১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিধানসভায় পার্থর ঘর আপাতত বন্ধ

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২ অগাস্ট ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 4

ফাইল চিত্র

পুবের কলম প্রতিবেদক:  বন্ধ করে দেওয়া হল বিধানসভায় পরিষদীয় মন্ত্রী হিসেবে পার্থর ঘর। বিধানসভার তরফে জানানো হয়েছে, ঘরটি আপাতত বন্ধই থাকবে, এখনই ওই ঘর অন্য কাউকে দেওয়া হচ্ছে না।

প্রসঙ্গত, ২৬ জুলাই ইডি হেফাজতে থাকাকালীনই পরিষদীয় মন্ত্রী হিসাবে বিধানসভা থেকে তাঁকে যে গাড়ি দেওয়া হয়েছিল, তা ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছিলেন পার্থ। ২০১১-র ২০ মে শপথগ্রহণের পর থেকে নিরবচ্ছিন্ন ভাবে পরিষদীয় দফতরের দায়িত্ব পার্থেরই কাঁধে। দস্তুর অনুযায়ী, পরিষদীয় মন্ত্রীর গাড়ির ব্যবস্থা হয় বিধানসভা থেকে। সেই মতো, পার্থ ঘুরতেন যে গাড়িতে তা দিয়েছিল বিধানসভা। সূত্রের খবর, ২৫ জুলাই, সোমবার বিকেলেই পার্থের দফতর থেকে বিধানসভাকে জানানো হয়, মন্ত্রী গাড়ি ফেরত দিতে বলেছেন। মঙ্গলবার বিকেলে সেই গাড়িই ফিরল বিধানসভার গ্যারাজে। গাড়ির চাবি তুলে দেওয়া হয় বিধানসভা কর্তৃপক্ষের হাতে। চালক গাড়িটি বিধানসভা চত্বরে রেখে গিয়েছেন।

২৮ জুলাই মন্ত্রিত্ব থেকে সরানো হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। তাঁর অধীনে ছিল শিল্প, তথ্য প্রযুক্তি, পরিষদীয় দফতর। এই তিন দফতর থেকেই অপসারণ করা হয়েছে ইডি হেফাজতে থাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন যে পার্থবাবুর কাছে যে দফতরগুলি ছিল, তার দায়িত্বে আপাতত থাকছেন তিনিই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, পার্থদার কাছে যে যে দফতরগুলি ছিল, সেগুলি আপাতত আমার কাছে আসছে। হয়তো কিছুই করব না, কিন্তু যেহেতু যতক্ষণ নতুন করে মন্ত্রিসভা গঠন না করছি,  তাই পার্থদাকে রেহাই দিয়েছি। এই দফতরগুলো আমার কাছে এসেছে।’’ এর পরই নবান্নে যে ঘরে বসতেন পার্থবাবু সেখান থেকে তাঁর নেম প্লেট খুলে ফেলা হয়।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বিধানসভায় পার্থর ঘর আপাতত বন্ধ

আপডেট : ২ অগাস্ট ২০২২, মঙ্গলবার

পুবের কলম প্রতিবেদক:  বন্ধ করে দেওয়া হল বিধানসভায় পরিষদীয় মন্ত্রী হিসেবে পার্থর ঘর। বিধানসভার তরফে জানানো হয়েছে, ঘরটি আপাতত বন্ধই থাকবে, এখনই ওই ঘর অন্য কাউকে দেওয়া হচ্ছে না।

প্রসঙ্গত, ২৬ জুলাই ইডি হেফাজতে থাকাকালীনই পরিষদীয় মন্ত্রী হিসাবে বিধানসভা থেকে তাঁকে যে গাড়ি দেওয়া হয়েছিল, তা ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছিলেন পার্থ। ২০১১-র ২০ মে শপথগ্রহণের পর থেকে নিরবচ্ছিন্ন ভাবে পরিষদীয় দফতরের দায়িত্ব পার্থেরই কাঁধে। দস্তুর অনুযায়ী, পরিষদীয় মন্ত্রীর গাড়ির ব্যবস্থা হয় বিধানসভা থেকে। সেই মতো, পার্থ ঘুরতেন যে গাড়িতে তা দিয়েছিল বিধানসভা। সূত্রের খবর, ২৫ জুলাই, সোমবার বিকেলেই পার্থের দফতর থেকে বিধানসভাকে জানানো হয়, মন্ত্রী গাড়ি ফেরত দিতে বলেছেন। মঙ্গলবার বিকেলে সেই গাড়িই ফিরল বিধানসভার গ্যারাজে। গাড়ির চাবি তুলে দেওয়া হয় বিধানসভা কর্তৃপক্ষের হাতে। চালক গাড়িটি বিধানসভা চত্বরে রেখে গিয়েছেন।

২৮ জুলাই মন্ত্রিত্ব থেকে সরানো হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। তাঁর অধীনে ছিল শিল্প, তথ্য প্রযুক্তি, পরিষদীয় দফতর। এই তিন দফতর থেকেই অপসারণ করা হয়েছে ইডি হেফাজতে থাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন যে পার্থবাবুর কাছে যে দফতরগুলি ছিল, তার দায়িত্বে আপাতত থাকছেন তিনিই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, পার্থদার কাছে যে যে দফতরগুলি ছিল, সেগুলি আপাতত আমার কাছে আসছে। হয়তো কিছুই করব না, কিন্তু যেহেতু যতক্ষণ নতুন করে মন্ত্রিসভা গঠন না করছি,  তাই পার্থদাকে রেহাই দিয়েছি। এই দফতরগুলো আমার কাছে এসেছে।’’ এর পরই নবান্নে যে ঘরে বসতেন পার্থবাবু সেখান থেকে তাঁর নেম প্লেট খুলে ফেলা হয়।