২০ এপ্রিল ২০২৫, রবিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়াই খোলা বাজারে ওষুধ বিক্রির অনুমতি! নয়া আইন আনতে চলেছে কেন্দ্র সরকার

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৭ জুন ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 7

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: মানুষের সাধারণভাবে ব্যবহারে লাগে, এমন ওষুধ এবার কাউন্টার থেকেই বিক্রি করার অনুমতি দিতে চলেছে কেন্দ্র সরকার। এই প্রসঙ্গে আইন সংশোধন করে শীঘ্রই নয়া আইন আনার পথে ভারত সরকার।
ওভার-দ্য-কাউন্টার বিক্রির অর্থ হল ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়াই খুচরো বাজার (ফার্মেসি) থেকে ওষুধ কেনা যাবে।

বর্তমানে দেশে বহু ওষুধ সহ অ্যান্টিবায়োটিক প্রেসক্রিপশন ছাড়াই খোলা বাজারে বিক্রি হয়। তবে এই প্রথম সরকার ওভার-দ্য-কাউন্টার ওষুধ বিক্রির অনুমোদন দিতে চলেছে। সম্ভবত কেন্দ্র সরকার নয়া আইন প্রবর্তনের মাধ্যমে ওষুধগুলি তালিকাভুক্ত করার ব্যবস্থা নিচ্ছে, যা প্রেসক্রিপশন ছাড়াই বিক্রি করা যেতে পারে৷ চিকিৎসক বা প্রেসক্রিপশন ছাড়াই বাজারে ব্যবহৃত ওষুধগুলির মধ্যে রয়েছে, ডিকনজেসট্যান্ট, কিছু মাউথওয়াশ, অ্যান্টি অ্যাকনে ক্রিম, ব্যথা নিরোধক ওষুধ বা পেইন কিলার।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক ‘ড্রাগস রেগুলেশন অ্যাক্ট ১৯৪৫’ পরিবর্তনের প্রস্তাব দিয়েছে। সেই প্রস্তাব অনুযায়ী শর্তসাপেক্ষে চিকিৎসার ক্ষেত্রে একই ওষুধ পাঁচদিনের বেশি সেবন করা ঠিক নয়। কারণ যদি রোগীর শরীরে একই উপসর্গ দেখতে পাওয়া যায়, তাহলে সেক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে ওষুধ নিতে হবে।

ভারত সরকারের গেজেটে প্রকাশিত একটি বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, সরকার আইন সংশোধন করে প্যারাসিটামলের মতো ১৬টি সাধারণভাবে ব্যবহৃত ওষুধ কাউন্টারে বিক্রি করার অনুমতি দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে। এই ১৬টি ওষুধের মধ্যে রয়েছে প্যারাসিটামলের সঙ্গে ডাইক্লোফেনাক, অ্যান্টি-অ্যালার্জিক ওষুধ, অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম, জিনজিভাইটিস চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত ক্লোরহেক্সাডিন মাউথওয়াশ, কাশির চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত ওষুধ, অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ব্রণ ফর্মুলেশন, অ্যান্টি ফাঙ্গাল ক্রিম, অ্যানালজেসিক ক্রিম ফর্মুলেশন এবং অ্যান্টি অ্যালার্জি ক্যাপসুল।

নয়া আইন প্রণয়ন হলে খুচরো বিক্রেতারা খোলা বাজারে ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়াই ওষুধ বিক্রি করতে পারবে।
প্রকৃতপক্ষে কেন্দ্রের উদ্দেশ্য হল, মানুষের সাধারণ ব্যবহারের ওষুধের ব্যবহার বাড়ানো। প্রস্তাবিত পরিবর্তনগুলি এই ওষুধগুলিকে প্রেসক্রিপশন ছাড়াই বিক্রি করার অনুমতি দেবে। এর ফলে জনসাধারণের কাছে এই ওষুধগুলি সহজেই উপলব্ধ হবে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়াই খোলা বাজারে ওষুধ বিক্রির অনুমতি! নয়া আইন আনতে চলেছে কেন্দ্র সরকার

