনা (Pahalgam Terror Attack)  সমগ্র মানবতার হত্যা। কাশ্মীরিদেরও খুন করা হয়েছে এর সঙ্গে সঙ্গে। আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য চলে পর্যটনের উপর নির্ভর করে। সেসব এবার নষ্ট হয়ে যাবে। পর্যটকদের না মেরে যদি ওরা আমাদের কাশ্মীরিদের হত্যা করত, সেটা আরও ভালো হত। আমরা কাশ্মীরিরা সবাই শোকাহত। সব দোকানপাট বন্ধ। সব জায়গায় যেন বিষাদ ছড়িয়ে পড়েছে।

পৃথিবীর এক খণ্ড স্বর্গ এখন বিষাদে ভরা। কিন্তু ঘটনার দিন কিছুক্ষণ আগেও এমনটা ছিল না। সহিস সাজ্জাদ ভাট পর্যটকদের উপরে তুলে দিয়ে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। সেই সময় তাদের কাছে পাহালগাম পনি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবদুল ওয়াহিদের মেসেজ আসে বাইসরণ উপত্যকার ঘটনার ব্যাপারে।

Pahalgam Terror Attack: সেনা কমছে জঙ্গি হামলা বাড়ছে! অবসরপ্রাপ্ত সেনা জেনারেল বকশি

সবাই সাহায্য করতে ছুটে যান। আহতদের পানি দেন। যারা হাঁটতে পারছিল না তাদের পিঠে তুলে নেন সাজ্জাদ আহমেদ। সেখানে তিনি কারও ধর্ম দেখেননি। একের পর এক আহত ব্যক্তিকে রেখে আসেন নিচের নিরাপদ স্থানে। এই সময় তাদের উপরে ঘটতে পারত প্রাণঘাতী হামলা। কিন্তু নিজের জীবনের তোয়াক্কা করেননি কাশ্মীরিরা। সাজ্জাদের ভাষায়, টুরিস্টরা যন্ত্রণায়, ভয়ে কাঁদছিল। ওদের কান্না দেখা আমার চোখে অশ্রু চলে আসে। পর্যটকদের জন্যই তো আমাদের ঘরে আলো জ্বলে!

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

‘পর্যটকদের জন্যই তো আমাদের ঘরে আলো জ্বলে!’

Pahalgam Terror Attack: নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পর্যটকদের প্রাণ বাঁচান সাজ্জাদ ভাট

আপডেট : ২৪ এপ্রিল ২০২৫, বৃহস্পতিবার

Pahalgam Terror Attack: পর্যটকদের না মেরে যদি ওরা আমাদের হত্যা করত, সেটা আরও ভালো হত

 

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার (Pahalgam Terror Attack) পর কড়া নজরদারি চলছে উপত্যকাজুড়ে। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা, একটি সূচও প্রবেশ করতে পারবে না এখন। যদিও হামলার পর আতঙ্কবাদীরা কোথায় গেল, তা এখনও জানা যায়নি। তবে এই হামলার পরেও কাশ্মীরিরা সৌজন্যবোধ ও আতিথেয়তায় নজির গড়েছেন।

 

আটকে পড়া পর্যটকদের তারা বিনামূল্যে খাবারদাবার, আশ্রয় দিচ্ছেন। বহু কাশ্মীরি বেছে বেছে হিন্দু পর্যটক হত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে পথে নেমেছেন। পর্যটকদের বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ দিয়েছেন টাট্টুর সহিস আদিল হোসেন। আরেক কাশ্মীরি বহু আহত ব্যক্তিকে কাঁধে, পিঠে করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে গিয়ে বাঁচিয়েছেন। নাম তার সাজ্জাদ আহমেদ ভাট। পহেলগাঁও বাসিন্দা (Pahalgam Terror Attack) । অন্ধকারের মধ্যে এই কাশ্মীরিরাই বাঁচিয়ে রেখেছেন মানবতার আলো।

 

Pahalgam Terror Attack: ‘বাবা… তুমি ওঠো…’ ছেলের কান্নায় ভেঙে পড়ল ঝালদা

আহমেদ ভাট বৃহস্পতিবার জানান, এই ঘটনা (Pahalgam Terror Attack)  সমগ্র মানবতার হত্যা। কাশ্মীরিদেরও খুন করা হয়েছে এর সঙ্গে সঙ্গে। আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য চলে পর্যটনের উপর নির্ভর করে। সেসব এবার নষ্ট হয়ে যাবে। পর্যটকদের না মেরে যদি ওরা আমাদের কাশ্মীরিদের হত্যা করত, সেটা আরও ভালো হত। আমরা কাশ্মীরিরা সবাই শোকাহত। সব দোকানপাট বন্ধ। সব জায়গায় যেন বিষাদ ছড়িয়ে পড়েছে।

পৃথিবীর এক খণ্ড স্বর্গ এখন বিষাদে ভরা। কিন্তু ঘটনার দিন কিছুক্ষণ আগেও এমনটা ছিল না। সহিস সাজ্জাদ ভাট পর্যটকদের উপরে তুলে দিয়ে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। সেই সময় তাদের কাছে পাহালগাম পনি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবদুল ওয়াহিদের মেসেজ আসে বাইসরণ উপত্যকার ঘটনার ব্যাপারে।

Pahalgam Terror Attack: সেনা কমছে জঙ্গি হামলা বাড়ছে! অবসরপ্রাপ্ত সেনা জেনারেল বকশি

সবাই সাহায্য করতে ছুটে যান। আহতদের পানি দেন। যারা হাঁটতে পারছিল না তাদের পিঠে তুলে নেন সাজ্জাদ আহমেদ। সেখানে তিনি কারও ধর্ম দেখেননি। একের পর এক আহত ব্যক্তিকে রেখে আসেন নিচের নিরাপদ স্থানে। এই সময় তাদের উপরে ঘটতে পারত প্রাণঘাতী হামলা। কিন্তু নিজের জীবনের তোয়াক্কা করেননি কাশ্মীরিরা। সাজ্জাদের ভাষায়, টুরিস্টরা যন্ত্রণায়, ভয়ে কাঁদছিল। ওদের কান্না দেখা আমার চোখে অশ্রু চলে আসে। পর্যটকদের জন্যই তো আমাদের ঘরে আলো জ্বলে!