২৭ এপ্রিল ২০২৫, রবিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

Pahalgam terror attack: কাশ্মীরের দুই বোন বাঁচিয়েছিলেন পর্যটকদের

চামেলি দাস
  • আপডেট : ২৭ এপ্রিল ২০২৫, রবিবার
  • / 29

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: কাশ্মীরের দুই কন্যা। তাঁরা দুই বোন। একজনের নাম রুবিনা, অন্যজনের নাম মুমতাজ। বৈসরন উপত্যকার ধারেই থাকেন তাঁরা। পর্যটকদের ‘গাইড’ হিসাবে কাজ করেন। হাতের তালুর মতো চেনেন বৈসরন উপত্যকা। রুবিনা এবং তাঁর দিদি মুমতাজ পর্যটকদের বৈসরন ইকো পার্ক নিয়ে যাওয়া, ঘুরিয়ে দেখা সব কাজ করেন। স্থানীয়দের কাছে রুবিনা ‘কাশ্মীরের খরগোশ কন্যা’ নামে পরিচিত। পর্যটকরা বৈসরনে এলে তাঁদের হাতে পোষ্য খরগোশ তুলে দেন রুবিনা। সামান্য টাকার বিনিময়ে ওই পোষ্যের সঙ্গে পর্যটকদের ছবিও তুলে দেন তিনি।

আরও পড়ুন:Pahalgam Terror attack: প্রধানমন্ত্রীকে ফোন ইরানের প্রেসিডেন্টের, বললেন ‘শান্তির দূত’ গান্ধি-নেহেরুর কথা

২২ এপ্রিল মঙ্গলবার। আর পাঁচটা দিনের মতোই শুরু হয়েছিল। দুপুর হতে না হতেই বদলে যায় দিনটা। ভূস্বর্গ হয়ে ওঠে রক্তাক্ত। পর্যটকদের উদ্ধার করতে ঝাঁপিয়ে পড়েন এই দুই বোন রুবিনা আর মুমতাজ। জঙ্গি হামলার বিন্দুমাত্র পরোয়া করেননি তাঁরা। চেন্নাইয়ের বেশ কয়েক জন পর্যটকের গাইড হিসাবে গিয়েছিলেন রুবিনা, মুমতাজ। দুপুরের জঙ্গি হামলার সময় নিজেদের জীবনের পরোয়া না করে তাঁদের সঙ্গে যাওয়া পর্যটক এবং আরও বেশ কিছু পর্যটককে রাস্তা দেখিয়ে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দেন। তাঁদের দু’জনের জন্যই প্রাণে বাঁচে যান বেশ কয়েকজন পর্যটক। এরপর আরও এক দলকে পথ দেখিয়ে নিয়ে আসেন তাঁরা। এ ভাবে বেশ কয়েকবার ছুটে ছুটে গিয়ে পর্যটকদের ভাগে ভাগে নিয়ে আসেন দুই বোন। এমনকী, এই পরিস্থিতিতে কী করতে হবে পর্যটকদের সব কিছু বুঝিয়েও দিয়েছিলেন তাঁরা। কাশ্মীরের দুই কন্যার জন্য বেঁচে যায় বহু প্রাণ।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

Pahalgam terror attack: কাশ্মীরের দুই বোন বাঁচিয়েছিলেন পর্যটকদের

আপডেট : ২৭ এপ্রিল ২০২৫, রবিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: কাশ্মীরের দুই কন্যা। তাঁরা দুই বোন। একজনের নাম রুবিনা, অন্যজনের নাম মুমতাজ। বৈসরন উপত্যকার ধারেই থাকেন তাঁরা। পর্যটকদের ‘গাইড’ হিসাবে কাজ করেন। হাতের তালুর মতো চেনেন বৈসরন উপত্যকা। রুবিনা এবং তাঁর দিদি মুমতাজ পর্যটকদের বৈসরন ইকো পার্ক নিয়ে যাওয়া, ঘুরিয়ে দেখা সব কাজ করেন। স্থানীয়দের কাছে রুবিনা ‘কাশ্মীরের খরগোশ কন্যা’ নামে পরিচিত। পর্যটকরা বৈসরনে এলে তাঁদের হাতে পোষ্য খরগোশ তুলে দেন রুবিনা। সামান্য টাকার বিনিময়ে ওই পোষ্যের সঙ্গে পর্যটকদের ছবিও তুলে দেন তিনি।

আরও পড়ুন:Pahalgam Terror attack: প্রধানমন্ত্রীকে ফোন ইরানের প্রেসিডেন্টের, বললেন ‘শান্তির দূত’ গান্ধি-নেহেরুর কথা

২২ এপ্রিল মঙ্গলবার। আর পাঁচটা দিনের মতোই শুরু হয়েছিল। দুপুর হতে না হতেই বদলে যায় দিনটা। ভূস্বর্গ হয়ে ওঠে রক্তাক্ত। পর্যটকদের উদ্ধার করতে ঝাঁপিয়ে পড়েন এই দুই বোন রুবিনা আর মুমতাজ। জঙ্গি হামলার বিন্দুমাত্র পরোয়া করেননি তাঁরা। চেন্নাইয়ের বেশ কয়েক জন পর্যটকের গাইড হিসাবে গিয়েছিলেন রুবিনা, মুমতাজ। দুপুরের জঙ্গি হামলার সময় নিজেদের জীবনের পরোয়া না করে তাঁদের সঙ্গে যাওয়া পর্যটক এবং আরও বেশ কিছু পর্যটককে রাস্তা দেখিয়ে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দেন। তাঁদের দু’জনের জন্যই প্রাণে বাঁচে যান বেশ কয়েকজন পর্যটক। এরপর আরও এক দলকে পথ দেখিয়ে নিয়ে আসেন তাঁরা। এ ভাবে বেশ কয়েকবার ছুটে ছুটে গিয়ে পর্যটকদের ভাগে ভাগে নিয়ে আসেন দুই বোন। এমনকী, এই পরিস্থিতিতে কী করতে হবে পর্যটকদের সব কিছু বুঝিয়েও দিয়েছিলেন তাঁরা। কাশ্মীরের দুই কন্যার জন্য বেঁচে যায় বহু প্রাণ।