আপডেট : ৭ জুন ২০২২, মঙ্গলবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: মানুষের সাধারণভাবে ব্যবহারে লাগে, এমন ওষুধ এবার কাউন্টার থেকেই বিক্রি করার অনুমতি দিতে চলেছে কেন্দ্র সরকার। এই প্রসঙ্গে আইন সংশোধন করে শীঘ্রই নয়া আইন আনার পথে ভারত সরকার।
ওভার-দ্য-কাউন্টার বিক্রির অর্থ হল ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়াই খুচরো বাজার (ফার্মেসি) থেকে ওষুধ কেনা যাবে।

বর্তমানে দেশে বহু ওষুধ সহ অ্যান্টিবায়োটিক প্রেসক্রিপশন ছাড়াই খোলা বাজারে বিক্রি হয়। তবে এই প্রথম সরকার ওভার-দ্য-কাউন্টার ওষুধ বিক্রির অনুমোদন দিতে চলেছে। সম্ভবত কেন্দ্র সরকার নয়া আইন প্রবর্তনের মাধ্যমে ওষুধগুলি তালিকাভুক্ত করার ব্যবস্থা নিচ্ছে, যা প্রেসক্রিপশন ছাড়াই বিক্রি করা যেতে পারে৷ চিকিৎসক বা প্রেসক্রিপশন ছাড়াই বাজারে ব্যবহৃত ওষুধগুলির মধ্যে রয়েছে, ডিকনজেসট্যান্ট, কিছু মাউথওয়াশ, অ্যান্টি অ্যাকনে ক্রিম, ব্যথা নিরোধক ওষুধ বা পেইন কিলার।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক ‘ড্রাগস রেগুলেশন অ্যাক্ট ১৯৪৫’ পরিবর্তনের প্রস্তাব দিয়েছে। সেই প্রস্তাব অনুযায়ী শর্তসাপেক্ষে চিকিৎসার ক্ষেত্রে একই ওষুধ পাঁচদিনের বেশি সেবন করা ঠিক নয়। কারণ যদি রোগীর শরীরে একই উপসর্গ দেখতে পাওয়া যায়, তাহলে সেক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে ওষুধ নিতে হবে।

ভারত সরকারের গেজেটে প্রকাশিত একটি বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, সরকার আইন সংশোধন করে প্যারাসিটামলের মতো ১৬টি সাধারণভাবে ব্যবহৃত ওষুধ কাউন্টারে বিক্রি করার অনুমতি দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে। এই ১৬টি ওষুধের মধ্যে রয়েছে প্যারাসিটামলের সঙ্গে ডাইক্লোফেনাক, অ্যান্টি-অ্যালার্জিক ওষুধ, অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম, জিনজিভাইটিস চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত ক্লোরহেক্সাডিন মাউথওয়াশ, কাশির চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত ওষুধ, অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ব্রণ ফর্মুলেশন, অ্যান্টি ফাঙ্গাল ক্রিম, অ্যানালজেসিক ক্রিম ফর্মুলেশন এবং অ্যান্টি অ্যালার্জি ক্যাপসুল।

নয়া আইন প্রণয়ন হলে খুচরো বিক্রেতারা খোলা বাজারে ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়াই ওষুধ বিক্রি করতে পারবে।
প্রকৃতপক্ষে কেন্দ্রের উদ্দেশ্য হল, মানুষের সাধারণ ব্যবহারের ওষুধের ব্যবহার বাড়ানো। প্রস্তাবিত পরিবর্তনগুলি এই ওষুধগুলিকে প্রেসক্রিপশন ছাড়াই বিক্রি করার অনুমতি দেবে। এর ফলে জনসাধারণের কাছে এই ওষুধগুলি সহজেই উপলব্ধ হবে।