আজ পঞ্চায়েত নির্বাচন, নির্বিঘ্নে ভোট করাতে লেহ্ থেকে বাহিনী আনল কমিশন

- আপডেট : ৮ জুলাই ২০২৩, শনিবার
- / 9
পুবের কলম প্রতিবেদক: আজ পঞ্চায়েত নির্বাচন। রাজ্য জুড়ে মোট বুথের সংখ্যা ৬১ হাজার ৬৩৬টি। এর মধ্যে স্পর্শকাতর বুথ রয়েছে ৪ হাজার ৮৩৪টি। অর্থাৎ, মোট বুথের ৭.৮৪ শতাংশ স্পর্শকাতর বুথ। অতীতে এই সমস্ত বুথগুলিকে কেন্দ্র করে হিংসার ঘটনা ঘটেছিল। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে, সে কথা মাথায় রেখেই আজ নির্বিঘ্নে ভোট করতে তৎপর রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তার জন্য লেহ্ থেকে এয়ারলিফট করে বাহিনী নিয়ে এসেছে কমিশন। যা রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ক্ষেত্রে নজিরবিহীন ঘটনা। তবে মূলত স্পর্শকাতর বুথগুলিতে মোতায়েন থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এবিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে চিঠি পাঠিয়ে অবগত করেছিল বিএসএফ। তারপরেই কমিশনকে বাহিনী মোতায়েন নিয়ে নয়া পরিকল্পনা জানানো হয় বিএসএফ-এর তরফ থেকে।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল, পঞ্চায়েত নির্বাচনে বুথে রাজ্য পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী সমান অনুপাতে দিতে হবে। অর্থাৎ একটি বুথে একজন রাজ্য পুলিশ থাকলেও একজন কেন্দ্রীয় বাহিনীর রক্ষীকেও রাখতে হবে। পুরো বিষয়টি কীভাবে করা হবে হাইকোর্ট তা দেখার দায়িত্ব দিয়েছে বিএসএফ আইজি-কে। সেই নির্দেশ মত বাহিনী মোতায়েন প্ল্যান করে দিয়েছে বিএসএফ। কিন্তু সেখানে দেখা যাচ্ছে, সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে না। মূলত স্পর্শকাতর বুথ গুলিতেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। যে প্রেমিসেসে একটি ও সর্বাধিক দুটো বুথ আছে, সেখানে হাফ সেকশন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে। যেখানে ৩ থেকে ৪ টি বুথ রয়েছে, সেখানে ১ সেকশন কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে। যেখানে ৫ থেকে ৬টি বুথ রয়েছে, সেখানে ১.৫ সেকশন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। ৭ ও তার থেকে বেশি বুথ রয়েছে এমন প্রেমিসেসে থাকবে ২ সেকশন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এছাড়া প্রতি স্ট্রং রুমের জন্য ১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে।
ভোটে রাজ্য পুলিশ কীভাবে কাজ করবে, সেই মর্মেও গাইডলাইন প্রকাশ হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, প্রত্যেক বুথে ১ জন করে সশস্ত্র কনস্টেবল থাকছে। প্রত্যেক সেক্টরে থাকছে ১ জন অফিসার। প্রত্যেক আরটি মোবাইলে থাকছে ১ জন ইন্সপেক্টর এবং ১ জন সশস্ত্র কনস্টেবল। প্রত্যেক এইচআরএফএস-এ ১ জন করে ইন্সপেক্টর, ২ জন সশস্ত্র কনস্টেবল, ১ জন কনস্টেবল গ্যাস গান ও ১ জন লাঠি ধারী কনস্টেবল থাকছে। প্রত্যেক ডিসিআরসি-তে থাকছে ১ জন অফিসার, ২ জন সশস্ত্র কনস্টেবল, ২ লাঠিধারী কনস্টেবল। স্ট্রংরুমে থাকছে ২ জন অফিসার ও ৮ জন সশস্ত্র কনস্টেবল।
কমিশনের নির্দেশ সব বুথেই সিসিটিভি নজরদারি থাকবে। সম্ভব না হলে ভোট প্রক্রিয়ার ভিডিওগ্রাফি করা হবে। সব বুথ চত্বরে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। কমিশনের তরফে নোডাল অফিসার হিসাবে অতিরিক্ত সচিব এবং এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) বাহিনী মোতায়েন ও পরিচালনার বিষয়টি দেখভাল করবেন। ভোট প্রক্রিয়ার ওপর নজরদারির জন্য ২২ জেলায় ২১ আইএএস আধিকারিককে বিশেষ পর্যবেক্ষক হিসাবে নিয়োগ করা হবে। এছাড়াও ২৩৮ জন ডব্লুবিসিএস আধিকারিককে সাধারণ পর্যবেক্ষক হিসাবে ব্লকস্তরে নজরদারির দায়িত্ব দিয়েছে কমিশন। সাধারণ মানুষের ভোট সংক্রান্ত ভাব অভিযোগ নিষ্পত্তিতে সোমবার থেকেই ব্লক, মহকুমা ও জেলায় কমিশনের কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। রাজ্যের কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল রুমের নম্বর ১৮০০৩৪৫৫৫৫৫৩।
মোট ৬১৬৩৬ বুথ
৪৮৩৪ স্পর্শকাতর
আলিপুরদুয়ার- ১২১২ বুথের মধ্যে ২৫ টি বুথ স্পর্শকাতর।
বাঁকুড়া- ৩১০০ বুথের মধ্যে ১১৬ টি বুথ স্পর্শকাতর
বীরভূম- ২৭৬৮ টি বুথের মধ্যে২২৮ টি বুথ স্পর্শকাতর
কোচবিহার- ২৩৮৫ টি বুথেরে মধ্যে স্পর্শকাতর বুথ ৩১৭
দক্ষিণ দিনাজপুর- ১২২৩ বুথ স্পর্শকাতর ৮৪
দার্জিলিং- ৫১৪ বুথ স্পর্শকাতর ২৭ টি বুথ
হুগলি- ৩৮৫১ টি বুথ স্পর্শকাতর ২০৯
হাওড়া- ৩০৩১ এর মধ্যে ৩৫৩ টি বুথ স্পর্শকাতর
জলপাইগুড়ি- ১৬৬০ এর মধ্যে ৭৪
ঝাড়গ্রাম- ১০৪৫ এর মধ্যে ৪৫ টি বুথ স্পর্শকাতর
কালিম্পং ২৬৩ টি r মধ্যে ৮
মালদা- ৩০৩৫ এর মধ্যে ২৭০
মুর্শিদাবাদ- ৫৪৩৮ এর মধ্যে ৫৪১ টি বুথ স্পর্শকাতর
নদিয়া- ৩৮৯৬ এর মধ্যে ৩৭৩
উত্তর ২৪ পরগনা- ৪৫৩২ এর মধ্যে ২৫৮ টি বুথ স্পর্শকাতর
পশ্চিম বর্ধমান- ৯৯৮ এর মধ্যে ৪০
পশ্চিম মেদিনীপুর- ৩৮৬৭ র মধ্যে ৩০৫
পূর্ব বর্ধমান- ৩৯৩৩ এর মধ্যে ৩৪২ টি বুথ স্পর্শকাতর
পূর্ব মেদিনীপুর- ৪১২৮এর মধ্যে ৩৫৬
পুরুলিয়া- ২৪০৫ বুথের মধ্যে ২৫৩
দক্ষিণ ২৪ পরগনা- ৬২২৬ এর মধ্যে ৫০২
উত্তর দিনাজপুর- ২১২৬ এর মধ্যে ১০৮