১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লোকাল ট্রেনে মহিলা কামরা বৃদ্ধির প্রতিবাদে ট্রেন অবরোধ যাত্রীদের

চামেলি দাস
  • আপডেট : ১৬ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার
  • / 55

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায় : চারদিন টানা ছুটির পরে বুধবার সপ্তাহের প্রথম কাজের দিন সকালে ট্রেন অবরোধ চললো শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার লক্ষ্মীকান্তপুর নামখানা লাইনে।তিন ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ ওঠে। তার পরে ধীরে ধীরে হয় স্বাভাবিক পরিষেবা।সম্প্রতি শিয়ালদহ ডিভিশনের লোকাল ট্রেনে মহিলা কামরার সংখ্যা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে পূর্ব রেল। আগে একটি ট্রেনের দুই প্রান্তে একটি করে মহিলা কামরা ছিল।আর এখন তা আর দুটি কামরা মহিলাদের জন্য বাড়িয়েছে রেল।শিয়ালদহ ডিভিশনে ট্রেনে কেন বাড়তি মহিলা কামরা দেওয়া হল সেই প্রশ্ন তুলেই বুধবার সকালে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার দক্ষিণ বারাসতে রেল অবরোধ শুরু করেন নিত্যযাত্রীদের একাংশ।আর তাঁর পরে মথুরাপুর রোড, জয়নগর মজিলপুর, ধপধপি-সহ একাধিক স্টেশন ট্রেন অবরোধে সামিল হয় নিত্য যাত্রীরা।

লোকাল ট্রেনে মহিলা কামরা বৃদ্ধির প্রতিবাদে ট্রেন অবরোধ যাত্রীদের

আর তাঁর জেরে লক্ষ্মীকান্তপুর, নামখানা লাইনে ব্যাহত হয়ে যায় রেল পরিষেবা। স্টেশনে স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়ে ট্রেন।ফলে সমস্যায় পড়েন অনেকেই। প্রায় তিন ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর বেলা ১১টা নাগাদ ধীরে ধীরে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।জানা যায়, বুধবার সকাল পৌনে ৮টা নাগাদ প্রথম দক্ষিণ বারাসাত স্টেশনে অবরোধ শুরু হয়। বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন চলাচল। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় আরপি  এফ, জয়নগর থানার পুলিশ ও জি আর  পি ।এদিন প্ল্যাটফর্মে বসে পড়েন নিত্য যাত্রীরা। ব্যানার প্ল্যাকার্ড নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, কোন যুক্তিতে ১২ বগির মধ্যে এতগুলি কামরা মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত করে রাখছেন রেল কর্তৃপক্ষ।নারী নিরাপত্তার প্রয়োজন অবশ্যই রয়েছে, কিন্তু তার জন্য সাধারণ যাত্রীদের উপরে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হবে কেন।এমনিতেই শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার দীর্ঘতম রেলপথ এই নামখানা লোকাল। মাঝ পথ থেকে এমনিতেই ভিড়ের চাপে দিনের বেশির ভাগ সময়ে যাত্রীরা উঠতে পারে না।তাই ১২ বগির ট্রেন বাড়ানোর যেখানে প্রয়োজন সেখানে জেনারেল কামরাই কমিয়ে দিল রেল কর্তৃপক্ষ।

লোকাল ট্রেনে মহিলা কামরা বৃদ্ধির প্রতিবাদে ট্রেন অবরোধ যাত্রীদের

সম্প্রতি, শিয়ালদহ ডিভিশনের লোকাল ট্রেনে মহিলা কামরার সংখ্যা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে পূর্ব রেল। আগে একটি ট্রেনের দুই প্রান্তে একটি করে মহিলা কামরা ছিল। তবে সেই সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। দুই প্রান্তের ভেন্ডারের সঙ্গে থাকা জেনারেল কামরাকে মহিলা কামরা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল। কিন্তু তা নিয়ে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে নিত্যযাত্রীদের একাংশের মধ্যে।এদিনের অবরোধকারীদের দাবি ছিল, লোকালে মহিলা কামরা বৃদ্ধির ফলে সাধারণ যাত্রীরা সমস্যায় পড়ছেন। বিশেষত, পুরুষযাত্রীরা। ব্যস্ত সময়ে এমনিতেই ট্রেনে ভিড় থাকে। সব কামরাই ভিড়ে ঠাসা। কিন্তু মহিলা কামরা বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ কামরার ভিড় আরও বেড়েছে। সমস্যা বাড়ছে।আর সেই প্রতিবাদেই রেল অবরোধ।

