Waqf Law বাতিল করা হোক, আরজি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করল পিআইবি

- আপডেট : ১৪ এপ্রিল ২০২৫, সোমবার
- / 62
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: নয়া ওয়াকফ সংশোধনী আইন (Waqf Law) বাতিল করা হোক। এই আইনে বৈষম্য করা হয়েছে এবং মুসলিমদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অসংবিধানিক। এমনই আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করল প্রগ্রেসিভ ইন্টেলেকচুয়ালস অফ বেঙ্গল বা পিআইবির সভাপতি অধ্যাপক মানাজাত আলী বিশ্বাস। তিনি রবিবার আইনজীবী শিবাঙ্গী আনন্দর মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছেন। এই মামলার যাতে দ্রুত শুনানি করা হয়, সেই আর্জিও আদালতে জানানো হয়েছে। শুধু পিআইপি নয় এর আগে বহু সংগঠন বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের কাছে দ্বারস্থ হয়েছে। তাদের দাবি, নতুন আইন অসাংবিধানিক। কারণ হিসাবে তুলে ধরা হয়েছে যে নয়াওয়াকফ সংশোধনী আইন সমতা এবং সংবিধান স্বীকৃত মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করছে।
আরও পড়ুন: Waqf Law: ইমাম-মুয়াজ্জিন ও বুদ্ধিজীবীদের সাংবাদিক সম্মেলন
এ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে মানাজাত আলী বলেন, আমরা আদালতের উপর ভরসা রাখছি, আশা করি আদালত ইনসাফ দেবে। একদিকে আদালতে যেমন মামলা চলবে, অন্যদিকে গণতান্ত্রিক উপায়ে রিলে অনশন করা হবে বলেও জানান পিআইবির সভাপতি। অন্য এক প্রেক্ষিতে মানাজাত আলী বিশ্বাস বলেন, সংখ্যালঘু বিদ্বেষী কেন্দ্রীয় সরকারের ওয়াকফ সংশোধনী আইন (Waqf Law) ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতার মূলে কুঠারাঘাত করেছে। এই আইন খোলাখুলিভাবে সংখ্যালঘু মুসলিম সমাজের ধর্মীয় অধিকারে হস্তক্ষেপ। এই সংশোধনী আইন ভারতীয় সংবিধানের ১৪, ১৫(১), ১৯(১)(এ), ১৯(১)(সি), ২১, ২৫, ২৬, ২৯, ৩০ এবং ৩০০ (এ) এর সঙ্গে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক।আমি মনে করি সংবিধানকে সমুন্নত রাখার জন্য এই কালা কানুন কোনভাবেই মেনে নেওয়া উচিত নয়। প্রান্তিক মানুষজনের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষার জন্য এই বৈষম্যমূলক আইনের বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ অহিংস পদ্ধতিতে শান্তিপূর্ণ উপায়ে দীর্ঘ মেয়াদী গণআন্দোলন গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি। পশ্চিমবাংলার শিক্ষিত বুদ্ধিজীবী সমাজের বৃহত্তম প্ল্যাটফর্ম প্রগ্রেসিভ ইন্টেলেকচুয়ালস অব বেঙ্গল এই আইনকে (Waqf Law) চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেছে। এছাড়া বাংলাজুড়ে সকল শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন নাগরিককে যুক্ত করে সাংবিধানিক পদ্ধতিতে শান্তিপূর্ণ উপায়ে আন্দোলন পরিচালনার জন্য গাইডলাইনও প্রকাশ করেছে। এছাড়াও রাজ্যজুড়ে জেলা স্তরে এবং কলকাতায় রিলে অনশন শুরু করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, বাংলায় শান্তি ও সম্প্রীতির পরিবেশ তৈরি করা, প্রান্তিক মানুষজনের অধিকার রক্ষা করা, সামাজিক কর্মকাণ্ডে সব শ্রেণির নাগরিকের অংশগ্রহণকে সুনিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়ে এভাবেই কাজ করে যাবে পিআইবি।