লোকাল ট্রেনে মহিলা কামরা বৃদ্ধির প্রতিবাদে ট্রেন অবরোধ যাত্রীদের

রেলের ঘোষণার পর থেকেই শিয়ালদহ ডিভিশনের বিভিন্ন দিকে অসন্তোষ দেখা যাচ্ছে নিত্যযাত্রীদের মধ্যে। তবে কেন মহিলা কামরা বৃদ্ধি করা হয়েছে, তাঁর ব্যাখা দিয়ে রেলের তরফে বলা হয়, প্রতিদিন ১৫ থেকে ১৮ লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করেন। তাঁদের মধ্যে মহিলাদের সংখ্যা নেহাত কম নয়। প্রতি দিন মোট যাত্রীর প্রায় ২৫ শতাংশ মহিলা। তাঁদের ট্রেনযাত্রা কিছুটা সুখকর করতেই মহিলাদের কামরার সংখ্যা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রেল জানিয়েছে, ট্রেন এবং স্টেশন চত্বরে যৌন হেনস্থার ঝুঁকি কমাতে শিয়ালদহ বিভাগ সর্বদা তৎপর। অনেক মহিলা যাত্রীই সাধারণ কোচে অপেক্ষাকৃত কম ভিড় থাকা সত্ত্বেও মহিলা কোচ বেছে নেন, বিশেষত রাতে আরপিএফের উপস্থিতির কারণে। সেই কথা মাথায় রেখেই মহিলা কামরা বৃদ্ধির কথা ভাবা হয়েছে।তবে এদিন পুলিশ অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেন অবরোধকারীরা।এদিন এই ইস্যুতে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করেন রেলের নিত্য যাত্রীরা এবং তা রেল দফতরে জমা করা হবে বলে খবর।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

লোকাল ট্রেনে মহিলা কামরা বৃদ্ধির প্রতিবাদে ট্রেন অবরোধ যাত্রীদের

আপডেট : ১৬ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায় : চারদিন টানা ছুটির পরে বুধবার সপ্তাহের প্রথম কাজের দিন সকালে ট্রেন অবরোধ চললো শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার লক্ষ্মীকান্তপুর নামখানা লাইনে।তিন ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ ওঠে। তার পরে ধীরে ধীরে হয় স্বাভাবিক পরিষেবা।সম্প্রতি শিয়ালদহ ডিভিশনের লোকাল ট্রেনে মহিলা কামরার সংখ্যা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে পূর্ব রেল। আগে একটি ট্রেনের দুই প্রান্তে একটি করে মহিলা কামরা ছিল।আর এখন তা আর দুটি কামরা মহিলাদের জন্য বাড়িয়েছে রেল।শিয়ালদহ ডিভিশনে ট্রেনে কেন বাড়তি মহিলা কামরা দেওয়া হল সেই প্রশ্ন তুলেই বুধবার সকালে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার দক্ষিণ বারাসতে রেল অবরোধ শুরু করেন নিত্যযাত্রীদের একাংশ।আর তাঁর পরে মথুরাপুর রোড, জয়নগর মজিলপুর, ধপধপি-সহ একাধিক স্টেশন ট্রেন অবরোধে সামিল হয় নিত্য যাত্রীরা।

লোকাল ট্রেনে মহিলা কামরা বৃদ্ধির প্রতিবাদে ট্রেন অবরোধ যাত্রীদের

আর তাঁর জেরে লক্ষ্মীকান্তপুর, নামখানা লাইনে ব্যাহত হয়ে যায় রেল পরিষেবা। স্টেশনে স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়ে ট্রেন।ফলে সমস্যায় পড়েন অনেকেই। প্রায় তিন ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর বেলা ১১টা নাগাদ ধীরে ধীরে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।জানা যায়, বুধবার সকাল পৌনে ৮টা নাগাদ প্রথম দক্ষিণ বারাসাত স্টেশনে অবরোধ শুরু হয়। বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন চলাচল। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় আরপি  এফ, জয়নগর থানার পুলিশ ও জি আর  পি ।এদিন প্ল্যাটফর্মে বসে পড়েন নিত্য যাত্রীরা। ব্যানার প্ল্যাকার্ড নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, কোন যুক্তিতে ১২ বগির মধ্যে এতগুলি কামরা মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত করে রাখছেন রেল কর্তৃপক্ষ।নারী নিরাপত্তার প্রয়োজন অবশ্যই রয়েছে, কিন্তু তার জন্য সাধারণ যাত্রীদের উপরে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হবে কেন।এমনিতেই শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার দীর্ঘতম রেলপথ এই নামখানা লোকাল। মাঝ পথ থেকে এমনিতেই ভিড়ের চাপে দিনের বেশির ভাগ সময়ে যাত্রীরা উঠতে পারে না।তাই ১২ বগির ট্রেন বাড়ানোর যেখানে প্রয়োজন সেখানে জেনারেল কামরাই কমিয়ে দিল রেল কর্তৃপক্ষ।

লোকাল ট্রেনে মহিলা কামরা বৃদ্ধির প্রতিবাদে ট্রেন অবরোধ যাত্রীদের

সম্প্রতি, শিয়ালদহ ডিভিশনের লোকাল ট্রেনে মহিলা কামরার সংখ্যা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে পূর্ব রেল। আগে একটি ট্রেনের দুই প্রান্তে একটি করে মহিলা কামরা ছিল। তবে সেই সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। দুই প্রান্তের ভেন্ডারের সঙ্গে থাকা জেনারেল কামরাকে মহিলা কামরা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল। কিন্তু তা নিয়ে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে নিত্যযাত্রীদের একাংশের মধ্যে।এদিনের অবরোধকারীদের দাবি ছিল, লোকালে মহিলা কামরা বৃদ্ধির ফলে সাধারণ যাত্রীরা সমস্যায় পড়ছেন। বিশেষত, পুরুষযাত্রীরা। ব্যস্ত সময়ে এমনিতেই ট্রেনে ভিড় থাকে। সব কামরাই ভিড়ে ঠাসা। কিন্তু মহিলা কামরা বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ কামরার ভিড় আরও বেড়েছে। সমস্যা বাড়ছে।আর সেই প্রতিবাদেই রেল অবরোধ।

লোকাল ট্রেনে মহিলা কামরা বৃদ্ধির প্রতিবাদে ট্রেন অবরোধ যাত্রীদের

রেলের ঘোষণার পর থেকেই শিয়ালদহ ডিভিশনের বিভিন্ন দিকে অসন্তোষ দেখা যাচ্ছে নিত্যযাত্রীদের মধ্যে। তবে কেন মহিলা কামরা বৃদ্ধি করা হয়েছে, তাঁর ব্যাখা দিয়ে রেলের তরফে বলা হয়, প্রতিদিন ১৫ থেকে ১৮ লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করেন। তাঁদের মধ্যে মহিলাদের সংখ্যা নেহাত কম নয়। প্রতি দিন মোট যাত্রীর প্রায় ২৫ শতাংশ মহিলা। তাঁদের ট্রেনযাত্রা কিছুটা সুখকর করতেই মহিলাদের কামরার সংখ্যা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রেল জানিয়েছে, ট্রেন এবং স্টেশন চত্বরে যৌন হেনস্থার ঝুঁকি কমাতে শিয়ালদহ বিভাগ সর্বদা তৎপর। অনেক মহিলা যাত্রীই সাধারণ কোচে অপেক্ষাকৃত কম ভিড় থাকা সত্ত্বেও মহিলা কোচ বেছে নেন, বিশেষত রাতে আরপিএফের উপস্থিতির কারণে। সেই কথা মাথায় রেখেই মহিলা কামরা বৃদ্ধির কথা ভাবা হয়েছে।তবে এদিন পুলিশ অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেন অবরোধকারীরা।এদিন এই ইস্যুতে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করেন রেলের নিত্য যাত্রীরা এবং তা রেল দফতরে জমা করা হবে বলে খবর।